গাঁজা ব্যবসা করতে নিষেধ করায় ৩ জনকে কুপিয়ে জখম
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে মাদক (গাঁজা) ব্যবসা বন্ধ করতে বলায় মাদক ব্যবসায়ী কর্তৃক ৩ জনকে কুপিয়ে জখম। ঘটনাটি ঘটেছে,উপজেলার ১নং কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের হাসানখোর গ্রামের পল্লীতে। এ ব্যপারে থানায় এজাহার দাখিল।
বর্ণিত এজাহার ও ভুক্তভোগী সূত্রে প্রকাশ,হাসানখোর গ্রামের মৃত জয়দেল মন্ডলের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৫৫) দীর্ঘদিন ধরে গাঁজা সহ বিভিন্ন মাদকের ব্যবসা ও তা সেবন করে আসছিলো। এতে এলাকার যুব সমাজসহ বিভিন্ন বয়সী লোকজন নেশায় আসক্ত হয়ে এলাকার পরিবেশ নষ্ট সহ নানা অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। আর এসব মাদক ব্যবসা বন্ধে এলাকাবাসী ও প্রতিবেশীরা তাকে নিষেধ করলেও সে কোনো কর্ণপাত না করে বীরদর্পে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪শে অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাসানখোর মৌজার মাদক ব্যবসায়ী আনোয়ার তার মুদি দোকানের সামনে পূর্ব শত্রুতার জেরে মামলার বাদী আশরাফ আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৩০), মেহেদী হাসান (২২) ও নিকটাত্মীয় সোহান মিয়া (১৯)’র সাথে মাদক ব্যবসা নিষেধ করা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করলে তারা বাধা দিলে মাদক ব্যবসায়ী আনোয়ার গং-রা ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাতাড়ি মার ডাং ও ধারালো ছুরি দিয়ে বাধা প্রদানকারীদের মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এতে গুরুতর আহত হয় মিজানুর রহমান (৩০),মেহেদী হাসান (২২) ও নিকটাত্মীয় সোহান মিয়া (১৯)। তাদের আত্মচিতকারে লোকজন ছুটে এলে সশস্ত্ররা দ্রুত ঘটনাস্থল হতে সটকে পড়ে। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। আহত মেহেদীর মাথায় ৭টি সেলাই ও নিকটাত্মীয় সোহান মিয়ার মাথায় ৪টি সেলাই দেয়া হয়েছে।
মাদক ব্যবসায়ী আনোয়ার গং-রা সন্ত্রাসী প্রকৃতির হওয়ায় ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের পুনরায় মারধর সহ জানে প্রাণে শেষ করার ভয় ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই তারা আতংকবোধ করায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এসব অভিযোগের ব্যাপারে অভিযুক্ত মাদক ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনের দেখা না পাওয়ায় তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে গুরুতর জখমি মিজানুর রহমান ও মেহেদী হাসানের পিতা আশরাফ আলী ২৫শে অক্টোবর রাতে পলাশবাড়ী থানায় একখানা এজাহার দাখিল করেছেন।
বাখ//আর