০৬:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কয়রায় প্ররোচিত করে আত্মহত্যা ঘটনায় ধামাচাপা দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

কয়রায় প্ররোচিত করে আত্মহত্যার ঘটনা চাপা দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের সুরাত মোড়লের পুত্র মোঃ মেহেদী হাসান। সোমবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় কয়রা উপজেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি জানান, আমার স্কুল পড়ুযা কন্যা হালিমা খাতুনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে ২নং কয়রা গ্রামের রাসেল হোসেন নামের এক যুবক।

বিষয়টি জানতে পেরে আমি ঐ যুবকের পিতা দিদারুলের সাথে উভয় পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে বিবাহ দেওয়া প্রস্তাব দেই। দেওয়ার পর তারা আমার নিকট অর্থের দাবি করে। আমি অর্থের বিষয়টি অপারগতা প্রকাশ করে আমার কন্যাকে নাকনা গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে বিবাহ দেই। বিয়ের পর থেকে রাসেলসহ আরও ২/৩ আমার মেয়েকে ঘর সংসার করতে দিবেনা বলে নানাভাবে মোবাইলের মাধ্যমে হুমকি ধামকি অব্যাহত রাখে। আমার কন্যাকে তার স্বামীর কাছ থেকে ফিরে এসে রাসেলের সংসার করার জন্য একাধিক বার প্রস্তাব দেয়। তাতে সে রাজি না হলে এক পর্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার কন্যার সাথে রাসেলের পুর্বের তোলা ছবি ও গোপনীয় ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভিত প্রদর্শন করে। আমার কন্যা তাকে হয়রানী না করার জন্য রাসেলসহ তাদের পরিবারের লোকজনদের কাছে অনুরোধ জানায়। তাতেও তারা ক্ষ্যান্ত হয়নি।

অবশেষে আমার কন্যা মানসম্মান রক্ষা করতে না পেরে রাসেলের সাথে মোবাইলে কথা বলা অবস্থায় গত ৭ নভেম্বর আমার বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করে। বিষয়টি আত্মহত্যার প্ররোচিত হলেও তারা ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনাটি উৎঘাটন করে তদন্তপুর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কয়রা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৫:৪১:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
১৫৯ জন দেখেছেন

কয়রায় প্ররোচিত করে আত্মহত্যা ঘটনায় ধামাচাপা দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট : ০৫:৪১:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

কয়রায় প্ররোচিত করে আত্মহত্যার ঘটনা চাপা দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের সুরাত মোড়লের পুত্র মোঃ মেহেদী হাসান। সোমবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় কয়রা উপজেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি জানান, আমার স্কুল পড়ুযা কন্যা হালিমা খাতুনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে ২নং কয়রা গ্রামের রাসেল হোসেন নামের এক যুবক।

বিষয়টি জানতে পেরে আমি ঐ যুবকের পিতা দিদারুলের সাথে উভয় পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে বিবাহ দেওয়া প্রস্তাব দেই। দেওয়ার পর তারা আমার নিকট অর্থের দাবি করে। আমি অর্থের বিষয়টি অপারগতা প্রকাশ করে আমার কন্যাকে নাকনা গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে বিবাহ দেই। বিয়ের পর থেকে রাসেলসহ আরও ২/৩ আমার মেয়েকে ঘর সংসার করতে দিবেনা বলে নানাভাবে মোবাইলের মাধ্যমে হুমকি ধামকি অব্যাহত রাখে। আমার কন্যাকে তার স্বামীর কাছ থেকে ফিরে এসে রাসেলের সংসার করার জন্য একাধিক বার প্রস্তাব দেয়। তাতে সে রাজি না হলে এক পর্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার কন্যার সাথে রাসেলের পুর্বের তোলা ছবি ও গোপনীয় ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভিত প্রদর্শন করে। আমার কন্যা তাকে হয়রানী না করার জন্য রাসেলসহ তাদের পরিবারের লোকজনদের কাছে অনুরোধ জানায়। তাতেও তারা ক্ষ্যান্ত হয়নি।

অবশেষে আমার কন্যা মানসম্মান রক্ষা করতে না পেরে রাসেলের সাথে মোবাইলে কথা বলা অবস্থায় গত ৭ নভেম্বর আমার বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করে। বিষয়টি আত্মহত্যার প্ররোচিত হলেও তারা ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনাটি উৎঘাটন করে তদন্তপুর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কয়রা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

বাখ//আর