১০:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাদারফোর্ডের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভুলে যাওয়া স্বাদ পেল উইন্ডিজ

ক্রীড়া ডেস্ক

সেইন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে যেই সংগ্রহ পেল বাংলাদেশ তাতে ইতিহাস তাদের সপক্ষে, হেড টু হেডে গত এগারো ম্যাচে রেকর্ড তাদের স্বপক্ষে, এমনকি রান তাড়ার ক্ষেত্রেও রেকর্ডটা তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। রেকর্ড বইয়ে এমন প্রতিকূলতাকেও বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে এবং একইসাথে এই মাঠে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে জয় দিয়েই সিরিজটা শুরু করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেরফেন রাদারফোর্ডের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির সাথে অধিনায়ক শেই হোপের দারুণ ইনিংসটাও তাই সেই জয়ের জন্য ধন্যবাদ প্রাপ্য।

২৯৫ রানের লক্ষ্যটা এই মাঠে সহজ হবে না তেমনটাই ছিল বিজ্ঞদের অভিমত; তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গত কয়েক মাসে রান তাড়ায় বেশ নাম কামিয়েছে বটে। শুরুটা অবশ্য সেই লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল না। প্রথম ব্যাটিং পাওয়ারপ্লের মধ্যেই ঘরে ফিরে গেছেন দুই ওপেনার কিং ও লুইস। তানজিম সাকিব ও নাহিদ রানা – একজন বল করলেন আঁটসাঁট লাইনে, আরেকজন আবারও বাইশ গজে করলেন আগুনে বোলিং। দুজনেই দুই ওপেনারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ওই দশ ওভারে উইন্ডিজ ব্যাটারদের নিতে দেন ৪২ রান। উইকেটে আসা কার্টিকে নিয়ে অধিনায়ক হোপ ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করলে কার্টিও রিশাদের বলে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন।

উইকেটে আসা রাদারফোর্ডকে বাংলাদেশ স্বাগতম জানায় গতি দিয়ে। রানার বাউন্সারে কাবু হলেন, থুতনিতে ব্যান্ডেজ লাগাতে হল। তবে তাতেই যেন তেঁতে উঠলেন রাদারফোর্ড। শুরুতে কিছুটা সময় নেওয়ার পর এরপর স্পিনারদের তুলোধোনা করেন, ছেড়ে কথা বলেননি পেসারদেরও। অফসাইডে একের পর এক দারুণ শটের পসরা সাজিয়ে বসেন; ওপর প্রান্তে হোপ ছিলেন আপন ছন্দে।

ত্রিশ ওভারের পর থেকেই ছন্নছাড়া ফিল্ডিং সাজানোর সুযোগ নিয়ে দুজন জেঁকে বসেন মাঠে। তানজিম সাকিবের বলটা অফ সাইডে ঠেলে হোপ ফিফটি তুলে পথ দেখানোর পর পর ৩৬-তম ওভারে রানাকে চার মেরে রাদারফোর্ড পেয়ে যান নিজের টানা পঞ্চম ওয়ানডে ফিফটি! এরপর থেকেই যেন লাগামছাড়া হয়ে উঠলেন তিনি। বিশেষ করে মিরাজকে এক হাত নিয়েছেন দুজনেই। মিরাজের ওপর চড়াও হতে গিয়েই পরের ওভারে হোপ ফেরেন ৮৮ বলে ৮৬ রানের দারুণ ইনিংস শেষে; ডিপ মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়ে। হোপ ফেরায় অবিচল রাদারফোর্ডের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যায় টেস্ট সিরিজ থেকে ফর্ম টেনে আনা গ্রেভসর সাবলীল ব্যাটিংয়ে। সৌম্যর বল ঠেলে জোড়া রানের খোঁজে থাকা রাদারফোর্ড সেঞ্চুরি পেয়ে যান ডিপ স্কয়্যার থেকে ভুল থ্রোতে অতিরিক্ত চার রান পেয়ে গেলে। প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির আনন্দে ভেসে ওঠা রাদারফোর্ড ফিরেছিলেন ওই সৌম্যর শিকার হয়েই, শর্ট থার্ড ম্যানে রানাকে ক্যাচ দিয়ে ৮০ বলের ১১৩ রানের দুর্দন্ত ইনিংস শেষে। তবে কাজটা তিনি সেরেই দিয়েছিলেন প্রায়, বাকিটুকু অনায়াসে গ্রেভস সেরেছেন ৪১* রানে থেকে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গিয়ে।

বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৯:৫৫:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
৪৫ জন দেখেছেন

রাদারফোর্ডের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভুলে যাওয়া স্বাদ পেল উইন্ডিজ

আপডেট : ০৯:৫৫:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

সেইন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে যেই সংগ্রহ পেল বাংলাদেশ তাতে ইতিহাস তাদের সপক্ষে, হেড টু হেডে গত এগারো ম্যাচে রেকর্ড তাদের স্বপক্ষে, এমনকি রান তাড়ার ক্ষেত্রেও রেকর্ডটা তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। রেকর্ড বইয়ে এমন প্রতিকূলতাকেও বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে এবং একইসাথে এই মাঠে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে জয় দিয়েই সিরিজটা শুরু করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেরফেন রাদারফোর্ডের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির সাথে অধিনায়ক শেই হোপের দারুণ ইনিংসটাও তাই সেই জয়ের জন্য ধন্যবাদ প্রাপ্য।

২৯৫ রানের লক্ষ্যটা এই মাঠে সহজ হবে না তেমনটাই ছিল বিজ্ঞদের অভিমত; তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গত কয়েক মাসে রান তাড়ায় বেশ নাম কামিয়েছে বটে। শুরুটা অবশ্য সেই লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল না। প্রথম ব্যাটিং পাওয়ারপ্লের মধ্যেই ঘরে ফিরে গেছেন দুই ওপেনার কিং ও লুইস। তানজিম সাকিব ও নাহিদ রানা – একজন বল করলেন আঁটসাঁট লাইনে, আরেকজন আবারও বাইশ গজে করলেন আগুনে বোলিং। দুজনেই দুই ওপেনারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ওই দশ ওভারে উইন্ডিজ ব্যাটারদের নিতে দেন ৪২ রান। উইকেটে আসা কার্টিকে নিয়ে অধিনায়ক হোপ ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করলে কার্টিও রিশাদের বলে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন।

উইকেটে আসা রাদারফোর্ডকে বাংলাদেশ স্বাগতম জানায় গতি দিয়ে। রানার বাউন্সারে কাবু হলেন, থুতনিতে ব্যান্ডেজ লাগাতে হল। তবে তাতেই যেন তেঁতে উঠলেন রাদারফোর্ড। শুরুতে কিছুটা সময় নেওয়ার পর এরপর স্পিনারদের তুলোধোনা করেন, ছেড়ে কথা বলেননি পেসারদেরও। অফসাইডে একের পর এক দারুণ শটের পসরা সাজিয়ে বসেন; ওপর প্রান্তে হোপ ছিলেন আপন ছন্দে।

ত্রিশ ওভারের পর থেকেই ছন্নছাড়া ফিল্ডিং সাজানোর সুযোগ নিয়ে দুজন জেঁকে বসেন মাঠে। তানজিম সাকিবের বলটা অফ সাইডে ঠেলে হোপ ফিফটি তুলে পথ দেখানোর পর পর ৩৬-তম ওভারে রানাকে চার মেরে রাদারফোর্ড পেয়ে যান নিজের টানা পঞ্চম ওয়ানডে ফিফটি! এরপর থেকেই যেন লাগামছাড়া হয়ে উঠলেন তিনি। বিশেষ করে মিরাজকে এক হাত নিয়েছেন দুজনেই। মিরাজের ওপর চড়াও হতে গিয়েই পরের ওভারে হোপ ফেরেন ৮৮ বলে ৮৬ রানের দারুণ ইনিংস শেষে; ডিপ মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়ে। হোপ ফেরায় অবিচল রাদারফোর্ডের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যায় টেস্ট সিরিজ থেকে ফর্ম টেনে আনা গ্রেভসর সাবলীল ব্যাটিংয়ে। সৌম্যর বল ঠেলে জোড়া রানের খোঁজে থাকা রাদারফোর্ড সেঞ্চুরি পেয়ে যান ডিপ স্কয়্যার থেকে ভুল থ্রোতে অতিরিক্ত চার রান পেয়ে গেলে। প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির আনন্দে ভেসে ওঠা রাদারফোর্ড ফিরেছিলেন ওই সৌম্যর শিকার হয়েই, শর্ট থার্ড ম্যানে রানাকে ক্যাচ দিয়ে ৮০ বলের ১১৩ রানের দুর্দন্ত ইনিংস শেষে। তবে কাজটা তিনি সেরেই দিয়েছিলেন প্রায়, বাকিটুকু অনায়াসে গ্রেভস সেরেছেন ৪১* রানে থেকে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গিয়ে।

বাখ//আর