বাউফলে মাদকসহ আটক ছেলেকে ছাড়িয়ে নিতে হামলা আহত-৩
পটুয়াখালীর বাউফলে মাদক দ্রব্যসহ আটক ছেলেকে ছাড়িয়ে নিতে বাবার নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কালাইয়া বন্দরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন, কালাইয়া বন্দরের বাসিন্দা মো. রশিদ ব্যাপরীর ছেলে মোহাম্মাদ সুমন (২৬), বকু ভূইয়ার ছেলে মো. মুরাদ হোসেন (২৫) ও সোহবার হোসেনের ছেলে মো. আরিফ হোসেন (২৭)। তারা স্থানীয় মাদক নির্মুল কমিটির সদস্য।
আহতদের ভাষ্যমতে, কালাইয়া বন্দরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সজল সাহার ছেলে সৌরিন সাহা (২২) কিশোর গ্যাং গ্রæপের প্রধান। সে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এবং নিজেও মাদক সেবন করেন। ঘটনার দিন রাতে কালাইয়া বন্দরের ধান হাট এলাকায় মাদকের কারবার করার সময় তাকে (সৌরিন সাহা) হাতেনাতে আটক করা হয়। বিষয়টি পুলিশকে জানানোর জন্য চেষ্টাও করছিলেন তারা। খবর পেয়ে সৌরিনের বাবা সজল সাহা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের নিয়ে তাদের ওপরে অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলার বিচার দাবি করে আহত সুমন বলেন,’ সৌরিন একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী। তার কিশোর গ্যাং বাহিনী রয়েছে। বিগত দিনে অনেকে তার কিশোর গ্যাং বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছেন। তার বাবা সজল সাহা তাকে মদদ দিয়ে থাকেন। মাদকসহ আটকের পর তার বাবার নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা করা হয়।’
কালাইয়া বন্দর মাদক নির্মূল কমিটির প্রধান ও ইনকিলাবের সাংবাদিক মো. মাসুম সিদ্দিকি বলেন’ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কালাইয়া বন্দর মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়। গত ৫আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ছাত্র-জনতা মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। ইতিমধ্যে একাধিক মাদকের আখড়া গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে কিশোর গ্যাং বাহিনীর প্রধান সৌরিনকে মাদক সহ আটক করে মাদক নির্মূল কমিটির তিন সদস্য। পরে সৌরিনের বাবা দলবল নিয়ে ওই তিন জনের ওপর নেক্কার জনক হামলা চালায়।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযোগ সজল সাহা। তিনি জানান, ‘ তার ছেলে মাদকের সাথে জড়িত না। কিছু দুষ্টু লোক তার ছেলেকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে এবং মারধর করছেন। এমন খবর পেয়ে খবর তিনি ঘটনাস্থলে দৌড়ে যান। নিজের ছেলেকে বাঁচাতে ডাক-চিৎকার করে সহযোগিতা চাইলে সাধারন মানুষ আহতদের মারধর করে।
এবিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, ‘উভয় পক্ষ ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে সত্য উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।
বাখ//আর