০৮:৩০ অপরাহ্ন, রোববার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ ভোলায় ঝড়ো বাতাস, ভারী বর্ষণ, আতঙ্কিত উপকূলের মানুষ

ভোলা জেলা প্রতিনিধি

পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘দানার’ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে উপকূলীয় জেলা ভোলায়। দানার প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে নদী ও সাগর।বৃস্টি হচ্ছে সকাল থেকে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে উপকূল জুড়ে বৈরীভাব। দুপুর ১২টা থেকে ভারী বর্ষণ ও ঝড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে। এতে আতঙ্কিত উপকূলের মানুষ।

তুলাতলী বাঁধের বাসিন্দা রেহানা ও রাশিদা বলেন, ঝড় আসবে শুনেই আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছি। আশ্রয়কেন্দ্রে গেলেও বসতঘর আর গবাদি পশু তো রক্ষা হবে না। এসব নিয়ে চিন্তিত আমরা। এদিকে সতর্কতা সংকেত বাড়ায় বুধবার বিকেল থেকে পাঁচ রুট এবং বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সব রুটে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ চলাচল। এতে ভোলার সঙ্গে অন্যান্য জেলার যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

ইলিশা ঘাটে অপেক্ষমাণ যাত্রী সালাউদ্দিন ও মোশারেফ বলেন, নদী উত্তাল থাকায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ, আমরা গন্তব্যে যেতে পারিনি। তবে অপেক্ষায় আছি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যেতে পারব। দুর্যোগ প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) উপ-পরিচালক আবদুর রশিদ বলেন, সতর্কতা সংকেত বাড়লে সিপিপির স্বেচ্ছাসেবীরা মাঠে প্রচারণায় নামবেন, তবে আগে থেকেই তাদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বিআইডব্লিটিএ সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করায় ভোলা-লক্ষ্মীপুরসহ অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটের সব লঞ্চ চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। ভোলা জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭৮৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে। গঠন করা হয়েছে ৯৮টি মেডিকেল টিম। এছাড়াও নগদ টাকা, শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য ও গোখাদ্য এবং চাল মজুদ রাখা হয়েছে।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন ১ নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান বলেন, মেঘনা-তেঁতুলিয়ার নদী উত্তাল থাকলেও আশা করি, জেলা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও শহর রক্ষা এবং তীর সংরক্ষণ মিলিয়ে ৩৫০ কিলোমিটার বাঁধ সুরক্ষিত থাকবে। যদিও ৬৩ কিলোমিটার মাটির বাঁধ রয়েছে।

পাউবো ডিভিশন – ২ নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আসফাউদৌলা জানান রেমেলের আঘাতে মনপুরা সহ কিছু বেড়ীবাঁধের সমস্যা রয়েছে। তা সংস্কারে প্রস্তাব উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমান সহ সকলেই রাতদিন বেরীবাধের কাজে ব্যাস্ত। কিছু সমস্যা আছে যা কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে দ্রুত সকল সমস্যার সমাধান করা হবে।

বাখ//এস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৫:২৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
৬৯ জন দেখেছেন

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ ভোলায় ঝড়ো বাতাস, ভারী বর্ষণ, আতঙ্কিত উপকূলের মানুষ

আপডেট : ০৫:২৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘দানার’ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে উপকূলীয় জেলা ভোলায়। দানার প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে নদী ও সাগর।বৃস্টি হচ্ছে সকাল থেকে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে উপকূল জুড়ে বৈরীভাব। দুপুর ১২টা থেকে ভারী বর্ষণ ও ঝড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে। এতে আতঙ্কিত উপকূলের মানুষ।

তুলাতলী বাঁধের বাসিন্দা রেহানা ও রাশিদা বলেন, ঝড় আসবে শুনেই আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছি। আশ্রয়কেন্দ্রে গেলেও বসতঘর আর গবাদি পশু তো রক্ষা হবে না। এসব নিয়ে চিন্তিত আমরা। এদিকে সতর্কতা সংকেত বাড়ায় বুধবার বিকেল থেকে পাঁচ রুট এবং বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সব রুটে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ চলাচল। এতে ভোলার সঙ্গে অন্যান্য জেলার যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

ইলিশা ঘাটে অপেক্ষমাণ যাত্রী সালাউদ্দিন ও মোশারেফ বলেন, নদী উত্তাল থাকায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ, আমরা গন্তব্যে যেতে পারিনি। তবে অপেক্ষায় আছি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যেতে পারব। দুর্যোগ প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) উপ-পরিচালক আবদুর রশিদ বলেন, সতর্কতা সংকেত বাড়লে সিপিপির স্বেচ্ছাসেবীরা মাঠে প্রচারণায় নামবেন, তবে আগে থেকেই তাদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বিআইডব্লিটিএ সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করায় ভোলা-লক্ষ্মীপুরসহ অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটের সব লঞ্চ চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। ভোলা জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭৮৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে। গঠন করা হয়েছে ৯৮টি মেডিকেল টিম। এছাড়াও নগদ টাকা, শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য ও গোখাদ্য এবং চাল মজুদ রাখা হয়েছে।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন ১ নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান বলেন, মেঘনা-তেঁতুলিয়ার নদী উত্তাল থাকলেও আশা করি, জেলা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও শহর রক্ষা এবং তীর সংরক্ষণ মিলিয়ে ৩৫০ কিলোমিটার বাঁধ সুরক্ষিত থাকবে। যদিও ৬৩ কিলোমিটার মাটির বাঁধ রয়েছে।

পাউবো ডিভিশন – ২ নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আসফাউদৌলা জানান রেমেলের আঘাতে মনপুরা সহ কিছু বেড়ীবাঁধের সমস্যা রয়েছে। তা সংস্কারে প্রস্তাব উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমান সহ সকলেই রাতদিন বেরীবাধের কাজে ব্যাস্ত। কিছু সমস্যা আছে যা কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে দ্রুত সকল সমস্যার সমাধান করা হবে।

বাখ//এস