০৪:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোদাগাড়ীতে জামায়াতের বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও জনসভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও জনসমাবেস অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪ খ্রি. বিকেল ৪ টায় ডাইংপাড়া পাঁচমাথার মোড়ে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশে গোদাগাড়ী উপজেলা শাখার আমীর মাষ্টার নোমায়ন আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা শাখার আমীর জননেতা অধ্যাপক আব্দুল খালেক।

উপজেলা শাখার সেক্রেটারি হাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক কামরুজ্জামান, রাজশাহী জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক ডঃ ওবায়দুল্লাহ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির রাজশাহী পশ্চিম শাখার সভাপতি রমজান আলী, গোদাগাড়ী পৌর আমীর আনারুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

নির্ধারিত সময়ের আগেই চতুর্দিক থেকে নারায়ে তাকবির – আল্লাহু আকবার, ২৮ অক্টোবরের খুনিদের – ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই, পালাইছে রে পালাইছে – শেখ হাসিনা পালাইছে, ইত্যাদি শ্লোগানে আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে ডাইং পাড়া চত্বর লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।

অনুষ্ঠানে জামায়াত নেতারা বলেন, শেখ হাসিনার বিচার ছাড়া দেশে সংস্কার হতে পারে না। সবার প্রত্যাশা এই সরকার শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় আনবে। যারা জামায়াত ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছিল বাংলার মাটিতে আজ তারাই নিষিদ্ধ। কারণ জামায়াত ইসলামী কোনো ভেসে আসা দল নয়। আগামী নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করা হবে। এদেশে কোনো স্বৈরাচারের ঠাঁই হবে না।

বক্তারা বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর সমাবেশে বৃষ্টির মতো গুলি ছুঁড়েছিল। লগি বৈঠা নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ওপর তান্ডব চালিয়েছিল। ছাত্র জনতাকে হত্যাকারী হিসেবে খুনী হাসিনার ফাঁসি দিতে হবে। নিজে কেউ আইন হাতে তুলে নিবেন না। বাংলাদেশকে কল্যাণমুখী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে ক্ষমার দুয়ার খোলা রাখতে হবে। জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, মানুষ দ্রব্যমূল্য নিয়ে অতিষ্ঠ অসহায় হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে হবে। মানুষকে স্বস্তি দিতে হবে। দ্রব্যমূল্য মানুষের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। বর্তমান সরকারকে এই জায়গায় কাজ করতে হবে।

সেই সাথে দেশে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে ইসলামী দলগুলোর প্রতি ভরসা রাখতে বলেন বক্তারা। সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের প্রতিও আস্থা রাখার কথা বলা হয়। ফ্যাসিষ্ট হাসিনা চলে গেলেও দেশে এখনো দুর্নীতি, হয়রানী, ঘুষ বাণিজ্য কমেনি বলেও তারা দাবী করেন।

বাখ//এস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৪:০৪:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
৩২ জন দেখেছেন

গোদাগাড়ীতে জামায়াতের বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও জনসভা অনুষ্ঠিত

আপডেট : ০৪:০৪:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও জনসমাবেস অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪ খ্রি. বিকেল ৪ টায় ডাইংপাড়া পাঁচমাথার মোড়ে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশে গোদাগাড়ী উপজেলা শাখার আমীর মাষ্টার নোমায়ন আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা শাখার আমীর জননেতা অধ্যাপক আব্দুল খালেক।

উপজেলা শাখার সেক্রেটারি হাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক কামরুজ্জামান, রাজশাহী জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক ডঃ ওবায়দুল্লাহ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির রাজশাহী পশ্চিম শাখার সভাপতি রমজান আলী, গোদাগাড়ী পৌর আমীর আনারুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

নির্ধারিত সময়ের আগেই চতুর্দিক থেকে নারায়ে তাকবির – আল্লাহু আকবার, ২৮ অক্টোবরের খুনিদের – ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই, পালাইছে রে পালাইছে – শেখ হাসিনা পালাইছে, ইত্যাদি শ্লোগানে আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে ডাইং পাড়া চত্বর লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।

অনুষ্ঠানে জামায়াত নেতারা বলেন, শেখ হাসিনার বিচার ছাড়া দেশে সংস্কার হতে পারে না। সবার প্রত্যাশা এই সরকার শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় আনবে। যারা জামায়াত ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছিল বাংলার মাটিতে আজ তারাই নিষিদ্ধ। কারণ জামায়াত ইসলামী কোনো ভেসে আসা দল নয়। আগামী নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করা হবে। এদেশে কোনো স্বৈরাচারের ঠাঁই হবে না।

বক্তারা বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর সমাবেশে বৃষ্টির মতো গুলি ছুঁড়েছিল। লগি বৈঠা নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ওপর তান্ডব চালিয়েছিল। ছাত্র জনতাকে হত্যাকারী হিসেবে খুনী হাসিনার ফাঁসি দিতে হবে। নিজে কেউ আইন হাতে তুলে নিবেন না। বাংলাদেশকে কল্যাণমুখী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে ক্ষমার দুয়ার খোলা রাখতে হবে। জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, মানুষ দ্রব্যমূল্য নিয়ে অতিষ্ঠ অসহায় হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে হবে। মানুষকে স্বস্তি দিতে হবে। দ্রব্যমূল্য মানুষের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। বর্তমান সরকারকে এই জায়গায় কাজ করতে হবে।

সেই সাথে দেশে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে ইসলামী দলগুলোর প্রতি ভরসা রাখতে বলেন বক্তারা। সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের প্রতিও আস্থা রাখার কথা বলা হয়। ফ্যাসিষ্ট হাসিনা চলে গেলেও দেশে এখনো দুর্নীতি, হয়রানী, ঘুষ বাণিজ্য কমেনি বলেও তারা দাবী করেন।

বাখ//এস