মাগুরার শ্রীপুরে ১১ একর সরকারি সম্পত্তি অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধার, ফ্রট ভ্যালি নামকরণ ও ফলদ বৃক্ষ রোপন

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়নের ৮ নং শ্রীকোল মৌজার শ্রীকোল ব্রিকফিল্ড নামে পরিচিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১১ একর খাস জমি দেশ স্বাধীনতার পর থেকেই অবৈধ দখলদারদের দখলে ছিল। এরপর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ঔই সম্পত্তি স্বল্পমূল্যে নামেমাত্র সরকারি বন্দোবস্ত নিয়ে ১৫ বছর যাবৎ ভোগদখল করে আসছিল।
পরবর্তিতে ২০২৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পর নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার শুভাকাঙ্খিরা এই জমি উদ্ধারের বিষয়ে মরিয়া হয়ে ওঠেন এবং উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং তখন থেকেই জেলা ও উপজেলা প্রশাসন নড়ে বসেন। মাগুরার নবাগত জেলা প্রশাসক মোঃ অহিদুল ইসলাম মাগুরাতে যোগদানের পর শ্রীপুরের নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাখী ব্যানার্জীকে সাথে নিয়ে এই বৃহৎ সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারের মিশনে কাজ শুরু করেন। স্বল্প সময়ের ব্যবধানেই প্রশাসন জমিটি উদ্ধার করতে সক্ষম হন এবং জেলা প্রশাসক মোঃ অহিদুল ইসলাম এখানে একটি সুদুরপ্রসারি উন্নয়নমূখী পরিকল্পনা হাতে নেন এবং এই জায়গাটিকে “ফ্রট ভ্যালি” নামে নামকরণ করেন।
শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) এই ফ্রট ভ্যালিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে ফলদ বৃক্ষ রোপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাখী ব্যানার্জীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাগুরা জেলা প্রশাসক মোঃ অহিদুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৪ ইষ্ট বেঙ্গলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক এম এম জিল্লুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ আবদুল কাদের, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাহবুবুল হক, জেলা কৃষি সপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. ইয়াসিন আলী, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) প্রকাশ চন্দ্র সরকার, শ্রীপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) গুঞ্জন বিশ্বাস, শ্রীপুর আর্মি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন তানভীর হাসনাথ। শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইদ্রিস আলী, শ্রীপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ড. মুসাফির নজরুল, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সালমা জাহান নিপা প্রমুখ। এছাড়াও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে এই ফ্রুট ভ্যালিতে উন্নত জাতের আম, লিচু, নারিকেল, বেদেনা,কমলাসহ বিভিন্ন প্রজাতীর ৪’শতটি ফলদ বৃক্ষ রোপন করা হয় যা, আগামীতে পরিবেশ সু-রক্ষার পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের ফলের পুষ্টিগুনের চাহিদা পুরনে ভুমিকা রাখবে।
বাখ//এস