ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টিপাত, পায়রা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্নিঝড় ‘দানা’ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রাতভর মাঝারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। সকাল থেকে প্রবল বাতাসসহ ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। নদ-নদীর পানির উচ্চতাও কিছুটা বেড়েছে।
এদিকে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। বড় বড় ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সকাল ৭টায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। শুক্রবার ভোরের মধ্যে এটি উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
সমুদ্রের সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। এদিকে ঘূর্নিঝড় দানা মোকাবেলায় কলাপাড়া উপজেলায় ১৯ টি মুজিব কেল্লা সহ ১৫১ টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ৩ হাজার ১ শত, ৬০ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক, নগদ অর্থ, জি আর চাল, শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ও গোখাদ্য মজুদ রাখা হয়েছে।কুয়াকাটা সৈকতে থাকা পর্যটকদের নিরাপদ স্থানে থাকতে মাইকিং করছে মহিপুর থানা পুলিশ ও ট্যুরিষ্ট পুলিশের সদস্যরা।
মহিপুর থানার ওসি মো তরিকুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সৈকতের জিরো পয়েন্ট সহ বিভিন্ন পয়েন্টে মাইকিং করে তারা। এসময় উত্তাল সমুদ্রের গোসলে থাকা অনেক পর্যটক নিরাপদে সরে যান। এছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট থেকে পর্যটকরা যাতে উত্তাল সমুদ্রে নামতে না পারে সেজন্য পুলিশ সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
বাখ//এস