১২:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোমাঞ্চকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাল ভারত

প্রতিনিধির নাম

মহাদেশীয় কিংবা বৈশ্বিক ‍টুর্নামেন্ট ছাড়া সচরাচর দেখা হয় না দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের। ইমার্জিং এশিয়া কাপেও তারা একই গ্রুপে পড়েছে। ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই রোমাঞ্চকর লড়াই উপহার দিয়েছে ভারত-পাকিস্তান। যেখানে পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে ৭ রানের জয়ে ভারত ‘এ’ দল শেষ হাসি হেসেছে।

ওমানের আল আমেরাত স্টেডিয়ামে গতকাল (শনিবার) প্রথম ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৮৩ রান সংগ্রহ করে তিলক ভার্মার ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান (৩৫ বল) করেছেন অধিনায়ক তিলক। এ ছাড়া অভিষেক শর্মার ৩৫ (২২ বল) ও প্রভসিমরান সিংয়ের ৩৬ রানের (১৯ বল) সুবাদে ভারতীয় ‘এ’ দল চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান শাহিনসকে।

টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে তাদের শুরুটাও হয় দুর্দান্ত। কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলা অভিষেক প্রভসিমরানকে সঙ্গে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে ৬৮ রান করেন। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতেই সেই রান পায় ভারত। ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ রান করা অভিষেককে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে প্রথম সাফল্য দেন স্পিনার সুফিয়ান মুকিম। অল্প সময় পরই আরেক ওপেনার প্রভসিমরান (৩টি করে চার-ছক্কায় ৩৬ রান) ফেরেন আরাফাত মিনহাসের বলে।

দুই উইকেট পতনের পর কিছুটা ধীরগতি আসে ভারতের ব্যাটিংয়ে। এরই মাঝে ২২ বলে ২৫ রান করা নেহাল ওয়াধেরাকে বোল্ড করে দেন মুকিম। আয়ুশ বাদোনি আউট হয়ে যান মাত্র ২ রানে। সেই ধাক্কা সামলাতে গিয়েই সেভাবে আক্রমণাত্মক খেলতে পারেননি তিলক। আউট হওয়ার আগে তিনি ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ২টি করে চার-ছক্কায়। এ ছাড়া শেষদিকে রামানদীপ সিং ১১ বলে ১৭ রান করে দলীয় পুঁজি বাড়ান। নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৩ রান তোলে ভারত। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন মুকিম।

১৮৪ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় পাকিস্তান শুরুতেই হোঁচট খায় অধিনায়ক মোহম্মদ হারিসের উইকেট হারিয়ে। দলীয় ৬ রানে তার বিদায়ের পর ২১ রানে বিদায় নেন ওয়ানডাউনে নামা ওমায়ের ইউসুফ। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ইয়াসির খান ও কাসিম আকরাম মিলে তোলেন ৫৪ রান। এই দুজনের বিদায়ে আবারও ধাক্কা খায় পাকিস্তান শাহিনস। ২২ বলে একটি চার ও ৩ ছক্কায় ইয়াসির ৩৩ এবং কাসিম ২১ বলে ৪টি চারের মারে ২৭ রান করেন। মাঝে হায়দার আলিও আউট হয়ে যান ধীরগতির ইনিংসে (১৫ বলে ৯ রান) দলের বিপদ বাড়িয়ে।

এরপর অবশ্য আরাফাত মিনহাস, আবদুল সামাদ ও আব্বাস আফ্রিদিরা ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে লক্ষ্য তাড়ায় সঠিক পথেই ছিলেন। তবে রাসিখ সালাম ও আনশুল কাম্বোজদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে একেবারে কাছাকাছি গিয়ে সীমানা পেরোতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান শাহিনস। ২৯ বলে ৫টি চার ও এক ছক্কায় আরাফাহ ৪১, ১৫ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় সামাদ ২৫ এবং আব্বাস আফ্রিদি ৯ বলে চারটি চারে ১৮ রান করেন। নির্ধারিত ওভারে পাকিস্তান শাহিনস ৭ উইকেটে করে ১৭৬ রান। ফলে ৭ রানের হারে ইমার্জিং এশিয়া কাপ শুরু করল তারা। ভারতের আনশুল সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়েছেন।

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৬:১৭:০৭ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২০ অক্টোবর ২০২৪
৪৬ জন দেখেছেন

রোমাঞ্চকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাল ভারত

আপডেট : ০৬:১৭:০৭ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

মহাদেশীয় কিংবা বৈশ্বিক ‍টুর্নামেন্ট ছাড়া সচরাচর দেখা হয় না দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের। ইমার্জিং এশিয়া কাপেও তারা একই গ্রুপে পড়েছে। ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই রোমাঞ্চকর লড়াই উপহার দিয়েছে ভারত-পাকিস্তান। যেখানে পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে ৭ রানের জয়ে ভারত ‘এ’ দল শেষ হাসি হেসেছে।

ওমানের আল আমেরাত স্টেডিয়ামে গতকাল (শনিবার) প্রথম ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৮৩ রান সংগ্রহ করে তিলক ভার্মার ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান (৩৫ বল) করেছেন অধিনায়ক তিলক। এ ছাড়া অভিষেক শর্মার ৩৫ (২২ বল) ও প্রভসিমরান সিংয়ের ৩৬ রানের (১৯ বল) সুবাদে ভারতীয় ‘এ’ দল চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান শাহিনসকে।

টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে তাদের শুরুটাও হয় দুর্দান্ত। কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলা অভিষেক প্রভসিমরানকে সঙ্গে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে ৬৮ রান করেন। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতেই সেই রান পায় ভারত। ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ রান করা অভিষেককে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে প্রথম সাফল্য দেন স্পিনার সুফিয়ান মুকিম। অল্প সময় পরই আরেক ওপেনার প্রভসিমরান (৩টি করে চার-ছক্কায় ৩৬ রান) ফেরেন আরাফাত মিনহাসের বলে।

দুই উইকেট পতনের পর কিছুটা ধীরগতি আসে ভারতের ব্যাটিংয়ে। এরই মাঝে ২২ বলে ২৫ রান করা নেহাল ওয়াধেরাকে বোল্ড করে দেন মুকিম। আয়ুশ বাদোনি আউট হয়ে যান মাত্র ২ রানে। সেই ধাক্কা সামলাতে গিয়েই সেভাবে আক্রমণাত্মক খেলতে পারেননি তিলক। আউট হওয়ার আগে তিনি ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ২টি করে চার-ছক্কায়। এ ছাড়া শেষদিকে রামানদীপ সিং ১১ বলে ১৭ রান করে দলীয় পুঁজি বাড়ান। নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৩ রান তোলে ভারত। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন মুকিম।

১৮৪ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় পাকিস্তান শুরুতেই হোঁচট খায় অধিনায়ক মোহম্মদ হারিসের উইকেট হারিয়ে। দলীয় ৬ রানে তার বিদায়ের পর ২১ রানে বিদায় নেন ওয়ানডাউনে নামা ওমায়ের ইউসুফ। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ইয়াসির খান ও কাসিম আকরাম মিলে তোলেন ৫৪ রান। এই দুজনের বিদায়ে আবারও ধাক্কা খায় পাকিস্তান শাহিনস। ২২ বলে একটি চার ও ৩ ছক্কায় ইয়াসির ৩৩ এবং কাসিম ২১ বলে ৪টি চারের মারে ২৭ রান করেন। মাঝে হায়দার আলিও আউট হয়ে যান ধীরগতির ইনিংসে (১৫ বলে ৯ রান) দলের বিপদ বাড়িয়ে।

এরপর অবশ্য আরাফাত মিনহাস, আবদুল সামাদ ও আব্বাস আফ্রিদিরা ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে লক্ষ্য তাড়ায় সঠিক পথেই ছিলেন। তবে রাসিখ সালাম ও আনশুল কাম্বোজদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে একেবারে কাছাকাছি গিয়ে সীমানা পেরোতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান শাহিনস। ২৯ বলে ৫টি চার ও এক ছক্কায় আরাফাহ ৪১, ১৫ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় সামাদ ২৫ এবং আব্বাস আফ্রিদি ৯ বলে চারটি চারে ১৮ রান করেন। নির্ধারিত ওভারে পাকিস্তান শাহিনস ৭ উইকেটে করে ১৭৬ রান। ফলে ৭ রানের হারে ইমার্জিং এশিয়া কাপ শুরু করল তারা। ভারতের আনশুল সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়েছেন।