১০:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিরীহ ব্যক্তির নামে মামলা করলে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রতিনিধির নাম

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, পুলিশের এখন পর্যন্ত ১৮৭ জন যোগদান করেনি। তারা আর পুলিশ বাহিনীর সদস্য না। আমি ধরে নিচ্ছি তারা সন্ত্রাসী। তাদের দেখা গেলে সাথে সাথে অ্যারেস্ট করা হবে।

ক্রিমিনালের ক্ষেত্রে যে ধরনের আইন, তাদের ক্ষেত্রেও একই আইন প্রয়োগ করা হবে। ৫ আগস্টের পর পুলিশে যে একটা অবস্থা ছিল। ওই অবস্থান থেকে অনেকটাই উত্তোরণ হয়েছে। ইমপ্রুভ তো করছি। শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৩ টায় রাজশাহীতে বিজিবির দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আস্তে আস্তে উন্নতি হচ্ছে। এটা আস্তে আস্তে আরও উন্নতি হবে। কিন্তু আমাদের আরও হয় তো সময় দিতে হবে। সক্ষমতার কোনো ব্যাপার নেই। আগে আমাদের পুলিশ বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম দিত। অজ্ঞাত আরও ২০০-৩০০ জন দিত। আপনারা বলছেন পুলিশ বাণিজ্য করার জন্য দিয়েছে। এখন কিন্তু এই নামগুলো পাবলিকে দিচ্ছে। ১০-১৫ জনের যদি নাম দেয় আর কতগুলো দিয়ে দেয় অজ্ঞাত।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের নিয়োগ কিন্তু গত ১৫ বছর যাবত হচ্ছে। এটার ক্ষেত্রে একটি সিদ্ধান্তে আসতে হবে। কিছু সংখ্যক মেরিটে গেছে। এর বাইরে যারা চাকরি পেয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে সমন্বিত ডিসিশন আসতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা রিসেন্টলি একটা ইনস্ট্রাকশন দিয়েছি – এই রকম যারা কেস করবে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন (ব্যবস্থা) নেওয়া হবে। এগুলো না হলে তারা কিন্তু কিছু কিছু নিরীহ লোকের বিরুদ্ধে মামলা করছে। অনেক নিরীহ লোকের বিরুদ্ধে মামলা করছে। আপানারা এটাও জানেন তারা (মামলাকারীরা) থ্রেট করে এই তুমি যদি টাকা না দাও তোমার নাম দিয়ে দেব। এটা কিন্তু হচ্ছে আপনারা (সাংবাদিক) রিপোর্ট করেছেন। এজন্যে কিছু কিছু সমস্যা হচ্ছে।

কৃষির সারের ক্ষেত্রে বিরাট ধরনের দুর্নীতি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে। আমরা দুই – একজনকে অলরেডি কাস্টডিতে নিয়ে নিয়েছি। ভারতের সঙ্গে আমাদের একটা চুক্তি আছে। আমরা এই চুক্তিটা অবশ্যই ফলো করব।

এ সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (জিএস শাখা) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোহরাব হোসেন ভূঁইয়াসহ শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা তার সঙ্গে ছিলেন।

বাখ//এস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৬:১৩:১২ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২০ অক্টোবর ২০২৪
৩৮ জন দেখেছেন

নিরীহ ব্যক্তির নামে মামলা করলে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট : ০৬:১৩:১২ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, পুলিশের এখন পর্যন্ত ১৮৭ জন যোগদান করেনি। তারা আর পুলিশ বাহিনীর সদস্য না। আমি ধরে নিচ্ছি তারা সন্ত্রাসী। তাদের দেখা গেলে সাথে সাথে অ্যারেস্ট করা হবে।

ক্রিমিনালের ক্ষেত্রে যে ধরনের আইন, তাদের ক্ষেত্রেও একই আইন প্রয়োগ করা হবে। ৫ আগস্টের পর পুলিশে যে একটা অবস্থা ছিল। ওই অবস্থান থেকে অনেকটাই উত্তোরণ হয়েছে। ইমপ্রুভ তো করছি। শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৩ টায় রাজশাহীতে বিজিবির দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আস্তে আস্তে উন্নতি হচ্ছে। এটা আস্তে আস্তে আরও উন্নতি হবে। কিন্তু আমাদের আরও হয় তো সময় দিতে হবে। সক্ষমতার কোনো ব্যাপার নেই। আগে আমাদের পুলিশ বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম দিত। অজ্ঞাত আরও ২০০-৩০০ জন দিত। আপনারা বলছেন পুলিশ বাণিজ্য করার জন্য দিয়েছে। এখন কিন্তু এই নামগুলো পাবলিকে দিচ্ছে। ১০-১৫ জনের যদি নাম দেয় আর কতগুলো দিয়ে দেয় অজ্ঞাত।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের নিয়োগ কিন্তু গত ১৫ বছর যাবত হচ্ছে। এটার ক্ষেত্রে একটি সিদ্ধান্তে আসতে হবে। কিছু সংখ্যক মেরিটে গেছে। এর বাইরে যারা চাকরি পেয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে সমন্বিত ডিসিশন আসতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা রিসেন্টলি একটা ইনস্ট্রাকশন দিয়েছি – এই রকম যারা কেস করবে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন (ব্যবস্থা) নেওয়া হবে। এগুলো না হলে তারা কিন্তু কিছু কিছু নিরীহ লোকের বিরুদ্ধে মামলা করছে। অনেক নিরীহ লোকের বিরুদ্ধে মামলা করছে। আপানারা এটাও জানেন তারা (মামলাকারীরা) থ্রেট করে এই তুমি যদি টাকা না দাও তোমার নাম দিয়ে দেব। এটা কিন্তু হচ্ছে আপনারা (সাংবাদিক) রিপোর্ট করেছেন। এজন্যে কিছু কিছু সমস্যা হচ্ছে।

কৃষির সারের ক্ষেত্রে বিরাট ধরনের দুর্নীতি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে। আমরা দুই – একজনকে অলরেডি কাস্টডিতে নিয়ে নিয়েছি। ভারতের সঙ্গে আমাদের একটা চুক্তি আছে। আমরা এই চুক্তিটা অবশ্যই ফলো করব।

এ সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (জিএস শাখা) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোহরাব হোসেন ভূঁইয়াসহ শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা তার সঙ্গে ছিলেন।

বাখ//এস