০৪:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গপোসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’, বন্দরে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত

বঙ্গপোসাগরে ঘূর্ণিঝড় 'দানা' বন্দরে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত

পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ এ পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আজ (বুধবার, ২৩ অক্টোবর) আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল ৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে ২ নম্বর (পুনঃ:) ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয় যেতে পারে।

সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় কোথায় আঘাত হানবে তা এখনো চূড়ান্তভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এটি ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানার সম্ভাবনাই বেশি। ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলজুড়ে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। যদিও গতিপথ পাল্টে বাংলাদেশে আঘাত হানার আশঙ্কাও রয়েছে। এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘দানা’। নামকরণ করেছে কাতার। এটি আরবি শব্দ। অর্থ বড় মুক্তার দানা।

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৬:৪৩:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
৪০ জন দেখেছেন

বঙ্গপোসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’, বন্দরে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত

আপডেট : ০৬:৪৩:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ এ পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আজ (বুধবার, ২৩ অক্টোবর) আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল ৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে ২ নম্বর (পুনঃ:) ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয় যেতে পারে।

সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় কোথায় আঘাত হানবে তা এখনো চূড়ান্তভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এটি ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানার সম্ভাবনাই বেশি। ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলজুড়ে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। যদিও গতিপথ পাল্টে বাংলাদেশে আঘাত হানার আশঙ্কাও রয়েছে। এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘দানা’। নামকরণ করেছে কাতার। এটি আরবি শব্দ। অর্থ বড় মুক্তার দানা।