১০:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোদাগাড়ীতে পরীক্ষামূলকভাবে পতিত জমিতে জয়েন্ট কিউ জাতের আনারস চাষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ২ জন কৃষক আশার আলো দেখছেন বরেন্দ্র অঞ্চলের আম বাগানের পতিত জমিতে জয়েন্ট কিউ জাতের আনারস চাষ করেছে।

আনারস মূলত টাংগাইলে হয়। কিন্তু কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন ওই এলাকার মাটি ও গোদাগাড়ীর মাটির সাথে অনেক গুনাগুনের মিল থাকায় আনারস চাষের উজ্জল সম্ভারনা রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস বিনা মূল্য আনারসের চারা উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়ন ব্লকের ঈশ্বরীপুর ধামিলা গ্রামের কৃষকের নাম মো : মনিরুল ইসলাম, ১ বিঘা আম বাগানের পতিত জমিতে আনারসের চারা লাগিয়েছেন। এ পর্যন্ত শ্রমিক, চাষ, সার বাবদ খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। অন্য একজন উপজেলার কদমশহর এলাকার কৃষক মো : আমিন ১৫ কাঠা পতিত জমিতে আনারসের চাষা রোপন করেছেন। তার ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার টাকা।

গোদাগাড়ীতে বেশী বেশী ডিপটিউবলের মাধ্যমে সেচের জন্য পানি উত্তোলন করায় পানির স্তর দিনে দিনে নীচে নেমে যাচ্ছে। বৃষ্টপাত কম হওয়ায় পানি রিচার্জ কম হচ্ছে। তাই অঞ্চলে আনারস চাষ করলে প্রধান সুবিধা এতে পানিসেচ তেমন লাগেনা। সাধারণত আম বাগানের পতিত জমি কোন কাজে আসে না তাই এ পতিত জমির ব্যবহার ও কৃষকের বাড়তি আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি এলাকার মানুষের ফলের ও পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা। এ ধরনে আনারসের গড় ওজন প্রায় ১ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

ঈশ্বরীপুর ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার অতনু সরকার বলেন, আনারস মূলত টাঙ্গাইল জেলায় চাষ হয় টাঙ্গাইলের মাটি আর রাজশাহীর মাটি প্রায় একই ধরনের। তাই আশাকরছি আনারসের ফলন ভালো হবে। আমি এর আগে ২০১০ সালে আনারস এর চারা টাংগাইল থেকে এনে চাষ করিয়েছিলাম অল্প জায়গায়। তখন ফলন ভালো হয়েছিল, আশা করি এবারও ভালো হবে। আগামী জৈষ্ঠ্যমাসে আনারস ধরবে। এর আগে একজন কৃষককে ১০০ টি চারা টাংগাইল থেকে এনে চাষ করিয়ে ছিলাম তখন ভালো ফলন হয়েছিল, স্বাদ ছিল অসাধারণ, সে চাষি মারা যাওয়াও আর চাষ সম্প্রসারণ করতে পারিনি।

কৃষক মনিরুল ইসলাম জানান ১ বিঘা আম বাগানের পতিত জমিতে আনারসের চারা লাগিয়েছেন। বিনামূল্য কৃষি অফিস থেকে চারা পেয়েছি, পানি সেচ লাগবে না, পরিচর্যা, অন্যান্য খরচ কম, ফলন ভাল হবে ইনসাল্লাহ লাভবান হব।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোছাঃ মরিয়ম আহম্মেদ বলেন, এখন আমাদের নির্দেশা এক ইঞ্চি জায়গা ফাঁকা রাখা যাবে না। কোন না কোন জিনিস লাগাতে হবে। নিজ পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মেটানোর জন্য। বেশী হলে বাজার জাত করবেন। তাই আম বাঁগানের ফাঁকা (পতিত) জমিগুলি কোন কাজে আসে না তাই ওই সব স্থানে কৃষকদের বিনা মূল্যে চারা দিয়ে জয়েন্টকিউ জাতের আনারস চাষ করার ব্যবস্থা করচ্ছি। ভাল হলে আগামীতে ব্যাপক ভাবে করা হবে।

বাখ//এস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ১২:২১:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪
১০২ জন দেখেছেন

গোদাগাড়ীতে পরীক্ষামূলকভাবে পতিত জমিতে জয়েন্ট কিউ জাতের আনারস চাষ

আপডেট : ১২:২১:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ২ জন কৃষক আশার আলো দেখছেন বরেন্দ্র অঞ্চলের আম বাগানের পতিত জমিতে জয়েন্ট কিউ জাতের আনারস চাষ করেছে।

আনারস মূলত টাংগাইলে হয়। কিন্তু কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন ওই এলাকার মাটি ও গোদাগাড়ীর মাটির সাথে অনেক গুনাগুনের মিল থাকায় আনারস চাষের উজ্জল সম্ভারনা রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস বিনা মূল্য আনারসের চারা উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়ন ব্লকের ঈশ্বরীপুর ধামিলা গ্রামের কৃষকের নাম মো : মনিরুল ইসলাম, ১ বিঘা আম বাগানের পতিত জমিতে আনারসের চারা লাগিয়েছেন। এ পর্যন্ত শ্রমিক, চাষ, সার বাবদ খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। অন্য একজন উপজেলার কদমশহর এলাকার কৃষক মো : আমিন ১৫ কাঠা পতিত জমিতে আনারসের চাষা রোপন করেছেন। তার ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার টাকা।

গোদাগাড়ীতে বেশী বেশী ডিপটিউবলের মাধ্যমে সেচের জন্য পানি উত্তোলন করায় পানির স্তর দিনে দিনে নীচে নেমে যাচ্ছে। বৃষ্টপাত কম হওয়ায় পানি রিচার্জ কম হচ্ছে। তাই অঞ্চলে আনারস চাষ করলে প্রধান সুবিধা এতে পানিসেচ তেমন লাগেনা। সাধারণত আম বাগানের পতিত জমি কোন কাজে আসে না তাই এ পতিত জমির ব্যবহার ও কৃষকের বাড়তি আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি এলাকার মানুষের ফলের ও পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা। এ ধরনে আনারসের গড় ওজন প্রায় ১ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

ঈশ্বরীপুর ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার অতনু সরকার বলেন, আনারস মূলত টাঙ্গাইল জেলায় চাষ হয় টাঙ্গাইলের মাটি আর রাজশাহীর মাটি প্রায় একই ধরনের। তাই আশাকরছি আনারসের ফলন ভালো হবে। আমি এর আগে ২০১০ সালে আনারস এর চারা টাংগাইল থেকে এনে চাষ করিয়েছিলাম অল্প জায়গায়। তখন ফলন ভালো হয়েছিল, আশা করি এবারও ভালো হবে। আগামী জৈষ্ঠ্যমাসে আনারস ধরবে। এর আগে একজন কৃষককে ১০০ টি চারা টাংগাইল থেকে এনে চাষ করিয়ে ছিলাম তখন ভালো ফলন হয়েছিল, স্বাদ ছিল অসাধারণ, সে চাষি মারা যাওয়াও আর চাষ সম্প্রসারণ করতে পারিনি।

কৃষক মনিরুল ইসলাম জানান ১ বিঘা আম বাগানের পতিত জমিতে আনারসের চারা লাগিয়েছেন। বিনামূল্য কৃষি অফিস থেকে চারা পেয়েছি, পানি সেচ লাগবে না, পরিচর্যা, অন্যান্য খরচ কম, ফলন ভাল হবে ইনসাল্লাহ লাভবান হব।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোছাঃ মরিয়ম আহম্মেদ বলেন, এখন আমাদের নির্দেশা এক ইঞ্চি জায়গা ফাঁকা রাখা যাবে না। কোন না কোন জিনিস লাগাতে হবে। নিজ পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মেটানোর জন্য। বেশী হলে বাজার জাত করবেন। তাই আম বাঁগানের ফাঁকা (পতিত) জমিগুলি কোন কাজে আসে না তাই ওই সব স্থানে কৃষকদের বিনা মূল্যে চারা দিয়ে জয়েন্টকিউ জাতের আনারস চাষ করার ব্যবস্থা করচ্ছি। ভাল হলে আগামীতে ব্যাপক ভাবে করা হবে।

বাখ//এস