০৮:৫৩ অপরাহ্ন, রোববার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নরসিংদীতে ‘রায়পুরা ম্যারাথনে’ অংশ নিলেন দেশ-বিদেশের ৬০০ দৌড়বিদ

সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দৌড়বিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল “রায়পুরা ম্যারাথন”। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ভোর ৫ টা হতে বেলা ১১ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ম্যারাথনে তিন ক্যাটাগরিতে অংশ নেন দেশ-বিদেশের ৬ শতাধিক জন দৌড়বিদ। উপজেলা প্রশাসন ও রায়পুরা রানার্স কমিটি যৌথভাবে আয়োজন করে এ ম্যারাথন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ম্যারাথনে অংশ নিতে জড়ো হন চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ড, রাশিয়া ও চেক রিপাবলিকের ১৫ জন নাগরিকসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৬ শত জন দৌড়বিদ। শুক্রবার শীতের ভোরে রায়পুরা উপজেলা পরিষদ মাঠে একত্রিত হন আগে থেকেই রেজিস্ট্রেশন করা এসব দৌড়বিদ। বিভিন্ন বয়সী ও পেশার দৌড়বিদের উপস্থিতি উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় এলাকায়। এর আগে রায়পুরায় অনানুষ্ঠানিকভাবে দুইবার হাফ ম্যারাথন হলেও এবারই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে ফুল ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজকরা জানান, নির্ধারিত সময় ভোর ৫ টায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধূরীর উদ্বোধনের পর পর্যায়ক্রমে তিন ক্যাটাগরিতে ৬০০ জন দৌড়বিদ শুর করেন দৌড়। ফুল ম্যারাথন ৪২ কিলোমিটার, হাফ ম্যারাথন ২১ কিলোমিটার ও ১০ কিলোমিটার ম্যারাথনে মোট ৬০০ জনেরও বেশি দৌড়বিদ অংশ নেন।

দৌড়বিদদের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যসহ ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করেন। চিকিৎসা সেবার জন্য ছিল অ্যাম্বুলেন্সসহ মেডিকেল টিম।

ভোর ৫ টায় শুর হয়ে নরসিংদী-রায়পুরা সড়কের হাসনাবাদ ১০ নম্বর ব্রিজ এলাকায় গিয়ে ফের রায়পুরা উপজেলা পরিষদ এসে শেষ হয় এ দৌড়। পরে বিজয়ীরা পান মেডেল, সনদ ও গাছের চারা। এছাড়া তিন ক্যাটাগরিতে মোট ৯ জনকে দেয়া হয় পুরস্কার। ম্যারাথন উপলক্ষে ভোর সাড়ে ৪ টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত নরসিংদী-রায়পুরা আঞ্চলিক সড়কে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এ আয়োজনের মিডিয়া পার্টনার ছিল নরসিংদী প্রেস ক্লাব।

অংশগ্রহণকারী দৌড়বিদ মো: মনির হোসেন বলেন, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য দৌড়ের বিকল্প নেই। যুব সমাজকে মাদকসহ সকল অবক্ষয় থেকে বাঁচাতে সবসময় এমন আয়োজন থাকা উচিত।

ঢাকা থেকে আসা নারী প্রতিযোগী সিদ্দিকা মিলি জানান, আমি এমন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সবসময় উৎসুক হয়ে থাকি। দেশের যে প্রান্তেই এমন আয়োজন হয় অংশগ্রহণের চেষ্টা করি, খুবই ভাল লেগেছে।

ফুল ম্যারাথনে প্রথম হওয়া ইমরান হাসান বলেন, আমি পাবনা থেকে এসেছি। এর আগে রায়পুরা হাফ ম্যারাথনে ১ম হয়েছি, এবার ফুল ম্যারাথনে ১ম হয়ে ভাল লাগছে। এমন আয়োজন নিয়মিত হলে খুশি হব। যারা আয়োজনটি করেছে তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

রায়পুরা ম্যারাথন আয়োজক কমিটির সভাপতি মো: আক্তারজ্জামান বলেন, জেলার ইতিহাসে বৃহৎ এ আয়োজনে দৌড়বিদদের অংশগ্রহণ ছিল স্বতস্ফুর্ত, ভবিষ্যতেও এমন আয়োজনের চেষ্টা থাকবে। সুন্দর একটি আয়োজনে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিকতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

বাখ//এস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৬:৫১:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪
৬৯ জন দেখেছেন

নরসিংদীতে ‘রায়পুরা ম্যারাথনে’ অংশ নিলেন দেশ-বিদেশের ৬০০ দৌড়বিদ

আপডেট : ০৬:৫১:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

নরসিংদীর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দৌড়বিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল “রায়পুরা ম্যারাথন”। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ভোর ৫ টা হতে বেলা ১১ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ম্যারাথনে তিন ক্যাটাগরিতে অংশ নেন দেশ-বিদেশের ৬ শতাধিক জন দৌড়বিদ। উপজেলা প্রশাসন ও রায়পুরা রানার্স কমিটি যৌথভাবে আয়োজন করে এ ম্যারাথন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ম্যারাথনে অংশ নিতে জড়ো হন চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ড, রাশিয়া ও চেক রিপাবলিকের ১৫ জন নাগরিকসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৬ শত জন দৌড়বিদ। শুক্রবার শীতের ভোরে রায়পুরা উপজেলা পরিষদ মাঠে একত্রিত হন আগে থেকেই রেজিস্ট্রেশন করা এসব দৌড়বিদ। বিভিন্ন বয়সী ও পেশার দৌড়বিদের উপস্থিতি উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় এলাকায়। এর আগে রায়পুরায় অনানুষ্ঠানিকভাবে দুইবার হাফ ম্যারাথন হলেও এবারই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে ফুল ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজকরা জানান, নির্ধারিত সময় ভোর ৫ টায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধূরীর উদ্বোধনের পর পর্যায়ক্রমে তিন ক্যাটাগরিতে ৬০০ জন দৌড়বিদ শুর করেন দৌড়। ফুল ম্যারাথন ৪২ কিলোমিটার, হাফ ম্যারাথন ২১ কিলোমিটার ও ১০ কিলোমিটার ম্যারাথনে মোট ৬০০ জনেরও বেশি দৌড়বিদ অংশ নেন।

দৌড়বিদদের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যসহ ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করেন। চিকিৎসা সেবার জন্য ছিল অ্যাম্বুলেন্সসহ মেডিকেল টিম।

ভোর ৫ টায় শুর হয়ে নরসিংদী-রায়পুরা সড়কের হাসনাবাদ ১০ নম্বর ব্রিজ এলাকায় গিয়ে ফের রায়পুরা উপজেলা পরিষদ এসে শেষ হয় এ দৌড়। পরে বিজয়ীরা পান মেডেল, সনদ ও গাছের চারা। এছাড়া তিন ক্যাটাগরিতে মোট ৯ জনকে দেয়া হয় পুরস্কার। ম্যারাথন উপলক্ষে ভোর সাড়ে ৪ টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত নরসিংদী-রায়পুরা আঞ্চলিক সড়কে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এ আয়োজনের মিডিয়া পার্টনার ছিল নরসিংদী প্রেস ক্লাব।

অংশগ্রহণকারী দৌড়বিদ মো: মনির হোসেন বলেন, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য দৌড়ের বিকল্প নেই। যুব সমাজকে মাদকসহ সকল অবক্ষয় থেকে বাঁচাতে সবসময় এমন আয়োজন থাকা উচিত।

ঢাকা থেকে আসা নারী প্রতিযোগী সিদ্দিকা মিলি জানান, আমি এমন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সবসময় উৎসুক হয়ে থাকি। দেশের যে প্রান্তেই এমন আয়োজন হয় অংশগ্রহণের চেষ্টা করি, খুবই ভাল লেগেছে।

ফুল ম্যারাথনে প্রথম হওয়া ইমরান হাসান বলেন, আমি পাবনা থেকে এসেছি। এর আগে রায়পুরা হাফ ম্যারাথনে ১ম হয়েছি, এবার ফুল ম্যারাথনে ১ম হয়ে ভাল লাগছে। এমন আয়োজন নিয়মিত হলে খুশি হব। যারা আয়োজনটি করেছে তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

রায়পুরা ম্যারাথন আয়োজক কমিটির সভাপতি মো: আক্তারজ্জামান বলেন, জেলার ইতিহাসে বৃহৎ এ আয়োজনে দৌড়বিদদের অংশগ্রহণ ছিল স্বতস্ফুর্ত, ভবিষ্যতেও এমন আয়োজনের চেষ্টা থাকবে। সুন্দর একটি আয়োজনে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিকতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

বাখ//এস