ঈশ্বরদীতে বৈষম্যবিরোধী জাতীয়তাবাদী দল ঐক্য পরিষদের আত্মপ্রকাশ
![](https://www.banglakhaborbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে গুলি করা মামলায় সদ্য কারামুক্ত নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত বৈষম্যবিরোধী জাতীয়তাবাদী দল ঐক্য পরিষদের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। রোববার (২০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১ টায় ঈশ্বরদী প্রেস ক্লাবের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী জাতীয়তাবাদী দল ঐক্য পরিষদের আত্মপ্রকাশ ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলন বৈষম্যবিরোধী জাতীয়তাবাদী দল ঐক্য পরিষদের ১০ জনকে সমন্বয়ে ও ২১ জনকে সদস্য করে নেতৃবৃন্দের পরিচিতি প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলন তাঁরা বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার শাসনামলে তার সন্ত্রাসী ও গুন্ডাবাহিনী দ্বারা সারা দেশের মতো ঈশ্বরদীর বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠন সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী নানাভাবে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বর্তমান সরকারের আমলেও নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন এই মামলায় জামিন প্রাপ্ত নেতাকর্মীরা। এ ছাড়াও ৯ জন নেতা ফাঁসি সাজা মাথায় নিয়ে কারাগারে মানবতার জীবন যাপন করছেন।
তাঁরা বর্তমান সরকারের কাছে এই ৯ জন নেতার মুক্তি দাবি করেন। তাদের মুক্তি দেওয়া না হলে দুর্বার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তাঁরা বিগত সরকারের শাসনামল ও জুলাই আগস্টে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন যারা আহত হয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনা করেন।
তাঁরা আরো বলেন, ঈশ্বরদীতে বিএনপির বিভাজনের কারণে সংসদীয় নির্বাচনে এই আসনে বারবার পরাজিত হয়েছে। আমরা বৈষম্যবিরোধী জাতীয়তাবাদী দল ঐক্য পরিষদ বিএনপিতে আর কোন বিভাজন দেখতে চাই না। কেন্দ্র থেকে যাকে ধানের শীষ দেওয়া হবে তার বিজয় নিশ্চিত করে ম্যাডাম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়াকে উপহার দেবো ইনশাল্লাহ।
এছাড়াও তারা তাদের বাদ দিয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি গঠন করার চেষ্টা করলে রাজপথে তাঁর রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করার ঘোষণা করেন। তারা বলেন, বসন্তের কোকিল বা অযোগ্য কাউকে নেতা বানানোর চেষ্টা করলে রাজপথের পরীক্ষিত ত্যাগী নেতাকর্মীরা তা কখনো মেনে নেবে না।
বৈষম্যবিরোধী জাতীয়তাবাদী দল ঐক্য পরিষদ নাম কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, হাবিব ভাইকে পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক করে এই এলাকার বিএনপিকে শক্তিশালী করার জন্য কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কারা মুক্তির পরে আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব আমাদের ডেকে নিয়ে বসবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা সেটি করেননি।
দীর্ঘদিন ঈশ্বরদী উপজেলার ও পৌর বিএনপির কোন কমিটি নেই। আমরা আশা করেছিলাম হাবিব ভাই আমাদের ডেকে নিয়ে বসবেন। কিন্তু এখন হাবিব ভাই এখনো সেটি করেননি। অথচ ঈশ্বরদী মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির আহ্বায়ক হয়েছেন হাবিব ভাই, সেটি ঠিক আছে। কিন্তু ঈশ্বরদীর বিএনপির পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে কারো সাথে আলোচনা না করে আজমল হোসেন সুজনকে নেওয়া হয়েছে, সেটি মেনে নেওয়া যায় না।
শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে কথিত হামলার মিথ্যা মামলার সদ্য কারামুক্ত নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাখ//এস