০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি দিলে প্রস্তুত হামাস

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি দিলে তারা লড়াই বন্ধ করার জন্য প্রস্তুত। বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছে হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা। এদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের গোয়েন্দাপ্রধান নতুন করে শুরু হতে যাওয়া গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নেবে।

কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজা যুদ্ধবিরতির আলোচনা হলেও তা সফলতার মুখ দেখেনি। তবে আমেরিকা মনে করছে, হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর গাজা যুদ্ধবিরতির দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছে।

হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, তারা বৃহস্পতিবার কায়রোতে মিশরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, হামাস যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য প্রস্তুত। তবে ইসরায়েলকে অবশ্যই যুদ্ধবিরতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। গাজা উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। বাস্তুচ্যুত লোকদের নিজেদের আবাসস্থলে ফিরে যেতে অনুমতি দিতে হবে। একটি তাৎপর্যপূর্ন বন্দী বিনিময় চুক্তিতে সম্মত হবে এবং গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে।

হামাসের এই কর্মকর্তা জানান, কায়রোর এই আলোচনাটি যুদ্ধবিরতি আলোচনা পুনরায় শুরু করার জন্য মিশরের চলমান প্রচেষ্টার অংশ।

এদিকে মিশরের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য মিশর যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তাকে স্বাগত জানাচ্ছি।

কায়রো বৈঠকের পর নেতানিয়াহু ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধানকে রোববার যুদ্ধবিরতির প্রধান মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে আমেরিকা ও কাতার জানায়, গাজা যুদ্ধবিরতির আলোচনা দোহায় আবারও শুরু হতে যাচ্ছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গতকাল বৃহস্পতিবার দোহায় কাতারের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর এটি ছিল তাঁর ১১তম মধ্যপ্রাচ্য সফর।

এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪২ হাজার ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও এক লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৭:৫৪:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
৬৯ জন দেখেছেন

ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি দিলে প্রস্তুত হামাস

আপডেট : ০৭:৫৪:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি দিলে তারা লড়াই বন্ধ করার জন্য প্রস্তুত। বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছে হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা। এদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের গোয়েন্দাপ্রধান নতুন করে শুরু হতে যাওয়া গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নেবে।

কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজা যুদ্ধবিরতির আলোচনা হলেও তা সফলতার মুখ দেখেনি। তবে আমেরিকা মনে করছে, হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর গাজা যুদ্ধবিরতির দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছে।

হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, তারা বৃহস্পতিবার কায়রোতে মিশরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, হামাস যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য প্রস্তুত। তবে ইসরায়েলকে অবশ্যই যুদ্ধবিরতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। গাজা উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। বাস্তুচ্যুত লোকদের নিজেদের আবাসস্থলে ফিরে যেতে অনুমতি দিতে হবে। একটি তাৎপর্যপূর্ন বন্দী বিনিময় চুক্তিতে সম্মত হবে এবং গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে।

হামাসের এই কর্মকর্তা জানান, কায়রোর এই আলোচনাটি যুদ্ধবিরতি আলোচনা পুনরায় শুরু করার জন্য মিশরের চলমান প্রচেষ্টার অংশ।

এদিকে মিশরের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য মিশর যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তাকে স্বাগত জানাচ্ছি।

কায়রো বৈঠকের পর নেতানিয়াহু ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধানকে রোববার যুদ্ধবিরতির প্রধান মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে আমেরিকা ও কাতার জানায়, গাজা যুদ্ধবিরতির আলোচনা দোহায় আবারও শুরু হতে যাচ্ছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গতকাল বৃহস্পতিবার দোহায় কাতারের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর এটি ছিল তাঁর ১১তম মধ্যপ্রাচ্য সফর।

এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪২ হাজার ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও এক লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।