০২:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, কেন্দ্রিয় ওলামা দলের সাবেক মহাসচিব মাওলানা নেছারুল হক

আওয়ামী জাহিলিয়াতের সময় মানুষ মসজিদ, মাদ্রাসা, এমনকি বাসায়ও শান্তিতে থাকতে পারেনি

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, কেন্দ্রিয় ওলামা দলের সাবেক মহাসচিব মাওলানা নেছারুল হক বলেছেন “এমন একটি সময় ছিল যখন আইয়ামে জাহিলিয়াতের মত আওয়ামী জাহিলিয়াতির সময় মানুষ মসজিদ, মাদ্রাসা এমনকি বাসায়ও শান্তিতে থাকতে পারেননি।আমি তার জলন্ত উদাহরন আমি। আমার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছেলেকেও আমার সাথে হাতকরা দড়ি পরিয়ে টেনে নিয়ে গেছে সিএমএম আদালত থেকে জেলখানায়।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন উপলক্ষে পটুয়াখালী সদর উপজেলা বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করেন। সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে জনসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, কেন্দ্রিয় ওলামা দলের সাবেক মহাসচিব মাওলানা নেছারুল হক।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আবদুর রশিদ চুন্নু মিয়া, প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি, বিশেষ বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য ও পটুয়াখালীর পৌর সাবেক মেয়র মোশতাক আহমেদ পিনু প্রমূখ।

তিনি আরোও বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি বাড়ির সামনে যেমন লেখা থাকতো এই বাড়ীতে কোন রাজাকার নেই তেমনি আমরা স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের জন্য দীর্ঘ্যদিনের আন্দোলন চলাকালে বলেছিলাম এমন একদিন আসবে যখন এদেশের প্রত্যেকটি বাড়ীর সামনে লেখা থাকবে এই বাড়ীতে কোন আওয়ামী লীগ নেই। আজ সেই কথা বাস্তাবায়ন হয়েছে, এখন আর কেউ আওয়ামী বলতে স্বীকার করেন না,কেউ বলছে না যে আমি আওয়ামী লীগ করেছি।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরতার কুট্টি বলেন, গত পনের বছরে পটুয়াখালী জেলা বিএনপিকে কোথাও সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হয়নি। আমাদের অফিস ১৪ বার ভেঙ্গে চুরমার করা হয়েছে। অফিস ভাংচুর শেষে অফিসের বৈদ্যুতিক পাখা চুরি, চেয়ার-টেবিলসহ আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। আমরা ঘরে ঘুমাতে পারিনি, পরিবার-পরিজনের খোজ নিতে পারিনি। এতঅত্যাচার-নির্যাতনের পরও এলাকা ছাড়িনি। দেশ থেকে আমাদের কেউ পালিয়েও যায়নি। অথচ শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন। দলের নেতা-কর্মীদের কথাও তিনি চিন্তা করেননি।

তিনি বলেন, প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার অবৈভাবে ক্ষমতা আকড়ে ছিল। তিনি সর্বশেষ হাবিবুল আওয়ালসহ আওয়ামী শাসনামলের তিনটি নির্বাচন কমিশনের বিচার দাবি করেন।

এ দিকে দীর্ঘ্য অনেকবছর পরে পটুয়াখালীর শহীদ আলাউদ্দিন উদ্যান শিশু পার্কে সদর থানা বিএনপি আয়োজিত জনসভাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে হাতে ধানের ছড়া,জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান সহ স্থানীয় নেতাদের ছবি সংবলিত রঙ্গীন প্লাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হতে থাকে। সভায় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবকদল, মহিলাদল, কৃষকদলের নেতাকর্মীসহ দলের সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

বাখ//এস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৪:৩৩:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
১৮০ জন দেখেছেন

জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, কেন্দ্রিয় ওলামা দলের সাবেক মহাসচিব মাওলানা নেছারুল হক

আওয়ামী জাহিলিয়াতের সময় মানুষ মসজিদ, মাদ্রাসা, এমনকি বাসায়ও শান্তিতে থাকতে পারেনি

আপডেট : ০৪:৩৩:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, কেন্দ্রিয় ওলামা দলের সাবেক মহাসচিব মাওলানা নেছারুল হক বলেছেন “এমন একটি সময় ছিল যখন আইয়ামে জাহিলিয়াতের মত আওয়ামী জাহিলিয়াতির সময় মানুষ মসজিদ, মাদ্রাসা এমনকি বাসায়ও শান্তিতে থাকতে পারেননি।আমি তার জলন্ত উদাহরন আমি। আমার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছেলেকেও আমার সাথে হাতকরা দড়ি পরিয়ে টেনে নিয়ে গেছে সিএমএম আদালত থেকে জেলখানায়।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন উপলক্ষে পটুয়াখালী সদর উপজেলা বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করেন। সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে জনসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, কেন্দ্রিয় ওলামা দলের সাবেক মহাসচিব মাওলানা নেছারুল হক।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আবদুর রশিদ চুন্নু মিয়া, প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি, বিশেষ বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য ও পটুয়াখালীর পৌর সাবেক মেয়র মোশতাক আহমেদ পিনু প্রমূখ।

তিনি আরোও বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি বাড়ির সামনে যেমন লেখা থাকতো এই বাড়ীতে কোন রাজাকার নেই তেমনি আমরা স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের জন্য দীর্ঘ্যদিনের আন্দোলন চলাকালে বলেছিলাম এমন একদিন আসবে যখন এদেশের প্রত্যেকটি বাড়ীর সামনে লেখা থাকবে এই বাড়ীতে কোন আওয়ামী লীগ নেই। আজ সেই কথা বাস্তাবায়ন হয়েছে, এখন আর কেউ আওয়ামী বলতে স্বীকার করেন না,কেউ বলছে না যে আমি আওয়ামী লীগ করেছি।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরতার কুট্টি বলেন, গত পনের বছরে পটুয়াখালী জেলা বিএনপিকে কোথাও সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হয়নি। আমাদের অফিস ১৪ বার ভেঙ্গে চুরমার করা হয়েছে। অফিস ভাংচুর শেষে অফিসের বৈদ্যুতিক পাখা চুরি, চেয়ার-টেবিলসহ আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। আমরা ঘরে ঘুমাতে পারিনি, পরিবার-পরিজনের খোজ নিতে পারিনি। এতঅত্যাচার-নির্যাতনের পরও এলাকা ছাড়িনি। দেশ থেকে আমাদের কেউ পালিয়েও যায়নি। অথচ শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন। দলের নেতা-কর্মীদের কথাও তিনি চিন্তা করেননি।

তিনি বলেন, প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার অবৈভাবে ক্ষমতা আকড়ে ছিল। তিনি সর্বশেষ হাবিবুল আওয়ালসহ আওয়ামী শাসনামলের তিনটি নির্বাচন কমিশনের বিচার দাবি করেন।

এ দিকে দীর্ঘ্য অনেকবছর পরে পটুয়াখালীর শহীদ আলাউদ্দিন উদ্যান শিশু পার্কে সদর থানা বিএনপি আয়োজিত জনসভাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে হাতে ধানের ছড়া,জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান সহ স্থানীয় নেতাদের ছবি সংবলিত রঙ্গীন প্লাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হতে থাকে। সভায় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবকদল, মহিলাদল, কৃষকদলের নেতাকর্মীসহ দলের সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

বাখ//এস