০৭:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মধুখালীতে মধুমতী নদীর ভাঙন : বিলীন বাড়িঘর, ফসলি জমি

বিশেষ প্রতিবেদক

টানা বষ্টি ও নদীর পানি কমতে শুরু করায় ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের মধুমতী নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত চার-পাঁচ মাস ধরে উপজেলার পশ্চিম সালামতপুর গ্রামের সাতটি পরিবারের বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট বিলীন হয়েছে মধুমতি নদীর ভাঙনে। অনেক পরিবার ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছেন। ভাঙনে কমপক্ষ ১০ একর ফসলি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে।

সালামতপুর ও দয়ারামপুর গ্রামের কৃষিজমি ভেঙে যাচ্ছে চোখের পলকে। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। সালামতপুর গ্রামের নদীর পশ্চিম-উত্তর পারের অনেকেই। তবে ভাঙন রোধে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ।

ভাঙনকবলিত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের গয়েশপুর, বকসিপুর, জারজরনগর, বিজয় নগর, চরকসুদি এই পাঁচ গ্রামের মানুষ মধুমতি নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কামারখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো রাকিব চৌধুরী ইরান জানান, গ্রাম গুলোর কৃষিজমি, ঘরবাড়ী মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো রক্ষার্থে ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেছি।

নদী ভাঙ্গন রোধের বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উনয়ন বোর্ড ফরিদপুর জেলা উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সন্তোষ কর্মকার জানান, আমরা কর্মকর্তাদর সাথে কথা বলছি। কিছু এলাকার কাজ শুরু হয়েছে। অচিরেই বাঁধের কাজ শুরু হবে।

বাখ//এস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৭:৪৯:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
১৬৪ জন দেখেছেন

মধুখালীতে মধুমতী নদীর ভাঙন : বিলীন বাড়িঘর, ফসলি জমি

আপডেট : ০৭:৪৯:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

টানা বষ্টি ও নদীর পানি কমতে শুরু করায় ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের মধুমতী নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত চার-পাঁচ মাস ধরে উপজেলার পশ্চিম সালামতপুর গ্রামের সাতটি পরিবারের বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট বিলীন হয়েছে মধুমতি নদীর ভাঙনে। অনেক পরিবার ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছেন। ভাঙনে কমপক্ষ ১০ একর ফসলি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে।

সালামতপুর ও দয়ারামপুর গ্রামের কৃষিজমি ভেঙে যাচ্ছে চোখের পলকে। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। সালামতপুর গ্রামের নদীর পশ্চিম-উত্তর পারের অনেকেই। তবে ভাঙন রোধে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ।

ভাঙনকবলিত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের গয়েশপুর, বকসিপুর, জারজরনগর, বিজয় নগর, চরকসুদি এই পাঁচ গ্রামের মানুষ মধুমতি নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কামারখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো রাকিব চৌধুরী ইরান জানান, গ্রাম গুলোর কৃষিজমি, ঘরবাড়ী মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো রক্ষার্থে ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেছি।

নদী ভাঙ্গন রোধের বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উনয়ন বোর্ড ফরিদপুর জেলা উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সন্তোষ কর্মকার জানান, আমরা কর্মকর্তাদর সাথে কথা বলছি। কিছু এলাকার কাজ শুরু হয়েছে। অচিরেই বাঁধের কাজ শুরু হবে।

বাখ//এস