রেল গেট নির্মাণের দাবিতে দহর শৈল গ্রামবাসীর রেলপথ অবরোধ
লালপুর উপজেলার এবি ইউনইয়নের দহরশৈল গ্রামবাসী রেলপথ অবরোধ করে রেল গেট নির্মাণের দাবি জানান।মঙ্গলবার ২৯ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে গোপালগঞ্জ থেকে রাজশাহীগামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা অবরোধ করে তারা এ দাবি জানান।
এ সময় দহর শৈল গ্রামের শতশত নারী-পুরুষ রেললাইনের উপর অবস্থান নিয়ে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেন আটকিয়ে দেন। তারা প্রায় ১০ মিনিট ট্রেনটি আটকিয়ে রাখেন। তাদের রেলপথ অবরোধের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রেলওয়ে থানা পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী ও র্যাবের সদস্যরা উপস্থিত হন। পরে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মধ্যস্থতায় গ্রামবাসী রেলপথ অবরোধ থেকে নিবৃত হয়ে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে দেন।
গ্রামবাসীরা জানান, যদি ৩ দিনের মধ্যে কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে আমরা উত্তরাঞ্চলের সাথে রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দিব। এর আগে, গত ১৮ অক্টোবর সকালে ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনের পার্শ্ববর্তী উত্তরাঞ্চলে থেকে ঢাকা অভিমুখী রেললাইনের উপর অবস্থান নিয়ে রেল গেট স্থাপন ও গেটম্যান নিয়োগের দাবি জানান দহর শৈল গ্রামবাসী।
এ বিষয়ে দহর শৈল গ্রামের বাসিন্দা ও এবি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ শাহবুল আলম বলেন, এখানে রেললাইন নির্মাণের সময় থেকেই আমরা দাবি জানিয়ে আসছি এখানে একটি রেল গেট নির্মাণের। কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সেটি আমলে নিচ্ছে না, তাই বাধ্য হয়ে গ্রামবাসী রেলপথ অবরোধ করেছে। গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগ ও খরচে এখানে পাকা রাস্তা নির্মাণের পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা গ্রামবাসীকে উপেক্ষা করে আসছিল। গতকাল রেলপথ অবরোধের পরে ইউএনও স্যারের মধ্যস্থতায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও গ্রামবাসীর সাথে আলোচনা করে এর সমাধানের পথ খুলেছে।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও ছিল। গ্রামবাসীর দাবিটি যৌক্তিক, আবার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য এটি ঝুকিপূর্ণ, যেহেতু পাশেই রেলস্টেশন। আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আগামীকাল বসবো বিষয়টি সমাধানের জন্য।
এ বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহ্ সূফী নূর মোহাম্মদ জানান, দেশে জোর খাটিয়ে বেআইনি কর্মকান্ড চলছে, এটিও তার মধ্যে একটা। আগামীকাল এ বিষয়ে ইউএনও অফিসে আলোচনায় বসার কথা আছে।
উল্লেখ্য, দহরশৈল গ্রামের ৪ শত পরিবার নিজ উদ্যোগ এবং নিজস্ব অর্থায়নে তাদের কষ্ট লাগবের জন্য সোহেলের বাড়ি থেকে রেললাইন পর্যন্ত নিজস্ব জমি ছেড়ে দিয়ে ১০ ফুট প্রশস্থ এবং ১ হাজার ২০ ফুট দীর্ঘ পাকা রাস্তা নির্মান করছেন। এখন তাদের একটাই দাবি তাদের দুর্ভোগের কারন রেললাইনের উপর একটি রেলগেট স্থাপন ও গেটম্যান নিয়োগ।
বাখ//এস