০১:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতীয় উপকূলে ঘূর্ণিঝড় দানা’র তাণ্ডব

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক

ভারতীয় উপকূলে তাণ্ডব চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। ‘প্রবল’ আকারেই তার ‘ল্যান্ডফল’ হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উড়িষ্যার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যবর্তী স্থানে স্থলভাগ অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড়ের সামনের অংশ। এই সময় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতি রয়েছে ১২০ কিলোমিটার। সকাল পর্যন্ত এই ‘ল্যান্ডফল’ প্রক্রিয়া চলবে।

‘ল্যান্ডফল’ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর ঝড়ের দাপট আরও বেড়ে গিয়েছে উড়িষ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলেও ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেও কলকাতায় রাত পর্যন্ত তেমন কোনও প্রভাব দেখা যায়নি। মাঝেমাঝে বিক্ষিপ্ত ভাবে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হচ্ছে শহরে। পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলে অবশ্য রাতেও ঝড়বৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের একাংশে বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছিল। এই ঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। সে কথা মাথায় রেখে আগেভাগেই দিঘা, মন্দারমণির মতো পর্যটনকেন্দ্রগুলি খালি করে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকশূন্য করা হয়েছে দিঘা। স্থানীয়দের উপকূল এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৭:৫০:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
১০০ জন দেখেছেন

ভারতীয় উপকূলে ঘূর্ণিঝড় দানা’র তাণ্ডব

আপডেট : ০৭:৫০:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

ভারতীয় উপকূলে তাণ্ডব চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। ‘প্রবল’ আকারেই তার ‘ল্যান্ডফল’ হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উড়িষ্যার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যবর্তী স্থানে স্থলভাগ অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড়ের সামনের অংশ। এই সময় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতি রয়েছে ১২০ কিলোমিটার। সকাল পর্যন্ত এই ‘ল্যান্ডফল’ প্রক্রিয়া চলবে।

‘ল্যান্ডফল’ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর ঝড়ের দাপট আরও বেড়ে গিয়েছে উড়িষ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলেও ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেও কলকাতায় রাত পর্যন্ত তেমন কোনও প্রভাব দেখা যায়নি। মাঝেমাঝে বিক্ষিপ্ত ভাবে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হচ্ছে শহরে। পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলে অবশ্য রাতেও ঝড়বৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের একাংশে বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছিল। এই ঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। সে কথা মাথায় রেখে আগেভাগেই দিঘা, মন্দারমণির মতো পর্যটনকেন্দ্রগুলি খালি করে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকশূন্য করা হয়েছে দিঘা। স্থানীয়দের উপকূল এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।