দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত ছয় দিনে এসেছে ৩ হাজার ৫৮৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত ৬ দিনে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৩ হাজার ৫৮৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। তবে এর কোনো প্রভাব পড়েনি স্থানীয় বাজারে। ভারতীয় পেয়াজ বর্তমানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা থেকে ১১৫ টাকা পর্যন্ত। দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা পর্যন্ত।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী জানান, প্রতিদিন ভারত থেকে গড়ে ২২ থেকে ২৭ টি ট্রাকভর্তি পেঁয়াজ ঢুকছে বাংলাদেশ। গেল ১৯ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে ১২৭ টি ট্রাকে ভারত থেকে পেয়াজ আমদানি হয়েছে ৩ হাজার ৮৫৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ।
এসব পেঁয়াজ নতুন শুল্ক ২০ শতাংশ দিয়ে আমদানি করা হচ্ছে। তবুও স্থানীয় বাজারে কমছে না পেঁয়াজের দাম। দিনাজপুর শহরের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজের মোকাম বাহাদুর বাজারে। বাহাদুর বাজার কাঁচা বাজার আড়ৎদার সমিতির সভাপতি বাদশা শেখ জানান, হিলি স্থলবন্দরের পেয়াজ আমদানিকারকরা সীমিত পরিমাণ পেঁয়াজ ছাড়ছে স্থানীয় বাজারে। বেশিরভাগ পেয়াজ চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
যে কারণে স্থানীয় বাজারে চাহিদা তুলনায় যোগান কম। এজন্য কমছে না পেঁয়াজের দাম। ভারতীয় আমদানিকৃত পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১০৫ টাকা পর্যন্ত। দেশীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে পাইকারি বাজারে ১১০ টাকা থেকে ১১৫ টাকা পর্যন্ত যা খুচরা বাজারে গিয়ে আরো বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
দিনাজপুর বাহাদুর বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা ইসমাইল হোসেন জানান, ভারত থেকে যে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে তা খুব অল্প পরিমানে পাচ্ছি আমরা। যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল যে কারণে কমছে না পেঁয়াজের দাম। খুচরা বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা পর্যন্ত এবং দেশীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা পর্যন্ত।
দিনাজপুর শহরের সূইহারি এলাকা থেকে রেল বাজারে আগত ক্রেতা বিমল বিশ্বাস বলেন, পেঁয়াজের দাম বর্তমানে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। ইচ্ছেমতো দাম হাকাচ্ছে দোকানিরা। আমরা সাধারণ ক্রেতারা বিক্রেতাদের কাছে অসহায়।
এদিকে জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ নুরুজ্জামান বলেন,এই জেলার ১৩ টি উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে পেয়াজের আবাদ করে চাষীরা। দেশীয় নতুন পেয়াজ বাজারে এলে দাম কমবে পেয়াজের।
এদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের কঠোর মনিটরিং এর দাবি ভোক্তাদের।
বাখ//এস