০২:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোদাগাড়ীর মুফতি আমির হামজার মাহফিলে লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত

মোঃ হায়দার আলী, নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে ৪ নভেম্বর ও ৫ নভেম্বর উজানপাড়া তাফসীর কমিটির উদ্যেগে  এক বিশাল তাফসুরুল কুরআন মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
দ্বিতীয় দিন মাও. মোহম্মদ  আব্দুল মুমিন বিন দুরুল হোদার সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, বিগত আওয়ামীলীগ সরকার আমূলে বছরের পর বছর কারাভোগকারী মুফতি আমির হামজা (কুষ্টিয়া)।
হিন্দু ভায়েরা বলেন, কেন নিষিদ্ধ করা হবে? তখন হিন্দু ভাইয়েরা কোথায় ছিলেন? যখন ২০০৬ সালে অক্টোবর মাসের ২৮ তারিখে লগি বৈঠা নিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল,  যারা  করে ছিল তাদেরকে নিষিদ্ধ করা অনেক আগেই করা প্রয়োজন ছিল। কুরআন, হাসীদের আলোকে বিশ্লেষণধর্মী বয়ান করার সময় এসব কথা বলেন।
এক শয়তান এখন বিএনপির সাথে দেশের জন্য গণতন্ত্রের জন্য এক সাথে কাজ করতে চাই। হাসান মাহমুদ ২০২৪ ইং সালের প্রথম দিকে ঘোষনা দিয়েছেন  যারা লিল্লাহে তাকবির দেন তারা রাজাকার। যারা তাকবিরকে  এ শব্দের সাথে  ঘোষনা দেন তাদের জন্মের মধ্যে ভেজাল আছে। লিল্লাহে তাকবির কি জামায়াতে ইসলামীর, শিবিরের উত্তরে  লাখ লাখ তৌহিদী জনতা না না ধ্বনি দেন। সবাই বলেন  এটা আল্লাহর । এদেশে ১০০ জন মানুষের মধ্যে ৯৮ জন মানুষ এখন ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হউক এটা চায়। এদেশে সাড়ে ৫৩ রছর নির্যাতন খুন গুমের শিকার হয়েছে। তারা গুম, খুন, আয়নাঘর সৃষ্টি করেছে। শ শ মানুষকে খুন করেছে আয়নাঘরে হাজার মানুষ নির্যাতন করেছে। যা দেশের মানুষ এখন দেখছেন।
তিনি কুরআন, হাসীদ দিয়ে আলোচনার সময় বলেন, দেশে এখন যদি জরিপ করা হয় প্রেসিডেন্ট হওয়ার শতভাগ যোগ্যতা কার আছে সবাই  বলবেন,  জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. সফিকুর রহমানের। সব দলের নেতারা দায়িত্ব পাওয়ার পর লুটপাট শুরু করেন আর  জামায়াতের নেতা হওয়ার জন্য  কেউ নিজে দায়িত্ব নিয়ে চাই না সবাই যোগ্যতম লোকের উপর দায়িত্ব চাপিয়ে দেন।আল্লাহর নিকট দুয়া করেন,  কুরআন হাদীস দিয়ে দেশ শাসন করলে কেমন হয় তা আল্লাহ আমরা দেখতে চাই। এটা দেখার আল্লাহ যেন তৌফিক দান করেন। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, মহিলাদের জন্য আলাদা করে বয়ান করার কথা ছিল কিন্তু করতে না পারায় আগামীতে কোন দিন গোদাগাড়ীতে আসলে অবশ্যই ইনসাল্লাহ করবো।
উল্লেখ্য  বয়নের এক পর্যায়ে  মুফতি আমীর হামজার  কানের ভিতর  পোঁকা প্রবেশ করে এসময় কানে পানি দিয়ে  পোকা বের করার চেষ্টা করা হয়। বয়ান শেষে তা  বের করতে রাজশাহী  ইসলামি ব্যাংক হাসপাতাল নওদাপাড়া ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডা হারুন অর রশিদ এর চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হয়।  ডাক্তার পোঁকা সফলতার সাথে বের করতে সক্ষম হন তিনি আল্লাহর এখন সুস্থ আছেন।
উল্লেখ্য প্রথম দিন  মাও. মোঃ আব্দুল্লাহ এর সভাপিত্বে  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) মোঃ শরিফ উদ্দিন, ২য় দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, বক্তা হিসেবে বয়ান করেন, ড. আবুল কালাম আজাদ আযহারী, ড. ত্বহা বিন জহরুল ইসলাম, মাও. মোঃ আব্দল মুমিন বিন দুরুল হোদা, মাও. হোসাইন আহম্মেদ মাহফুজ,  মাও. এইচ. এম. আব্দুল আলিম, মাও. আব্দুর রশিদ প্রমূখ।
বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৪:৩৮:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪
৭৮ জন দেখেছেন

গোদাগাড়ীর মুফতি আমির হামজার মাহফিলে লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত

আপডেট : ০৪:৩৮:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে ৪ নভেম্বর ও ৫ নভেম্বর উজানপাড়া তাফসীর কমিটির উদ্যেগে  এক বিশাল তাফসুরুল কুরআন মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
দ্বিতীয় দিন মাও. মোহম্মদ  আব্দুল মুমিন বিন দুরুল হোদার সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, বিগত আওয়ামীলীগ সরকার আমূলে বছরের পর বছর কারাভোগকারী মুফতি আমির হামজা (কুষ্টিয়া)।
হিন্দু ভায়েরা বলেন, কেন নিষিদ্ধ করা হবে? তখন হিন্দু ভাইয়েরা কোথায় ছিলেন? যখন ২০০৬ সালে অক্টোবর মাসের ২৮ তারিখে লগি বৈঠা নিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল,  যারা  করে ছিল তাদেরকে নিষিদ্ধ করা অনেক আগেই করা প্রয়োজন ছিল। কুরআন, হাসীদের আলোকে বিশ্লেষণধর্মী বয়ান করার সময় এসব কথা বলেন।
এক শয়তান এখন বিএনপির সাথে দেশের জন্য গণতন্ত্রের জন্য এক সাথে কাজ করতে চাই। হাসান মাহমুদ ২০২৪ ইং সালের প্রথম দিকে ঘোষনা দিয়েছেন  যারা লিল্লাহে তাকবির দেন তারা রাজাকার। যারা তাকবিরকে  এ শব্দের সাথে  ঘোষনা দেন তাদের জন্মের মধ্যে ভেজাল আছে। লিল্লাহে তাকবির কি জামায়াতে ইসলামীর, শিবিরের উত্তরে  লাখ লাখ তৌহিদী জনতা না না ধ্বনি দেন। সবাই বলেন  এটা আল্লাহর । এদেশে ১০০ জন মানুষের মধ্যে ৯৮ জন মানুষ এখন ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হউক এটা চায়। এদেশে সাড়ে ৫৩ রছর নির্যাতন খুন গুমের শিকার হয়েছে। তারা গুম, খুন, আয়নাঘর সৃষ্টি করেছে। শ শ মানুষকে খুন করেছে আয়নাঘরে হাজার মানুষ নির্যাতন করেছে। যা দেশের মানুষ এখন দেখছেন।
তিনি কুরআন, হাসীদ দিয়ে আলোচনার সময় বলেন, দেশে এখন যদি জরিপ করা হয় প্রেসিডেন্ট হওয়ার শতভাগ যোগ্যতা কার আছে সবাই  বলবেন,  জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. সফিকুর রহমানের। সব দলের নেতারা দায়িত্ব পাওয়ার পর লুটপাট শুরু করেন আর  জামায়াতের নেতা হওয়ার জন্য  কেউ নিজে দায়িত্ব নিয়ে চাই না সবাই যোগ্যতম লোকের উপর দায়িত্ব চাপিয়ে দেন।আল্লাহর নিকট দুয়া করেন,  কুরআন হাদীস দিয়ে দেশ শাসন করলে কেমন হয় তা আল্লাহ আমরা দেখতে চাই। এটা দেখার আল্লাহ যেন তৌফিক দান করেন। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, মহিলাদের জন্য আলাদা করে বয়ান করার কথা ছিল কিন্তু করতে না পারায় আগামীতে কোন দিন গোদাগাড়ীতে আসলে অবশ্যই ইনসাল্লাহ করবো।
উল্লেখ্য  বয়নের এক পর্যায়ে  মুফতি আমীর হামজার  কানের ভিতর  পোঁকা প্রবেশ করে এসময় কানে পানি দিয়ে  পোকা বের করার চেষ্টা করা হয়। বয়ান শেষে তা  বের করতে রাজশাহী  ইসলামি ব্যাংক হাসপাতাল নওদাপাড়া ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডা হারুন অর রশিদ এর চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হয়।  ডাক্তার পোঁকা সফলতার সাথে বের করতে সক্ষম হন তিনি আল্লাহর এখন সুস্থ আছেন।
উল্লেখ্য প্রথম দিন  মাও. মোঃ আব্দুল্লাহ এর সভাপিত্বে  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) মোঃ শরিফ উদ্দিন, ২য় দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, বক্তা হিসেবে বয়ান করেন, ড. আবুল কালাম আজাদ আযহারী, ড. ত্বহা বিন জহরুল ইসলাম, মাও. মোঃ আব্দল মুমিন বিন দুরুল হোদা, মাও. হোসাইন আহম্মেদ মাহফুজ,  মাও. এইচ. এম. আব্দুল আলিম, মাও. আব্দুর রশিদ প্রমূখ।
বাখ//আর