০৯:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১০০ শয্যা কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র না থাকায় রোগীদের চরম ভোগান্তি

পারভেজ শেখ,কাশিয়ানী প্রতিনিধি

প্রয়োজনীয় ওষুধ ও যন্ত্রপাতির অভাব, ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীর স্বল্পতা। সেই সাথে ৫০ শষ্যার বরাদ্দে জোড়াতালি দিয়ে কোনো রকমে চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ১০০ শষ্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা।ডাক্তার, নার্স, কর্মচারী ও যন্ত্রপাতি এবং ওষুধের স্বল্পতায় গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী হাসপাতালে গুণগত সেবা থেকে প্রতিদিনই বঞ্চিত হচ্ছে কাশিয়ানী ও অলফাডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা শত শত রোগী। যন্ত্রপাতির ও টেকনিকেল সার্পোটের অজুহাত দেখিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা এবং একটু জটিল রোগী হলেই চিকিৎসা না দিয়ে অধিকাংশ রোগীদের পাঠানো হয় গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর এবং ঢাকার হাসপাতালে।

ভোগান্তির শেষ কোথায় কেউ জানে না !হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলা সদরে অবস্থিত ৩১ শয্যা ৫০ শষ্যার হাসপাতালে রুপান্তর হয়ে অল্প কিছুদিন পরই হাসপাতালটি ২০২০ সালের পহেলা জানুয়ারিতে ১০০ শয্যা হাসপাতালে উন্নীত হয়ে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম শুরু করে। আজ পর্যন্ত হাসপাতালটিতে প্রয়োজনীয় ডাক্তার, নার্স, কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়নি। বাড়ানো হয়নি বরাদ্দ। সেইসাথে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি অতিরিক্ত কোনো যন্ত্রপাতি। ১০০ শয্যায় উন্নীত হলেও বাড়েনি বরাদ্দ, বাড়েনি ওষুধ সরবরাহ। সেই ৫০ শষ্যার বরাদ্ধ দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে এই হাসপাতালটি। স্বল্প বরাদ্দ দিয়ে দুই উপজেলার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা চালিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা।

পূর্বের ৫০ শয্যার বরাদ্দ দিয়েই চলছে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালকের কাছে কয়েক দফা আবেদন নিবেদন করেও কোনো ফল পায়নি বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।কাশিয়ানী ও পার্শ্ববর্তী আলফাডাঙ্গা উপজেলার ১৪টি গ্রামের উপজেলার প্রায় চার লক্ষাধিক লোক চিকিৎসা নিয়ে থাকে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা ও গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার সীমান্তবর্তী কাশিয়ানীর এই হাসপাতালে।

এছাড়া এ উপজেলা একটি বিরাট অংশ দিয়ে (৩৫ কিলোমিটার) চলে গেছে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক। এছাড়াও উপজেলার মধ্যে দিয়ে চলে গেছে একটি আঞ্চলিক মহাসড়ক। হর-হামেসাই এ দুইটি সড়কে প্রায় ঘটে সড়ক দুর্ঘটনা। অধিকাংশ হতাহতের চিকিৎসা দেয়া হয় এই হাসপাতালে। ফলে অনেক অসহায় অভিভাবহীন রোগীদের চিকিৎসা দিতে হয় এই হাসপাতালে। যে কারণে হাসপাতালটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অনেক ভুক্তভোগী রোগীদের অভিযোগ, এই হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধ মেলে না। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক মেলে না। বিশেষজ্ঞ চিৎসকদের বিরুদ্ধে প্রতিদিন হাসপাতালের চেম্বারে না বসার অভিযোগও রয়েছে। ফলে রোগীরা ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। আর এই ভোগান্তির শেষ কোথায় কেউ জানে না !

ওষুধ সরবারহের ব্যাপারে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর.এম.ও) ডাক্তার আমিনূল ইসলাম জানান, প্রতিদিন আউটডোরে নির্দিষ্ট পরিমাণের ওষুধ ও সেবা দেয়া হয়। রোগী বেশি হলে আমাদের কিছুই করার থাকে না। আমরা যেটুকু বরাদ্দ পাই, তা দিয়ে এক বছর চালাতে হয়। সরকারি সেবার সবটুকু দেবার চেষ্টা করি। প্রয়োজনীয় সব ওষুধ দেয়া সম্ভব হয় না। তবে অনেক প্রকার ওষুধ দেওয়া হয় রোগীদের।

অন্যদিকে, হাসপাতালে ডেন্টাল বিভাগের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকায় সাধারণ মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ডাক্তার থাকলেও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল এবং মেডিসিন না থাকায় দন্ত চিকিৎসক রোগী দেখে শুধুই পরামর্শ দেওয়া হয় এবং অলস সময় পার করেন ডেন্টাল সার্জন। আর এ সুযোগে টেকনিশিয়ান দেবাশীষ ব্রক্ষচারী নিজেই বাজারে চেম্বার নিয়ে রমরমা ব্যবসা করে চলেছেন। হাসপাতালে দুইটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালক রয়েছে মাত্র একজন। একটি অ্যাম্বুলেন্সে ব্যবহৃত হলেও অপরটি হাসপাতালের গ্যারেজে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। প্রয়োজনের সময়ে রোগীরা অ্যাম্বুলেন্স পান না। ফলে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বাইরের থেকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নিতে হচ্ছে।

হাসপাতালটিতে প্যাথলজী, এ্যানালক ও ডিজিটাল এক্সে, ইসিজি, রক্ত, মলমূত্রসহ বিভিন্ন পরিক্ষার যন্ত্রপাতি ও টেকনিশিয়ান থাকালে হাতে গোনা কয়েকটি পরিক্ষা নিরিক্ষা করা হয়। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এই হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীরা।

হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম জানান, হাসপাতালটি ১০০ শষ্যায় উন্নিত হলেও বরাদ্দ রয়ে গেছে ৫০ শষ্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের। বরাদ্দ বাড়লে ওষুধের সরবরাহ এবং সুযোগ-সুবিধা বাড়বে। ফলে রোগীদের সেবার মান বেড়ে যাবে।তিনি আরো জানান, হাসপাতালে মোট-৫০ জন ডাক্তারের পদ থাকলেও কর্মরত আছে মাত্র ২১ জন।

২৯ জন ডাক্তারের পদ শূন্য রয়েছে। ৪৪ জন নার্সের স্থলে কর্মরত আছে ৩৫ জন, ০৯ জন নার্সে পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর ক্ষেত্রে একই অবস্থা ২৩৬ জন কর্মচারীর স্থলে কর্মরত আছে ৯৪ জন মাত্র। ডাক্তারের পদ পূর্ণ হলে কাঙ্খিত সেবা দিতে পারবো। এই হাসপাতালে মোট ২৩৬টি পদের মধ্যে ১৩৯ কর্মরত ৯৩টি পদ শূন্য রয়েছে। পদগুলো পূর্ণ হলে সেবার মান বাড়বে এটি হাসপাতাল কতৃপক্ষের দাবি।

বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ১০:২৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
৬৬ জন দেখেছেন

১০০ শয্যা কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র না থাকায় রোগীদের চরম ভোগান্তি

আপডেট : ১০:২৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রয়োজনীয় ওষুধ ও যন্ত্রপাতির অভাব, ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীর স্বল্পতা। সেই সাথে ৫০ শষ্যার বরাদ্দে জোড়াতালি দিয়ে কোনো রকমে চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ১০০ শষ্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা।ডাক্তার, নার্স, কর্মচারী ও যন্ত্রপাতি এবং ওষুধের স্বল্পতায় গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী হাসপাতালে গুণগত সেবা থেকে প্রতিদিনই বঞ্চিত হচ্ছে কাশিয়ানী ও অলফাডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা শত শত রোগী। যন্ত্রপাতির ও টেকনিকেল সার্পোটের অজুহাত দেখিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা এবং একটু জটিল রোগী হলেই চিকিৎসা না দিয়ে অধিকাংশ রোগীদের পাঠানো হয় গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর এবং ঢাকার হাসপাতালে।

ভোগান্তির শেষ কোথায় কেউ জানে না !হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলা সদরে অবস্থিত ৩১ শয্যা ৫০ শষ্যার হাসপাতালে রুপান্তর হয়ে অল্প কিছুদিন পরই হাসপাতালটি ২০২০ সালের পহেলা জানুয়ারিতে ১০০ শয্যা হাসপাতালে উন্নীত হয়ে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম শুরু করে। আজ পর্যন্ত হাসপাতালটিতে প্রয়োজনীয় ডাক্তার, নার্স, কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়নি। বাড়ানো হয়নি বরাদ্দ। সেইসাথে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি অতিরিক্ত কোনো যন্ত্রপাতি। ১০০ শয্যায় উন্নীত হলেও বাড়েনি বরাদ্দ, বাড়েনি ওষুধ সরবরাহ। সেই ৫০ শষ্যার বরাদ্ধ দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে এই হাসপাতালটি। স্বল্প বরাদ্দ দিয়ে দুই উপজেলার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা চালিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা।

পূর্বের ৫০ শয্যার বরাদ্দ দিয়েই চলছে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালকের কাছে কয়েক দফা আবেদন নিবেদন করেও কোনো ফল পায়নি বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।কাশিয়ানী ও পার্শ্ববর্তী আলফাডাঙ্গা উপজেলার ১৪টি গ্রামের উপজেলার প্রায় চার লক্ষাধিক লোক চিকিৎসা নিয়ে থাকে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা ও গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার সীমান্তবর্তী কাশিয়ানীর এই হাসপাতালে।

এছাড়া এ উপজেলা একটি বিরাট অংশ দিয়ে (৩৫ কিলোমিটার) চলে গেছে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক। এছাড়াও উপজেলার মধ্যে দিয়ে চলে গেছে একটি আঞ্চলিক মহাসড়ক। হর-হামেসাই এ দুইটি সড়কে প্রায় ঘটে সড়ক দুর্ঘটনা। অধিকাংশ হতাহতের চিকিৎসা দেয়া হয় এই হাসপাতালে। ফলে অনেক অসহায় অভিভাবহীন রোগীদের চিকিৎসা দিতে হয় এই হাসপাতালে। যে কারণে হাসপাতালটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অনেক ভুক্তভোগী রোগীদের অভিযোগ, এই হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধ মেলে না। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক মেলে না। বিশেষজ্ঞ চিৎসকদের বিরুদ্ধে প্রতিদিন হাসপাতালের চেম্বারে না বসার অভিযোগও রয়েছে। ফলে রোগীরা ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। আর এই ভোগান্তির শেষ কোথায় কেউ জানে না !

ওষুধ সরবারহের ব্যাপারে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর.এম.ও) ডাক্তার আমিনূল ইসলাম জানান, প্রতিদিন আউটডোরে নির্দিষ্ট পরিমাণের ওষুধ ও সেবা দেয়া হয়। রোগী বেশি হলে আমাদের কিছুই করার থাকে না। আমরা যেটুকু বরাদ্দ পাই, তা দিয়ে এক বছর চালাতে হয়। সরকারি সেবার সবটুকু দেবার চেষ্টা করি। প্রয়োজনীয় সব ওষুধ দেয়া সম্ভব হয় না। তবে অনেক প্রকার ওষুধ দেওয়া হয় রোগীদের।

অন্যদিকে, হাসপাতালে ডেন্টাল বিভাগের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকায় সাধারণ মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ডাক্তার থাকলেও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল এবং মেডিসিন না থাকায় দন্ত চিকিৎসক রোগী দেখে শুধুই পরামর্শ দেওয়া হয় এবং অলস সময় পার করেন ডেন্টাল সার্জন। আর এ সুযোগে টেকনিশিয়ান দেবাশীষ ব্রক্ষচারী নিজেই বাজারে চেম্বার নিয়ে রমরমা ব্যবসা করে চলেছেন। হাসপাতালে দুইটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালক রয়েছে মাত্র একজন। একটি অ্যাম্বুলেন্সে ব্যবহৃত হলেও অপরটি হাসপাতালের গ্যারেজে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। প্রয়োজনের সময়ে রোগীরা অ্যাম্বুলেন্স পান না। ফলে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বাইরের থেকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নিতে হচ্ছে।

হাসপাতালটিতে প্যাথলজী, এ্যানালক ও ডিজিটাল এক্সে, ইসিজি, রক্ত, মলমূত্রসহ বিভিন্ন পরিক্ষার যন্ত্রপাতি ও টেকনিশিয়ান থাকালে হাতে গোনা কয়েকটি পরিক্ষা নিরিক্ষা করা হয়। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এই হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীরা।

হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম জানান, হাসপাতালটি ১০০ শষ্যায় উন্নিত হলেও বরাদ্দ রয়ে গেছে ৫০ শষ্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের। বরাদ্দ বাড়লে ওষুধের সরবরাহ এবং সুযোগ-সুবিধা বাড়বে। ফলে রোগীদের সেবার মান বেড়ে যাবে।তিনি আরো জানান, হাসপাতালে মোট-৫০ জন ডাক্তারের পদ থাকলেও কর্মরত আছে মাত্র ২১ জন।

২৯ জন ডাক্তারের পদ শূন্য রয়েছে। ৪৪ জন নার্সের স্থলে কর্মরত আছে ৩৫ জন, ০৯ জন নার্সে পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর ক্ষেত্রে একই অবস্থা ২৩৬ জন কর্মচারীর স্থলে কর্মরত আছে ৯৪ জন মাত্র। ডাক্তারের পদ পূর্ণ হলে কাঙ্খিত সেবা দিতে পারবো। এই হাসপাতালে মোট ২৩৬টি পদের মধ্যে ১৩৯ কর্মরত ৯৩টি পদ শূন্য রয়েছে। পদগুলো পূর্ণ হলে সেবার মান বাড়বে এটি হাসপাতাল কতৃপক্ষের দাবি।

বাখ//আর