পাকুন্দিয়ায় বিএনপির সংবাদ সম্মেলন
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিএনপির দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেফতার হওয়া আসামি মো. শরীফ মিয়া বিএনপি বা এর অঙ্গ সংগঠনের কেউ নয় বলে মন্তব্য করেছেন পাকুন্দিয়া পৌর বিএনপির সভাপতি এসএএম মিনহাজ উদ্দীন। শনিবার বিকেলে পাকুন্দিয়া প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন। তিনি পাকুন্দিয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আতিকুর রহমান মাসুদ, আবদুস ছাত্তার, হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম সুজন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লিমন মিয়া, উপজেলা ওলামাদলের সভাপতি মাওলানা কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মোস্তুফা কামাল, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোস্তুফা কামাল জুয়েল, উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মাসুদ মিয়া, পৌর যুবদলের আহবায়ক আলমগীর হোসেন, সুখিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার আলম, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব ফেরদৌস সহ অর্ধশত নেতাকর্মী।
লিখিত বক্তব্যে এসএএম মিনহাজ উদ্দীন বলেন, গত ১৩ ও ১৪ অক্টোবর একাধিক অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় ‘কিশোরগঞ্জে বিএনপির মামলায় দলীয় লোকজন আসামি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটির এক জায়গায় বলা হয়েছে, গ্রেফতার হওয়া শরীফ পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। এই কথাটি সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। কারন শরীফ কোনো সময়ই বিএনপি বা এর অঙ্গ সংগঠনের কোন পর্যায়ের সদস্য বা কর্মী ছিলেন না।
এ বিষয়ে কেউ কোন প্রমানাদি উপস্থাপন করতে পারবেন না। তবে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে অনেকেই দলে ভিড়তে চেষ্টা করছেন। হয়তো শরীফও তাদের মধ্যে একজন হতে পারে। পরিকল্পিতভাবে একটি কুচক্রী মহল আমার ও আমার দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার জন্য সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদটি প্রকাশ করিয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য যে, গত ২০ আগস্ট পাকুন্দিয়া সদর বাজারে অনুষ্ঠিত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার বিক্ষোভ মিছিলে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে শতাধিক আন্দোলনকারী আহত হয়। এ ঘটনায় ১৩ সেপ্টেম্বর উপজেলা তাঁতী দলের সভাপতি মো. মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ৭৪ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মো. শরীফ মিয়াকে ৬৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে। সম্প্রতি শরীফ মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। এরপর থেকেই কিছু লোক শরীফকে জাতীয়তাবাদী যুব দলের কর্মী হিসেবে দাবী করে আসছেন।
বাখ//আর