কয়রায় কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
কয়রায় কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্প ৪০ দিনের কাজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার গোবরা গ্রামের মৃত আফতাব মিস্ত্রীর পুত্র মোঃ আয়ুব আলী। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকাল ৩ টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি জানান, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের ৪০ দিনের কর্মসূচি প্রকল্পের কয়রা সদর ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওর্য়াডের কাজের টাকা প্রকৃত মালিককে না দিয়ে সু-কৌশলে আত্মসাত করা হয়েছে।
প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য মাসুম বিল্লাহ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ সহকারি প্রকৌশলী পার্থ চক্রবর্তীর সহযোগিতায় এই অর্থ আত্মসাত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি নিজেও কাজ করি। কাজের অর্থের জন্য নগদ খোলা একাউন্ট নং দিযে দেয়।
কিন্তু আমার একাউন্টে কাজের টাকা না দিয়ে ২ নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্যর কাছের ব্যাক্তি ইয়াছিন মোড়লের মোবাইল নং টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইকরামুল হকের টাকা তার মোবাইল একাউন্টে না দিয়ে অন্য একটি নং দেওয়া হয়েছে। আবু হানিফ নামের একজন কাজ করলেও ১৬ হাজার টাকা তার মোবাইল একাউন্টে না দিযে বিশ্বজিৎ নামের এক ব্যাক্তির মোবাইল নং টাকা প্রদান করা হয়েছে।
এ ধরনের অনেক ব্যাক্তির নামের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ অভিযোগের বিষয়ে কথা হলে ইউপি সদস্য মাসুম বিল্লাহ বলেন, যারা অভিযোগ করেছে তার মধ্যে ১ জন ৫ দিন কাজ করে আর কাজে আসেনি। অন্য বাকি ২ জন মোটেও কাজ করেনি।
পরে বিষয়টি জানতে পেরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানালে তারা অন্য লোক দিয়ে কাজ করার অনুমতি প্রদান করেন। তবে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ সহকারি প্রকৌশলী পার্থ চক্রবর্তী বলেন, ইকরামুলের বিষয়টি আগে থেকে জানি এটা মিষ্টেক হয়েছে। বাকি ২ জনের কথা আমি কিছুই জানিনা।
বাখ//এস