১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলায় আলোচনায় তারেক : বিএনপি এর অঙ্গসংগঠন চাঙ্গা হতে শুরু করেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ও প্রয়াত বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার আমিনুল হকের বেশ আস্থাভাজন ও পারিবারিক বন্ধু হিসেবে সুপরিচিত। বিশিষ্ট শিল্পপতি সুলতানুল ইসলাম তারেক গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলায় গরীব দুঃখী, দলমত নির্বিশেষ পরিচিত এক নাম। তিনি বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা নেতাকর্মীদের নিয়ে দু উপজেলায় সভা সমাবেশ, গরীব মানুষদের ঈদসামগ্রী বিতারণ, পূজা মন্ডপে আর্থিক সাহায্য প্রদান, বিএনপির তৃনমূল নেতা, পতিত আওয়ামী লীগ হাসিনা সরকারের মামলায় হয়রানী, নির্যাতিত ত্যাগি নেতাকর্মীদের বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করে চলেছেন। নেতা কর্মীরা রয়েছে ফুরফুরে মেজাজে।

নেতা কর্মী, দলমত নির্বিশেষে এলাকাবাসী চাচ্ছেন রাজশাহী-১ সংসদীয় আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন করলে দীর্ঘদিনের হারানো আসনটি ফিরে পাবে বিএনপি। এদিকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করে দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি বিএনপির পরিক্ষিত নেতা এ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেক। তিনি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে দলীয় মনোনয়ন পেতে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে ইতমধ্যে আলোচনায় উঠে এসেছেন।

জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় দেড় দশক যাবত ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিএনপির নেতা ও কর্মীসমর্থকদের পাশে থেকে তিনি সাহায্য-সহযোগীতা করে আসছেন। এখানো তিনি তাদের পাশে থেকেই বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড জোরদারে ব্যাপক ভুমিকা রেখে আসছেন। বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামে যে সকল নেতা এবং কর্মী-সমর্থকগণ জুলুম-নির্যাতনে আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসা ও যারা মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছেন, তাদের আইনি সহায়তা দিয়ে আসছেন তারেক। এমনকি রাজশাহীতে দীর্ঘ প্রায় দেড় দশক তিনি বিএনপির বিভিন্ন ছোট-বড় কর্মসুচিতে আর্থিক সহযোগীতা করেছেন, এখানো করছেন। এছাড়াও করোনাকালীন দুর্যোগের সময়ে তানোর উপজেলার ২ পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ এবং গোদাগাড়ী উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৯ টি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় তারেকের কর্মী বাহিনী খাবার সহায়তা নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটে ছিলেন তারেকের লোকজন। তা গেদাগাড়ী তানোরবাসী এখনও স্মরণ রেখেছেন।

গত ঈদে বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক এডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেক এর সহযোগিতায় ৫৫০০ জন গরিব ও দুঃখী মানুষের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরন করেছেন। এ সময়র তারেকের সাথে বিএনপি গোদাগাড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুস সালাম সাওয়াল, সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম ফটিক, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল ইসলাম মাহবুব উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি অ্যাডভোকেট মো. সুলতানুল ইসলাম তারেক ভাইয়ের পক্ষ থেকে পালপুরের ২০১৮ সালের প্রহসনের জাতীয় নির্বাচনে অলোচিত মিথ্যা হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সেতু, মেম্বার, জাহীর, মেজর ও ওয়াসিমসহ প্রত্যেক পরিবারকে প্রতি মাসের আর্থিক সহায়তার টাকা তুলে দেন। এ সময়ে সময়ে দুলাল, সাদেক মেম্বার, সাধীন, কুশুম, শুভ, আহান মতিন, বাবু সহ স্থানীয় বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।

তার সম্পর্কে সাধারণ মানুষদের মধ্যে জনসচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্য তারা নিরলসভাবে কাজ করেছেন। স্থানীয়দের অভিমত সাংসদ নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীর যে ধরণের রাজনৈতিক,সামাজিক,পারিবািরক পরিচিতি, আর্থিক স্বচ্ছলতা, ব্যক্তি ইমেজ, উন্নয়ন মানসিকতা, গ্রহণযোগ্যতা ও দুর্নীতিমুক্ত বৈষম্যদূর করে প্রায়াত ব্যারিষ্টার আমিনুল হকের অসম্পূন্ন কাজগুলি সুন্দরভাবে সম্পূন্ন করতে পারবেন এ মানবতার ফেরিওয়ালা তারেক। একজন যোগ্য, সৎ জনপ্রিয়, সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য, শক্তশালী, হেবিওয়েট প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করছেন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।

গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম শাওয়াল, সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী ১ আসনটি ফিরে পেতে হলে এ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেকের কোন বিকল্প নেই। তার গোদাগাড়ী তানোরে রয়েছে বিশাল কর্মীবাহনী, রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। বিএনপি তথাকথিক কিছু বিএনপির নেতা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের পদধারী নেতাদের নামে মামলা না করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অপর দিকে সাংবাদিক বিএনপির পরীক্ষিত ত্যাগি নেতা, কর্মীদের নামে নামে মামলা করে এলাকায় বিএনপিকে বির্তকিত করছেন। কোন দলীয় সিদ্ধান্ত ছাড়াই মামলা করায় মাঠপর্যায়ে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। মামলা করে চাঁদাবাজির হোতা অধ্যাপক আব্দুল মালেক, আব্দুর রউফ দিলিপ।

গোদাগাড়ী মডেল থানায় দায়েরকৃত ২ টি মামলায়। রাজশাহী জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হামিদ বাবলু গত ২৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ প্রায় ৪৫ জন নামসহ অজ্ঞাত আরো ৫০০-৬০০ জনের নামে মামলা করেন। বাদী নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য ও ব্যাক্তিগত আক্রোশের জেরে বিএনপির ৬-৭জন নেতাকর্মীর নামে মামলা দিয়েছেন, সেখানে বিএনপির নেতা কলেজ শিক্ষক সুমনকে আসামী করা হয়েছে। একই কায়দায় গত ২৮/০৮/২৪ ইং তারিখে গোগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রউফ দিলীপ গোদাগাড়ী মডেল থানায় মামলা করেন যার নম্বর ৩২, ওই মামলায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০/৬০ কে আসামী করা হয়েছে।

এ মামলায় ব্যাক্তিগত আক্রোশের জেরে, স্বার্থ হাসিলে জন্য বিএনপি পরিবারের সদস্য, সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট, প্রধান শিক্ষক মোঃ হায়দার আলীসহ কয়েকজনকে অসৎ উদ্দেশ্যে জড়ানো হয়েছে। এ মামলাবাজ গোষ্ঠি গত ০৫ তারিখে এই ফ্যাসিস্ট হাসিনা জালিম সরকারের পতনের পরে গোদাগাড়ী উপজেলার ভিতরে বিভিন্ন জায়গা দখল, চাঁদাবাজি, বরেন্দ্র প্রকল্পের ডিপ টিউবওয়েল দখল, বালুর ঘাট দখল, অবৈধ ব্যবসা বানিজ্যের সাথে সংযুক্ত হয়েছে।

আমরা কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগে বলেছি গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ছিলেন অধ্যাপক আব্দুল মালেক গণখুনি সরকারের সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী তার দলীয় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, মেয়র অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস, গোগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমান, যুবলীগ নেতা বিপ্লবসহ অন্যান্য আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে গোপন আতাতের মাধ্যমে দলের ভিতরে বিভাজন ও নেতাকর্মীকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়া কাজে যুক্ত ছিলেন।

এর মূল কারণ তার গোদাগাড়ী মহিলা ডিগ্রী কলেজের সভাপতি এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী ছিলেন। নিজ ব্যাক্তি স্বার্থে আব্দুল মালেক গোপন আতাত রাখতেন। দল করলেও তার বিরুদ্ধে কোন মামলা বা জিডি হয়নি। গোগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রউফ দিলিপ কাকনহাট পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের সাথে রাজশাহী মহানগরীর গরুর সিটি হাটে হুন্ডি ব্যবসার সাথে সরাসরি যুক্ত এবং কাঁকনহাট পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান অন্যের পুকুর দখল, পুকুর থেকে জোরপূর্বক মাছ তুলে নেওয়ার সাথে সরাসরি যুক্ত। ফলে র‌্যাব তাকে ২ বার গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে, যা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এবং তিনি দল করলেও তার বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ কোন মামলা বা জিডি হয়নি। তাকে কোন হয়রানি করা হয় নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেক বলেন, রাজশাহী-১ আসনে তিনি বিএনপির দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। তিনি বলেন, ভোটারদের মানসিকতা, তৃণমুলের মতামত ও প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা ইত্যাদি পর্যালোচনা করে মনোনয়ন দেয়া হলে তিনি মনোনয়ন পাবেন বলে শতভাগ আশাবাদী। তবে দলীয় সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত দল যে সিদ্ধান্ত তিনি সেটা মাথা পেতে মেনে নিবেন।

জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সালাম বিপ্লব বলেন, দীর্ঘদিনের হারানো এ আসনটি ফিরে পেতে হলে, গোদাগাড়ী তানোরের মানুষ এ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেক বিকল্প দেখছেন না। জেলা, বিভাগ, কেন্দ্রের নেতাদের তার সুসম্পর্ক রয়েছে তার। তিনি এগিয়ে আছেন অনেক দিক থেকে। তার পরেও দলীয় নিদ্ধান্ত সবাইকে মেনে চলতে হবে।

বাখ//এস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ১১:৩৬:৫১ পূর্বাহ্ন, রোববার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
৯২ জন দেখেছেন

গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলায় আলোচনায় তারেক : বিএনপি এর অঙ্গসংগঠন চাঙ্গা হতে শুরু করেছে

আপডেট : ১১:৩৬:৫১ পূর্বাহ্ন, রোববার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ও প্রয়াত বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার আমিনুল হকের বেশ আস্থাভাজন ও পারিবারিক বন্ধু হিসেবে সুপরিচিত। বিশিষ্ট শিল্পপতি সুলতানুল ইসলাম তারেক গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলায় গরীব দুঃখী, দলমত নির্বিশেষ পরিচিত এক নাম। তিনি বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা নেতাকর্মীদের নিয়ে দু উপজেলায় সভা সমাবেশ, গরীব মানুষদের ঈদসামগ্রী বিতারণ, পূজা মন্ডপে আর্থিক সাহায্য প্রদান, বিএনপির তৃনমূল নেতা, পতিত আওয়ামী লীগ হাসিনা সরকারের মামলায় হয়রানী, নির্যাতিত ত্যাগি নেতাকর্মীদের বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করে চলেছেন। নেতা কর্মীরা রয়েছে ফুরফুরে মেজাজে।

নেতা কর্মী, দলমত নির্বিশেষে এলাকাবাসী চাচ্ছেন রাজশাহী-১ সংসদীয় আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন করলে দীর্ঘদিনের হারানো আসনটি ফিরে পাবে বিএনপি। এদিকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করে দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি বিএনপির পরিক্ষিত নেতা এ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেক। তিনি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে দলীয় মনোনয়ন পেতে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে ইতমধ্যে আলোচনায় উঠে এসেছেন।

জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় দেড় দশক যাবত ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিএনপির নেতা ও কর্মীসমর্থকদের পাশে থেকে তিনি সাহায্য-সহযোগীতা করে আসছেন। এখানো তিনি তাদের পাশে থেকেই বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড জোরদারে ব্যাপক ভুমিকা রেখে আসছেন। বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামে যে সকল নেতা এবং কর্মী-সমর্থকগণ জুলুম-নির্যাতনে আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসা ও যারা মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছেন, তাদের আইনি সহায়তা দিয়ে আসছেন তারেক। এমনকি রাজশাহীতে দীর্ঘ প্রায় দেড় দশক তিনি বিএনপির বিভিন্ন ছোট-বড় কর্মসুচিতে আর্থিক সহযোগীতা করেছেন, এখানো করছেন। এছাড়াও করোনাকালীন দুর্যোগের সময়ে তানোর উপজেলার ২ পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ এবং গোদাগাড়ী উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৯ টি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় তারেকের কর্মী বাহিনী খাবার সহায়তা নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটে ছিলেন তারেকের লোকজন। তা গেদাগাড়ী তানোরবাসী এখনও স্মরণ রেখেছেন।

গত ঈদে বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক এডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেক এর সহযোগিতায় ৫৫০০ জন গরিব ও দুঃখী মানুষের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরন করেছেন। এ সময়র তারেকের সাথে বিএনপি গোদাগাড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুস সালাম সাওয়াল, সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম ফটিক, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল ইসলাম মাহবুব উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি অ্যাডভোকেট মো. সুলতানুল ইসলাম তারেক ভাইয়ের পক্ষ থেকে পালপুরের ২০১৮ সালের প্রহসনের জাতীয় নির্বাচনে অলোচিত মিথ্যা হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সেতু, মেম্বার, জাহীর, মেজর ও ওয়াসিমসহ প্রত্যেক পরিবারকে প্রতি মাসের আর্থিক সহায়তার টাকা তুলে দেন। এ সময়ে সময়ে দুলাল, সাদেক মেম্বার, সাধীন, কুশুম, শুভ, আহান মতিন, বাবু সহ স্থানীয় বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।

তার সম্পর্কে সাধারণ মানুষদের মধ্যে জনসচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্য তারা নিরলসভাবে কাজ করেছেন। স্থানীয়দের অভিমত সাংসদ নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীর যে ধরণের রাজনৈতিক,সামাজিক,পারিবািরক পরিচিতি, আর্থিক স্বচ্ছলতা, ব্যক্তি ইমেজ, উন্নয়ন মানসিকতা, গ্রহণযোগ্যতা ও দুর্নীতিমুক্ত বৈষম্যদূর করে প্রায়াত ব্যারিষ্টার আমিনুল হকের অসম্পূন্ন কাজগুলি সুন্দরভাবে সম্পূন্ন করতে পারবেন এ মানবতার ফেরিওয়ালা তারেক। একজন যোগ্য, সৎ জনপ্রিয়, সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য, শক্তশালী, হেবিওয়েট প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করছেন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।

গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম শাওয়াল, সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী ১ আসনটি ফিরে পেতে হলে এ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেকের কোন বিকল্প নেই। তার গোদাগাড়ী তানোরে রয়েছে বিশাল কর্মীবাহনী, রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। বিএনপি তথাকথিক কিছু বিএনপির নেতা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের পদধারী নেতাদের নামে মামলা না করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অপর দিকে সাংবাদিক বিএনপির পরীক্ষিত ত্যাগি নেতা, কর্মীদের নামে নামে মামলা করে এলাকায় বিএনপিকে বির্তকিত করছেন। কোন দলীয় সিদ্ধান্ত ছাড়াই মামলা করায় মাঠপর্যায়ে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। মামলা করে চাঁদাবাজির হোতা অধ্যাপক আব্দুল মালেক, আব্দুর রউফ দিলিপ।

গোদাগাড়ী মডেল থানায় দায়েরকৃত ২ টি মামলায়। রাজশাহী জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হামিদ বাবলু গত ২৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ প্রায় ৪৫ জন নামসহ অজ্ঞাত আরো ৫০০-৬০০ জনের নামে মামলা করেন। বাদী নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য ও ব্যাক্তিগত আক্রোশের জেরে বিএনপির ৬-৭জন নেতাকর্মীর নামে মামলা দিয়েছেন, সেখানে বিএনপির নেতা কলেজ শিক্ষক সুমনকে আসামী করা হয়েছে। একই কায়দায় গত ২৮/০৮/২৪ ইং তারিখে গোগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রউফ দিলীপ গোদাগাড়ী মডেল থানায় মামলা করেন যার নম্বর ৩২, ওই মামলায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০/৬০ কে আসামী করা হয়েছে।

এ মামলায় ব্যাক্তিগত আক্রোশের জেরে, স্বার্থ হাসিলে জন্য বিএনপি পরিবারের সদস্য, সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট, প্রধান শিক্ষক মোঃ হায়দার আলীসহ কয়েকজনকে অসৎ উদ্দেশ্যে জড়ানো হয়েছে। এ মামলাবাজ গোষ্ঠি গত ০৫ তারিখে এই ফ্যাসিস্ট হাসিনা জালিম সরকারের পতনের পরে গোদাগাড়ী উপজেলার ভিতরে বিভিন্ন জায়গা দখল, চাঁদাবাজি, বরেন্দ্র প্রকল্পের ডিপ টিউবওয়েল দখল, বালুর ঘাট দখল, অবৈধ ব্যবসা বানিজ্যের সাথে সংযুক্ত হয়েছে।

আমরা কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগে বলেছি গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ছিলেন অধ্যাপক আব্দুল মালেক গণখুনি সরকারের সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী তার দলীয় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, মেয়র অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস, গোগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমান, যুবলীগ নেতা বিপ্লবসহ অন্যান্য আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে গোপন আতাতের মাধ্যমে দলের ভিতরে বিভাজন ও নেতাকর্মীকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়া কাজে যুক্ত ছিলেন।

এর মূল কারণ তার গোদাগাড়ী মহিলা ডিগ্রী কলেজের সভাপতি এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী ছিলেন। নিজ ব্যাক্তি স্বার্থে আব্দুল মালেক গোপন আতাত রাখতেন। দল করলেও তার বিরুদ্ধে কোন মামলা বা জিডি হয়নি। গোগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রউফ দিলিপ কাকনহাট পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের সাথে রাজশাহী মহানগরীর গরুর সিটি হাটে হুন্ডি ব্যবসার সাথে সরাসরি যুক্ত এবং কাঁকনহাট পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান অন্যের পুকুর দখল, পুকুর থেকে জোরপূর্বক মাছ তুলে নেওয়ার সাথে সরাসরি যুক্ত। ফলে র‌্যাব তাকে ২ বার গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে, যা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এবং তিনি দল করলেও তার বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ কোন মামলা বা জিডি হয়নি। তাকে কোন হয়রানি করা হয় নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেক বলেন, রাজশাহী-১ আসনে তিনি বিএনপির দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। তিনি বলেন, ভোটারদের মানসিকতা, তৃণমুলের মতামত ও প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা ইত্যাদি পর্যালোচনা করে মনোনয়ন দেয়া হলে তিনি মনোনয়ন পাবেন বলে শতভাগ আশাবাদী। তবে দলীয় সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত দল যে সিদ্ধান্ত তিনি সেটা মাথা পেতে মেনে নিবেন।

জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সালাম বিপ্লব বলেন, দীর্ঘদিনের হারানো এ আসনটি ফিরে পেতে হলে, গোদাগাড়ী তানোরের মানুষ এ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেক বিকল্প দেখছেন না। জেলা, বিভাগ, কেন্দ্রের নেতাদের তার সুসম্পর্ক রয়েছে তার। তিনি এগিয়ে আছেন অনেক দিক থেকে। তার পরেও দলীয় নিদ্ধান্ত সবাইকে মেনে চলতে হবে।

বাখ//এস