মাদারগঞ্জে জমি- জমা নিয়ে বিরোধ, ফলদী গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে বিরোধপূর্ণ জমি থেকে শতাধিক কলা আম, লিচু সহ ১৭ শতাংশ জমির মধ্যে কচু গাছ ও বনজ – ফলদ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের ছেলে ইব্রাহিম, মৃত নবাব আলীর ছেলে জিল্লুর রহমান বিরাজ, আ: রাজ্জাক গংদের সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হাসান আলী মন্ডলের ছেলে সাইফুল ইসলাম, বাচ্চু গংদের সাথে ৪ শতাংশ জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
এরই জের ধরে সোমবার ১২ নভেম্বর দুপুরে ইব্রাহিম গং দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বেশ কয়েকটি বনজ ও ফলদ গাছ কেটে ফেলে। এর আগেও তারা ১৭ শতাংশ জায়গার রুপন করা কচু গাছ কেটে নষ্ট করে দেয়। পরে ক্ষতিগ্রস্ত বাচ্চুর বড় ভাই সাইফুল ইসলাম তাতে বাঁধা দিতে গেলে তাঁকে পিটিয়ে আহত করে। আহত অবস্থায় সাইফুলকে মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে নিয়েগেলে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়।
এ ব্যাপারে মোঃ সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে মাদারগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বাদির অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত সাইফুল ইসলাম ১৬১৩ নং দলিল মূল্যে এক খন্ড জমি প্রাপ্ত হইয়া ভোগদখল কিরিয়া কচু ক্ষেত, কলার বাগান, আমগাছ, নারিকেল গাছ রোপন করিয়া ভোগদখল করিয়া আসিতেছে। উক্ত সম্পত্তিতে টিনের প্রাচীর দ্বারা আবদ্ধ করিয়া রাখিয়াছি। এমতাবস্থায় ঘটনার তারিখ ও সময়ে আমার সত্তসাত্ত্বীয় দখলীয় সম্পত্তির মধ্যে বিবাদীগণ প্রবেশ করিয়া টিনের প্রাচীর লুট করিয়া কচু ক্ষেত, কালার বাগান, আমগাছ, নারিকেল গাছ কাটিয়া ক্ষতিসাধন করিতে থাকে সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি বাঁধা দিলে ইব্রাহিম গং আমাকে বেধরক মারপিট করে আহত করে।
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ ইব্রাহীম, বিরাজ গং গাছ কেটে ফেলার কথা স্বীকার করে জানান, ওই জমিটি ১৩ বছর আগে ক্রয় করেছেন, তাদের কাছে প্রয়োজনীয় জমির কাগজ পত্র আছ বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, সাইফুল ইসলাম তারা বেশ কয়েক বছর ধরে জোর করে জমিটি ভোগ করে আসছেন। জমিটি তাদের বলে দাবি করেন।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ওসি ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহিনুর আলম জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি, পুলিশ ঘটনাস্থল তদন্ত করে এসেছে, পরবর্তী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বাখ//এস