০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুরে জলবায়ু সহনশীল স্বল্প মেয়াদী বিনা ধান ১৭ কর্তন উপলক্ষে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

মোঃ খাদেমুল ইসলাম, দিনাজপুর প্রতিনিধি

জলবায়ু সহনশীল স্বল্প মেয়াদী বিনাধান ১৭ কর্তন উপলক্ষে আরডিআরএস বাংলাদেশ কোর কম্প্রিহেসসিভ প্রোগ্রামের আওতায় দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের বোর্ডেরহাট গ্রামে ২৭ অক্টোবর-২০২৪ রবিবার বিকালে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিরল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা হাসান ইমাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন ১০নং রানীপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আল্লামা আজাদ ইকবাল ও বিরল উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃফরিদুল ইসলাম। এছাড়াও আরডিআরএস বাংলাদেশের টেকনিক্যাল কর্মকর্তা (কৃষি) রবিউল আলম, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সুপারভাইজার সুমিত্র কুমার সরকার এবং রানীপুকুর ইউনিয়ন ফেডারেশনের সদস্যসহ এলাকার ধান চাষীগন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রানীপুকুর ইউনিয়ন ফেডারেশনের চেয়ারম্যান রুপসানা পারভীন। কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রদর্শনী প্লটের মাঠ পরিদর্শনসহ ধান কাটার আয়োজন করা হয় এবং প্রদর্শনী প্লটের কৃষক নাজমুল ইসলাম বিনাধান ১৭ এর উৎপাদন কার্যক্রম বর্ননা করেন। এরপর অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ আমন মৌসুমে বর্তমানে পরিবর্তিত জলবায়ুর সাথে সহনশীল স্বল্প মেয়াদী বিনাধান ১৭ এর উপকারীতার বিষয়ে আলোকপাত করেন।

তারা বলেন, বিনাধান ১৭ একটি উ”চ ফলনশীল, খরা সহিষ্ণু স্বল্প মেয়াদী আমন ধানের জাত। প্রজনন পর্যায়ে সর্বো”চ ১৫ থেকে ২০ দিন বৃষ্টি না হলেও এ জাতটির ফলনের তেমন ক্ষতি হয়না এবং ভুপৃষ্ঠ থেকে পানিরস্তর ৭০ থেকে ৮০ সে.মি. নিচে থাকলে ও মাটির আর্দ্রতা শতকরা ২০ ভাগের নীচে নেমে গেলেও ভাল ফলন দিতে সক্ষম।

মাঠ দিবস অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন, বিনাধান ১৭ যেহেতু একটি খরা সহিষ্ণু ধানের জাত, তাই দেশের উত্তরাঞ্চলে বিশেষ করে এ অঞ্চলে এ ধানের সম্ভাবনা আরও বেশী এবং ধান আগাম হওয়ার ফলে দাম বেশি পাবে এবং ধানের খড় গবাদি পশুর খাবার যোগান দিবে। যে সময় জমিটি পড়ে থাকতো সেখানে আগাম সরিষা/আলু চাষাবাদ করে কৃষকরা বেশি লাভবান হবে। অল্প সময়ে দুটি ফলন পাওয়া যাবে। এর কারনে কৃষকদের এই ধান চাষাবাদ করতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এছাড়াও তিনি মাঝারী উচু জমিতে বিনাধান ১৭ চাষাবাদের উপর জোর দিয়ে বলেন, এ ধান চাষে কৃষকেরা একটু যত্নশীল হলে এর ফলন ভালো হয়, তাই বর্তমান বাংলাদেশে পরিবর্তিত জলবায়ুর সাথে খাপ খাওয়ানোর লক্ষ্যে বিনাধান ১৭ জাতের ধানের চাষের ব্যাপকতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা মিলে প্রদর্শনী প্লটের কৃষক নাজমুল ইসলাম এর জমির কর্তনকৃত ধানের মাড়াইয়ের পরে ফলন পরীক্ষা করেন। বিনাধান ১৭ এর ফলন ২০ বঃ মিঃ এ ১৪% আর্দ্রতায় ফলন প্রতি শতাংশে ৩৮ কেজি হিসাবে একরে ৩.৮ টন হেক্টরে পরিমাপ করা হয়।

বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ১২:৩৯:২৬ অপরাহ্ন, রোববার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
৫৫ জন দেখেছেন

দিনাজপুরে জলবায়ু সহনশীল স্বল্প মেয়াদী বিনা ধান ১৭ কর্তন উপলক্ষে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

আপডেট : ১২:৩৯:২৬ অপরাহ্ন, রোববার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

জলবায়ু সহনশীল স্বল্প মেয়াদী বিনাধান ১৭ কর্তন উপলক্ষে আরডিআরএস বাংলাদেশ কোর কম্প্রিহেসসিভ প্রোগ্রামের আওতায় দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের বোর্ডেরহাট গ্রামে ২৭ অক্টোবর-২০২৪ রবিবার বিকালে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিরল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা হাসান ইমাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন ১০নং রানীপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আল্লামা আজাদ ইকবাল ও বিরল উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃফরিদুল ইসলাম। এছাড়াও আরডিআরএস বাংলাদেশের টেকনিক্যাল কর্মকর্তা (কৃষি) রবিউল আলম, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সুপারভাইজার সুমিত্র কুমার সরকার এবং রানীপুকুর ইউনিয়ন ফেডারেশনের সদস্যসহ এলাকার ধান চাষীগন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রানীপুকুর ইউনিয়ন ফেডারেশনের চেয়ারম্যান রুপসানা পারভীন। কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রদর্শনী প্লটের মাঠ পরিদর্শনসহ ধান কাটার আয়োজন করা হয় এবং প্রদর্শনী প্লটের কৃষক নাজমুল ইসলাম বিনাধান ১৭ এর উৎপাদন কার্যক্রম বর্ননা করেন। এরপর অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ আমন মৌসুমে বর্তমানে পরিবর্তিত জলবায়ুর সাথে সহনশীল স্বল্প মেয়াদী বিনাধান ১৭ এর উপকারীতার বিষয়ে আলোকপাত করেন।

তারা বলেন, বিনাধান ১৭ একটি উ”চ ফলনশীল, খরা সহিষ্ণু স্বল্প মেয়াদী আমন ধানের জাত। প্রজনন পর্যায়ে সর্বো”চ ১৫ থেকে ২০ দিন বৃষ্টি না হলেও এ জাতটির ফলনের তেমন ক্ষতি হয়না এবং ভুপৃষ্ঠ থেকে পানিরস্তর ৭০ থেকে ৮০ সে.মি. নিচে থাকলে ও মাটির আর্দ্রতা শতকরা ২০ ভাগের নীচে নেমে গেলেও ভাল ফলন দিতে সক্ষম।

মাঠ দিবস অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন, বিনাধান ১৭ যেহেতু একটি খরা সহিষ্ণু ধানের জাত, তাই দেশের উত্তরাঞ্চলে বিশেষ করে এ অঞ্চলে এ ধানের সম্ভাবনা আরও বেশী এবং ধান আগাম হওয়ার ফলে দাম বেশি পাবে এবং ধানের খড় গবাদি পশুর খাবার যোগান দিবে। যে সময় জমিটি পড়ে থাকতো সেখানে আগাম সরিষা/আলু চাষাবাদ করে কৃষকরা বেশি লাভবান হবে। অল্প সময়ে দুটি ফলন পাওয়া যাবে। এর কারনে কৃষকদের এই ধান চাষাবাদ করতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এছাড়াও তিনি মাঝারী উচু জমিতে বিনাধান ১৭ চাষাবাদের উপর জোর দিয়ে বলেন, এ ধান চাষে কৃষকেরা একটু যত্নশীল হলে এর ফলন ভালো হয়, তাই বর্তমান বাংলাদেশে পরিবর্তিত জলবায়ুর সাথে খাপ খাওয়ানোর লক্ষ্যে বিনাধান ১৭ জাতের ধানের চাষের ব্যাপকতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা মিলে প্রদর্শনী প্লটের কৃষক নাজমুল ইসলাম এর জমির কর্তনকৃত ধানের মাড়াইয়ের পরে ফলন পরীক্ষা করেন। বিনাধান ১৭ এর ফলন ২০ বঃ মিঃ এ ১৪% আর্দ্রতায় ফলন প্রতি শতাংশে ৩৮ কেজি হিসাবে একরে ৩.৮ টন হেক্টরে পরিমাপ করা হয়।

বাখ//আর