তাড়াশ পলো উৎসবে মেতেছেন শৌখিন মাছ শিকারিরা

মৎস্য ভান্ডারখ্যাত চলনবিল অধ্যাসিতু সিরাজগঞ্জের তাড়াশ শৌখিন মৎস্য শিকারিদের পলো উৎসবে মেতেছেন শৌখিন মাছ শিকারিরা। অনেকে ‘পলো উৎসব’ নামেও চেনেন। সোমবার (২ ডিসেম্বর) ভোরে চলনবিলের তাড়াশ উপজেলার কাটাখাল ও ধামাইচ গাঙ্গে ছুটে আসছেন দূর-দূরান্তের শৌখিন মৎস্য শিকারীরা। লোকজ রীতিতে হৈহুলোরে বিলের পানিতে মনের আনন্দে চলছে মাছ শিকার।
জানা যায়, চলনবিলে এ উৎসবে তাড়াশ উপজেলার ইশ্বরপুর, নওখাঁদা, সিরাজগঞ্জ সদর, বগুড়াসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৩ শত মাছ শিকারি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একসঙ্গে মৎস্য শিকার করছেন। তাদের হাতে ছিল পলো, চাক পলো, নেট পলো, ঠেলা জাল, বাদাই জাল, লাঠি জালসহ মাছ ধরার নানা সরঞ্জাম। বিলপাড়ে সমবেত হওয়ার পর একসঙ্গে বিলে নেমে মাছ ধরার আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন শিশু-কিশোর, যুবক, বৃদ্ধসহ নানা বয়সী মানুষ। এ সময় দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ শোল, বোয়াল, গজার, রুই, কাতলা, পুঁটি, খৈলসা, শিং, টেংরা, পাবদা মাছ ধরা পড়ে। দুপুরের দিকে মনে বেশ আনন্দ নিয়ে বাড়ি ফেরেন শিকারিরা।
মৎস্য শিকারি সিরাজগঞ্জ সদরের ফারুক আহমেদ বলেন, আমি প্রতিবছর এলাকার লোকজনের সঙ্গে মৎস্য শিকার করি। প্রতি বছর শখের বসে মাছ শিকারের জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় আসি। এখানে অনেক আনন্দ হয়। উপজেলার ধামাইচ গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, ছোট বড় কয়েকটি বোয়াল মাছ নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
উপজেলার সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্র জানান, দল বেঁধে মাছ ধরার এ আয়োজনে মৎস্য শিকারিদের ডাকা হয় বাউত। তাদের ঘিরেই উৎসবের নামকরণ। ভোরের আলো ফুটতেই বিলাঞ্চলে দলবেঁধে মাছ শিকারে নামেন।
বাখ//এস