বেলকুচিতে ভবনের কাজের কন্ট্রাক্ট না দেওয়ায় মালিককে মারধরের অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের সাতলাঠি বাজারে কনস্ট্রাকশন কাজের কন্ট্রাক্ট না দেওয়ায় ভবন মালিক আব্দুল মমিন (৫৫) নামে একজনকে মারধরের বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য হেলালের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
থানায় অভিযোগ সুত্রে জানা যায় সাতলাঠি বাজারে ইউপি সদস্য হেলালের জায়গার পাশে আব্দুল মমিন তার ক্রয়কৃত জায়গার উপর একতলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এদিকে ভবন নির্মাণের পুর্বে সাবেক ইউপি সদস্য হেলাল ও তার অন্যান্য ভাইদের সহ এলাকার লোকজন নিয়ে জায়গার সীমানা নির্ধারণ করে ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়,এক পর্যায়ে কাজ চলাকালিন সময় প্রায়ই সাবেক ইউপি সদস্য হেলাল ও তার ভাই নির্মাণ শ্রমিকদের সাথে খারাপ আচরন করে আসছিল, এবিষয়ে ভবন মালিক মমিনের কাছে নির্মাণ শ্রমিকরা অভিযোগ জানালে মমিন শ্রমিকদের আশস্থ্য করে বলেন আপনারা কাজ করেন আমি তাদের সাথে কথা বলে সমাধান করে দেব।এক পর্যায়ে মমিন সাবেক ইউপি সদস্য হেলালের সাথে কথা বলে বিষয়টা সমাধান করে দেয়।
এর পর গত শুক্রবার (১১ আগষ্ট) সন্ধা ৬টার দিকে ভবন মালিক আব্দুল মমিন নির্মাণ শ্রমিকদের ফোনের মাধ্যমে জানতে পারেন সাবেক ইউপি সদস্য হেলালের ছোট ভাই আবারও নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়,কি কারনে কাজ বন্ধ করা হয়েছে হেলালের কাছে জানতে গেলে মমিনকে সে এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারবে না।
এর পর কি কারণে নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হলো, মমিন জানতে হেলালের ছোট ভাইয়ের কাছে গেলে সে বলে সীমানা সঠিক মাপ হয়নি বিল্ডিং ভাংতে হবে কথার মাঝে পিছন থেকে হেলাল মমিনকে মেরে মাটিতে ফেলে গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে এবং তার অন্যান্য ভাইয়েরা বেধম মারপিট করে আহত করে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী মমিন বেলকুচি থানায় হেলালকে প্রধান করে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে।
এবিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য হেলাল বলেন, জায়গার সীমানা নির্ধারণ করার পরে মমিন ইচ্ছাকৃত আমার জায়গ পেচিয়ে বিল্ডিং এর কাজ করতে ছিল তখন আমার ছোট ভাই বাধা দেয়, এসময় মমিন এসে ছোট ভাইয়ের সাথে কথা কাটা কাটি করে এক পর্যায়ে আমি ছোট ভাইকে সরিয়ে দিয়ে মমিনকে থাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় এসময় মমিনের একটি ইটের সাথ পা লেগে পরে যায়, তাকে কোন প্রকার মারধর করা হয়নি। এর পর জানতে পারি আমাদের নামে থানায় মামলা করেছে, পরে কোর্ট থেকে জামিন নিয় এসেছি।
এ বিষয় জানতে বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জকে একাধিক বার ফোন করে তার কাছে জানা সম্ভব হয়নি।
বাখ//আর