শীতের শুরুতেই তাড়াশ লেপ তোষক তৈরীর ধুম

শীতের শুরুতেই সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার হাট বাজারে লেপ-তোশক তৈরির মহা ধুম পড়েছে। লেপ তোষক তৈরির কারিগরদের যেন দম ফেলার ফুসরত নেই।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, কারিগরা তুলার স্তুপ করে তার উপর ধনুক (বিশেষ এক ধরনের লাঠি) দিয়ে আঘাত করে চলছেন। তুলো পুরোপুরি প্রক্রিয়াজাত করা হলে সেই তুলো ঢোকানো হয় কাপড়ের তৈরির লেপ বা তোষকের কভারে। কভার ও ভিতরের ঢোকানো তুলা ভেদ করে খস খস শব্দ তুলে চলতে থাকে সুই। সুই সুতার গাঁথুনিতে বাঁধা পড়ে যায় সেই কভারের তুলা। তৈরী হয় লেপ তোষক।
তাড়াশ পৌর বাজারে লেপ-তোষক ব্যবসায়ী আবু তাহের জানান, প্রত্যেক বছর শীতের শুরুতে ক্রেতা সাধারণ লেপ তোষকের দোকান গুলোতে ভীর জমায়, তবে শীতের মাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের সংখ্যাও বেড়ে যায়। এবারেও এর ব্যতিক্রম হবে না বলেই তার ধারনা। তিনি আরও জানান, সারা বছর ব্যবসা তেমন একটা হয় না, তাই শীতের এই সময়েই পুরো বছরের ব্যবসা করতে হয়।
গুল্টা বাজারেরলেপ-তোষক ব্যবসায়ী আলাল হোসেন বলেন, শীতের শুরুতে বেচাকেনা বেড়েছে, সময়ের সাথে আরও বাড়বে বলে আশা করছি। তিনি আরও বলেন, একটি সিঙ্গেল লেপ তৈরি করতে তুলা ও কাপড়েরর প্রকার ভেদে ৮০০-১২০০ টাকা, সেমি লেপ তৈরিতে ১২০০-১৫০০ টাকা এবং ভবল লেপ তৈরিতে ১৫০০-১৮০০ টাকার মতো খরচ হয়। তবে তোষক তৈরি ক্ষেত্রে দাম একটু বেশি পড়ে। তুলার মান, পরিমাণ, নারিকেলের ছোবরা ও কাপড়ের উপর নির্ভর করে একেকটি তোষকের ব্যয় ধরা হয়।
এ বছরের আগাম শীত আমাদের সুদিন এনে দিয়েছে। আমরা ব্যস্ত সময় পার করছি।
বাখ//আর