বাগেরহাটের চিতলমারীতে জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে ধরে ক্ষিতিশ চন্দ্র গাইন (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ খুন হয়েছেন। বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১২ টার সময় তিনি প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন। দুপুরে তাকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ইমতিয়াজ আহম্মেদ তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহত ক্ষিতিশ চন্দ্র গাইন উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লী চরবড়বাড়িয়া গ্রামের মৃত নগেন্দ্র নাথ গাইনের ছেলে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

নিহতের স্ত্রী অঞ্জলী গাইন, ভাতিজি মেরী গাইন ও ভাগিনা মিঠুন তরফদার জানান, দুই বছর আগে চরবড়বাড়িয়া গ্রামের সেকেল শেখের ছেলে শফিনুর শেখের কাছে ক্ষিতিশ চন্দ্র গাইন ৭ শতক জায়গা বিক্রি করেন। ওই দলিলে দাগ নাম্বার ভুল হয়। এটা ঠিক করে দেওয়ার কথা ছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার স্থানীয় কয়েক নেতা সালিস দরবার করেছে। ক্ষিতিশ চন্দ্র গাইন দাগ নাম্বার ঠিক করে দেওয়ায় রাজিও ছিলেন। কিন্তু দেরী সহ্য করতে না পেরে বুধবার বেলা ১২ টার দিকে শফিনুর শেখ ক্ষিপ্ত হয়ে সড়কি দিয়ে ক্ষিতিশ চন্দ্র গাইনের গলায় আঘাত করে। এতে সে গুরুতর জখম হয়। পরে তাকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ক্ষিতিশ চন্দ্র গাইনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শফিনুর শেখের স্ত্রী নিশি বেগম জানান, তাদের দুটি মেয়ে আছে। বহু কষ্টে সুদে টাকা এনে ক্ষিতিশ চন্দ্র গাইনের কাছ থেকে ৭ শতক জমি ক্রয় করেছিল। পাওনাদাররা টাকা জন্য তার স্বামীকে চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু জায়গার দাগ নাম্বার ঠিক না থাকায় জায়গা বিক্রি করতে পারছিল না। তাই তার স্বামী হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে ছিলেন।

চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ইমতিয়াজ আহম্মেদ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ক্ষিতিশ চন্দ্র গাইনের মৃত্যু হয়েছিল। গলার বামপাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মৃত্যু হয়।

চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হবে। দোষীকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বাখ//আর