জমি দখলের প্রতিবাদে লালমনিরহাটে মুক্তিযোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক বুলু তার নিজ বাড়িতে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমার ভাতিজা লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব বুলবুলের বিরুদ্ধে আজিনুর রহমান অপনকে মারধরের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা অদৌ সত্য নয়।
প্রকৃত ঘটনা হলো উপজেলার ডাউয়াবাড়ি গ্রামে মকবুল হোসেনের পুত্র আজিনুর রহমান অপন একজন জাল দলিল চক্রের সদস্য। সে আমার ক্রয়কৃত ৩ একর ৭৮ শতাংশ জমি যা ১৯৭৯ সাল থেকে ভোগদখল করে আসছি। উক্ত জমি আমার ক্রয়কৃত জমির মুল মালিক মৃত সফর উদ্দিনের স্ত্রী মজিতন নেছাকে দাতা করে একটি জাল দলিল তৈরি করে।
জাল দলিল নং- ৪৭৯৪ তারিখ ১৯/০৪/১৯৬৭ মজিতন নেছার নামে ভুয়া জাল দলিল করে নেয়৷ আমার যাবতীয় কাগজ খুজে দেখি যে একই জমির দলিল ও দাগে আমারও নেয়া আছে। যার দলিল নং ৯৭০১ তারিখ ৮/১০/৭৯ দাগ নং ১৫২০ ও ১৫১৭ জমির পরিমান দুই দাগে ৭৫ শতাংশ। তাদের রেজিষ্ট্রেশনকৃত দলিলটি দেখে সন্দেহ হওয়ায় তুষভান্ডার সাব রেজিস্ট্রার অফিস, জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয় ও জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস রংপুরে তাদের দেওয়া দলিল নম্বর দিয়ে খোজাখুজি করি। কিন্তু ওই দলিলের কোনো হদিস পাইনি।
এ বিষয়কে কেন্দ্র করে আজিনুর রহমান অপনকে আমার কাছে ডেকে নিয়ে তার গালে চড়থাপ্পড় দেই। সে সময় অপন আমার কাছে জাল দলিল করার কথা শিকার করে। জাল দলিলের বিষয়টি জানার পর তাকে পুলিশের হাতে সোর্পদ করার হুমকি দিলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরবতীতে তাকে হাতীবান্ধা হাসপাতালে চিকিৎসা করার জন্য ভর্তি করাই।
অপর দিকে তার পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দেয়। পুলিশ হাসপাতালে এসে রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষন করেন। সেখানে তার শরীরে কোনো প্রকার আঘাতে চিন্হ ছিলো না৷ কিন্তু এ বিষয়টিকে বিভিন্ন খাতে প্রবাহের জন্য আমার ভাতিজা বুলবুলকে জড়িয়ে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। একজন জাল দলিল চক্রের সদস্যকে শাসন করা যদি আমার অপরাধ হয়ে থাকে তাহলে আইনগত ভাবে প্রশাসন যা ব্যবস্থা নিবে তা আমি মাথা পেতে নিবো। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার ভাতিজা বুলবুলকে জড়িয়ে একটি অনলাইন পোর্টালে আজিনুর রহমান আপনের বক্তব্য দিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা আদো সত্য নয়। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বাখ//এস