০১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুলিতে নষ্ট রেটিনা দৃষ্টি শক্তি ফিরে পাননি তাড়াশের আমিনুল

চলনবিল প্রতিনিধি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে চোখসহ শরীরের ১৮ টি স্থানে গুলি বিদ্ধ আমিনুল ইসলাম টুটুল সুস্থ্যতা ফিরে পেলেও ফিরে পাননি দৃষ্টি শক্তি। গুলিতে নষ্ট হয়ে গেছে তার বাঁ চোখের রেটিনা। গত ১৬ জুলাই সিরাজগঞ্জ শহরের ইসলামীয়া কলেজ মাঠে গুলি বিদ্ধ হন তিনি।

জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের কুসুম্বী গ্রামের আলম হোসেন ও আনেছা দম্পতির একমাত্র ছেলে আমিনুল। তিনি সিরাজগঞ্জ সরকারী কলেজের রসায়ন বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র।

আমিনুলে বাবা আলম হোসেন জানান, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে সিরাজগঞ্জ শহরের ইসলামীয়া কলেজ মাঠে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে অমার ছেলের বাঁ চোখেসহ শরীরের ১৮ টি স্থানে গুলি লাগে। আমরা জেলা পর্যায়ে দুইদিন চিকিৎসা দিয়ে ১৮ জুলাই ঢাকা চক্ষু ইনষ্টিটিউটে চিকিৎসা জন্য নিয়ে যাই।

কিন্তু চিকিৎসকগণ জানান, গুলিতে তাঁর চোখের রেটিনা নষ্ট হয়ে গেছে। দেশের বাইরে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দিতে হবে। এদিকে আমার অভাব-অনাটনের সংসার। তাই অনেকের আর্থিক সহায়তায় ৪ সেপ্টম্বর ভারতের চেন্নাই শহরে সংকর তেত্রানালয়ে চোখে অস্ত্রপচার করাই। কিন্তু তাতেও চোখ ভাল হয়নি। ছেলে পূর্ণ দৃষ্টি শক্তি ফিরে পায়নি।

দৃষ্টি হারানো আমনিুল ইসলাম বলেন, ভারতে আমার চোখের ক্ষতিগ্রস্থ রেটিনায় সিলিকনের ওয়েল সংযোজন করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি। এর মাঝে একবার ফলো-আপে গিয়েছিলাম। চিকিৎসকগণ আবারও যেতে বলেছেণ। এদিকে আমার অর্থের সংকট রয়েছে। আবার শরীরে এখনোও কয়েকটি গুলি রয়ে গেছে। কিছুটা সুস্থ্যতা ফিরে পেলেও পূর্ণ দৃষ্টি শক্তি ফিরে পাইনি।

এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে চোখসহ শরীরের ১৮ টি স্থানে গুলি বিদ্ধ আমিনুলের ভারতের চিকিৎসার জন্য অনেকেই অর্থ সহায়তা দিয়েছেন। তার আরও অর্থে প্রয়োজন। সকলের সার্বিক সহায়তায় আশা করি সে পূর্ণ দৃষ্টি শক্তি পাবে।

বাখ//এস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৪:৩০:০৩ পূর্বাহ্ন, রোববার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
৬৯ জন দেখেছেন

গুলিতে নষ্ট রেটিনা দৃষ্টি শক্তি ফিরে পাননি তাড়াশের আমিনুল

আপডেট : ০৪:৩০:০৩ পূর্বাহ্ন, রোববার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে চোখসহ শরীরের ১৮ টি স্থানে গুলি বিদ্ধ আমিনুল ইসলাম টুটুল সুস্থ্যতা ফিরে পেলেও ফিরে পাননি দৃষ্টি শক্তি। গুলিতে নষ্ট হয়ে গেছে তার বাঁ চোখের রেটিনা। গত ১৬ জুলাই সিরাজগঞ্জ শহরের ইসলামীয়া কলেজ মাঠে গুলি বিদ্ধ হন তিনি।

জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের কুসুম্বী গ্রামের আলম হোসেন ও আনেছা দম্পতির একমাত্র ছেলে আমিনুল। তিনি সিরাজগঞ্জ সরকারী কলেজের রসায়ন বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র।

আমিনুলে বাবা আলম হোসেন জানান, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে সিরাজগঞ্জ শহরের ইসলামীয়া কলেজ মাঠে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে অমার ছেলের বাঁ চোখেসহ শরীরের ১৮ টি স্থানে গুলি লাগে। আমরা জেলা পর্যায়ে দুইদিন চিকিৎসা দিয়ে ১৮ জুলাই ঢাকা চক্ষু ইনষ্টিটিউটে চিকিৎসা জন্য নিয়ে যাই।

কিন্তু চিকিৎসকগণ জানান, গুলিতে তাঁর চোখের রেটিনা নষ্ট হয়ে গেছে। দেশের বাইরে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দিতে হবে। এদিকে আমার অভাব-অনাটনের সংসার। তাই অনেকের আর্থিক সহায়তায় ৪ সেপ্টম্বর ভারতের চেন্নাই শহরে সংকর তেত্রানালয়ে চোখে অস্ত্রপচার করাই। কিন্তু তাতেও চোখ ভাল হয়নি। ছেলে পূর্ণ দৃষ্টি শক্তি ফিরে পায়নি।

দৃষ্টি হারানো আমনিুল ইসলাম বলেন, ভারতে আমার চোখের ক্ষতিগ্রস্থ রেটিনায় সিলিকনের ওয়েল সংযোজন করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি। এর মাঝে একবার ফলো-আপে গিয়েছিলাম। চিকিৎসকগণ আবারও যেতে বলেছেণ। এদিকে আমার অর্থের সংকট রয়েছে। আবার শরীরে এখনোও কয়েকটি গুলি রয়ে গেছে। কিছুটা সুস্থ্যতা ফিরে পেলেও পূর্ণ দৃষ্টি শক্তি ফিরে পাইনি।

এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে চোখসহ শরীরের ১৮ টি স্থানে গুলি বিদ্ধ আমিনুলের ভারতের চিকিৎসার জন্য অনেকেই অর্থ সহায়তা দিয়েছেন। তার আরও অর্থে প্রয়োজন। সকলের সার্বিক সহায়তায় আশা করি সে পূর্ণ দৃষ্টি শক্তি পাবে।

বাখ//এস