১১:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ফরিদপুরে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য চালু হল জনতার বাজার
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ফরিদপুরে চালু হলো জনতার বাজার। বাজার থেকে কম মূল্যে ক্রয় করতে পারবে সকল ধরনের সবজি। প্রাথমিক পর্যায়ে সপ্তাহে দুইদিন এই বাজার চালু করা হয়েছে। পরবর্তীতে সাতদিনই বাজার চালু রাখার কথা জানিয়েছে আয়োজকরা। ন্যায্য মূল্যে কৃষকের মাঠ থেকে তরতাজা সবজি সরাসরি ভোক্তার হাতে পৌঁছে দিতে কাজ করছে ‘জনতার বাজার’র আয়োজকরা।
শনিবার (২ রা নভেম্বর) দুপুরে শহরের ডায়াবেটিক হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় অস্থায়ীভাবে এই বাজারের আয়োজন করেন কনজ্যুমার ভয়েস বাংলাদেশ নামক সংগঠনটি। সপ্তাহের দুইদিন শনিবার ও বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজি বিক্রি করা হবে। উদ্বোধনী দিনে আলু, পেয়াজ, বেগুন, রসুন, মরিচ, লাউসহ বিভিন্ন সবজি বাজার থেকে কম মূল্যে বিক্রি করা হয়।
এ বাজারে পেঁয়াজ ১০৫টাকা, আলু বিক্রি করা হয় ৫৫টাকা কেজি দরে। আদা ১১০ টাকা কেজি, রসুন ২৩০টাকা, বাধাকপি ৫০টাকা, বেগুন ৫০টাকা, মুলা ৩৫টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও সকল ধরনের সবজি বাজার থেকে কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। এই বাজারে কমদামে সবজি কিনে খুশি ক্রেতারা। তবে সবজির পাশাপাশি ডিমসহ অন্যান্য সামগ্রীও বিক্রি করার দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা।
সবজি কিনতে আসা ক্রেতা রাশিদা বেগম জানান, এধরনের বাজার চালু করায় আমরা খুশি। প্রথমদিনেই এসে সকল প্রকার সবজি এই বাজার থেকে কিনতে পেরেছি। বাজারে পেঁয়াজ ১২৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, এখান থেকে ১০৫টাকা কেজি দরে কিনেছি। এছাড়া আলু কিনেছি ৫৫ টাকা কেজি দরে। সাব্বির হোসেন নামে আরেক ক্রেতা জানান, সবজির পাশাপাশি এই বাজারে ডিম, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রি করলে আমরা আরো উপকৃত হতাম। আয়োজকদের কাছে দাবী জানাই সবজির পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য বিক্রি করার জন্য। সব মিলিয়ে বাজার থেকে ১০০ টাকা কমে কিনতে পেরেছি।
কনজ্যুমার ভয়েস বাংলাদেশের সভাপতি মোস্তফা আমির ফয়সাল জানান, বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারনে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য এই বাজার চালু করা হয়েছে। সপ্তাহে দুইদিন এই বাজার চালু থাকবে, পরবর্তীতে সাত দিনই চালু রাখার ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আরো জানান, সবজির পাশাপাশি অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীও বিক্রি করা হবে। জেলা প্রশাসক আমাদের একটি উন্মুক্ত জায়গার ব্যবস্থা করে দিলে আমরা বৃহৎ পরিসরে বাজার বসাতে পারবো। তখন আরো বেশি মানুষ এখান থেকে বাজার করতে পারবেন। প্রথমদিনে জনতার বাজার থেকে তিন শতাধিক মানুষ সবজি ক্রয় করেছেন।
বাখ//আর