গ্রাম উন্নয়ন কমিটি গঠন করাকে কেন্দ্র করে তাড়াশে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ : আহত ১৩
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গ্রাম উন্নয়ন কমিটি গঠন করাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের প্রায় তিন ঘন্টা কালব্যাপি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ উভয় পক্ষের অন্তত ১৩জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত সাত জনকে সিরাজগঞ্জসহ এলাকার বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (১৯অক্টোবর) সকালে তাড়াশ উপজেলার মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের মান্নাননগর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তাড়াশ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের হামকুড়িয়া গ্রামের মসজিদ, মাদ্রসা, বাজার, হাট, খাসপুকুরসহ সামাজিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা, উন্নয়নের জন্য বহু বছর ধওে গ্রামে একটি গ্রাম উন্নয়ন কমিটি আছে। আর ৫ আগষ্ট পরিবর্তিত পরিস্থির পর সম্প্রতি পুরোনা গ্রাম উন্নয়ন কমিটি ভেঙ্গে ওই গ্রামের বাসিন্দা ও তাড়াশ উপজেলা বিএনপি ও সদস্য শহিদুল ইসলাম মোল্লা তার অনুগতদেও নিয়ে নিজেকে সভাপতি কওে নতুন গ্রাম উন্নয়ন কমিটি গঠন করেন। অপরদিকে একই গ্রামের বিএনপির আরেক কর্মী আব্দুর রশীদ ও অনুগতরা গঠন করা নতুন গ্রাম উন্নয়ন কমিটির বিরোধীতা শুরু করেন এবং কমিটি বাতিল করে নতুন করে কমিটি গঠনের দাবী জানান। যা নিয়ে আধিপত্য বিস্তারের জন্য সকালে মান্নান নগর বাজাওে উভয়পক্ষের সমর্থক গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে শহিদুল এবং আব্দুর রশীদ অনুগতরা লাঠি, সোটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাজারের দু’পাশে অবস্থান নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন।
পাশাপাশি বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে শহিদুল ও আব্দুর রশীদ অনুগতরা লাঠি, সোটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। আর ঘন্টা কালব্যাপি রক্তক্ষয়ী ওই সংঘর্ষে উভয়পক্ষের মো. মোতালেব হোসেন, আব্দুলর রশিদ, সাইফুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, মাহতাব আলী, মহশীন, শিবলু,আব্দুল বারিক, তছলিম, সাব্বির আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাকসহ হামকুরিয়া গ্রামের অনন্ত ১৩জন আহত হন। এদের মধ্যে আব্দুর রশিদ ও মাহতাব আলী সহ সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় দু’পক্ষের কেউ থানায় অভিযোগ বা মামলা করতে এখনও আসেননি।
বাখ//আর