০২:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইরানে হামলার সময় বাংকারেই ছিলেন নেতানিয়াহু

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক

ইরানের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গত ১ অক্টোবর ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েল এ হামলা চালিয়েছে। হামলার সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বাংকারে ছিলেন। ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম হায়োমের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানে যখন হামলা হচ্ছিল, তখন তেল আবিবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে একটি ভূগর্ভস্থ কক্ষে (বাংকার) ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্ট। ইরানে হামলা শুরুর পরপরই এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র বলেন, অভিযান চলছে। ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার রয়েছে। প্রতিরক্ষামূলক ও আক্রমণাত্মক এই হামলা চলছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে, তেহরানের পশ্চিমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

রেভল্যুশনারি গার্ডের ঘনিষ্ঠ একটি সংবাদ সংস্থা বলছে, ইরানের রাজধানীর পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। হামলার পরিমাণ এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু এখনো স্পষ্ট নয়।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বলেছে, ইসরায়েলি বিমান হামলা সিরিয়ার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে কয়েকটি সামরিক স্থাপনাকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় হামলার সময় সামরিক সদর দফতরের অপারেশন সেন্টারে তার একটি ছবি প্রকাশ করেছে।

ইরানে ইসরায়েলের হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রও। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র সেন সাভেট এক বিবৃতিতে বলেন, নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় সুনির্দিষ্টভাবে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এটি গত ১ অক্টোবর ইরানের হামলার জবাব।

যুক্তরাষ্ট্রের এ বিবৃতির পর ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম নিউজ ১২ জানিয়েছে, ইরানে ‘দ্বিতীয় দফায়’ হামলা শুরু হয়েছে। ইরানের শিরাজ শহর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

গত বছরের অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। সম্প্রতি লেবাননেও ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে তারা। এসব হামলায় সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও হিজবুল্লাহর প্রধান নিহত হওয়ার পর ১ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। গত ছয় মাসের মধ্যে এটি ছিল ইসরায়েলে ইরানের দ্বিতীয় হামলা। ইসরায়েলের ক্ষতি করার চেষ্টার জন্য শত্রুদের ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে বলে গত সপ্তাহে হুমকি দেয় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট।

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৭:৫০:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪
৬১ জন দেখেছেন

ইরানে হামলার সময় বাংকারেই ছিলেন নেতানিয়াহু

আপডেট : ০৭:৫০:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

ইরানের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গত ১ অক্টোবর ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েল এ হামলা চালিয়েছে। হামলার সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বাংকারে ছিলেন। ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম হায়োমের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানে যখন হামলা হচ্ছিল, তখন তেল আবিবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে একটি ভূগর্ভস্থ কক্ষে (বাংকার) ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্ট। ইরানে হামলা শুরুর পরপরই এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র বলেন, অভিযান চলছে। ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার রয়েছে। প্রতিরক্ষামূলক ও আক্রমণাত্মক এই হামলা চলছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে, তেহরানের পশ্চিমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

রেভল্যুশনারি গার্ডের ঘনিষ্ঠ একটি সংবাদ সংস্থা বলছে, ইরানের রাজধানীর পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। হামলার পরিমাণ এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু এখনো স্পষ্ট নয়।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বলেছে, ইসরায়েলি বিমান হামলা সিরিয়ার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে কয়েকটি সামরিক স্থাপনাকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় হামলার সময় সামরিক সদর দফতরের অপারেশন সেন্টারে তার একটি ছবি প্রকাশ করেছে।

ইরানে ইসরায়েলের হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রও। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র সেন সাভেট এক বিবৃতিতে বলেন, নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় সুনির্দিষ্টভাবে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এটি গত ১ অক্টোবর ইরানের হামলার জবাব।

যুক্তরাষ্ট্রের এ বিবৃতির পর ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম নিউজ ১২ জানিয়েছে, ইরানে ‘দ্বিতীয় দফায়’ হামলা শুরু হয়েছে। ইরানের শিরাজ শহর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

গত বছরের অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। সম্প্রতি লেবাননেও ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে তারা। এসব হামলায় সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও হিজবুল্লাহর প্রধান নিহত হওয়ার পর ১ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। গত ছয় মাসের মধ্যে এটি ছিল ইসরায়েলে ইরানের দ্বিতীয় হামলা। ইসরায়েলের ক্ষতি করার চেষ্টার জন্য শত্রুদের ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে বলে গত সপ্তাহে হুমকি দেয় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট।