দূর্গাপূজার ন্যায় কাত্যায়নী পূজাতেও মাগুরায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে : ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মিজানুর রহমান
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ছিল শারদীয় দূর্গাপূজা। এ পূজাতে সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। এ উৎসব শেষ হতে না হতেই এক মাসের ব্যবধানে দেশে সর্বত্র শ্রীশ্রী কাত্যায়নী পূজার আরেকটি বড় ধরণের ধমীয় উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
কাত্যায়নী পূজার এ উৎসবকে ঘিরে সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। দূর্গাপূজায় যেভাবে সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালণ করেছিল ঠিক তেমনি কাত্যায়নী পূজাতেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ দায়িত্ব পালণ করবে।
কাত্যায়নী পূজাতে আনসার বাহিনী নিয়োজিত না থাকলেও আইন শৃঙ্খলার কোন অবনতি ঘটতে দেওয়া হবে না। সেনাবাহিনী ও পুলিশ সার্বক্ষনিক মাঠে নেমে কাজ করবে। প্রতিটি পূজামন্ডপ সিসি ক্যামেরা ও আইপি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা প্রতিটি পূজামন্ডপ পাহাড়ার ব্যবস্থা করা হবে।
এরপরও সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন বিশেষ নিরাপত্তা বিধানে সদা প্রস্তুত থাকবে। বুধবার দুপুরে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার খামারপাড়া গিরিধারী আশ্রম প্রাঙ্গণে কাত্যায়নী পূজা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলি বলেছেন ৮৮ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মিজানুর রহমান,এএফডবিউসি, পিএসসি।
এ সময় অন্যান্য অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাখী ব্যানার্জী, ১৪ ইষ্ট বেংগলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর এম এম জিল্লুর রহমান, শ্রীপুর আর্মি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন তানভীর হাসনাত, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা নারগিস আরা পারভীন, উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অপূর্ব মিত্র, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনোরঞ্জন সরকার, সাধারণ সম্পাদক রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাসসহ আরোও অনেকে। মতবিনিময় সভা শেষে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ কাত্যায়নী পূজামন্ডপ পরিদর্শণ করেন।
বাখ//এস