১১:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফুলবাড়ীতে কনকনে শীতে স্থবির জনজীবন, মিলছে না সূর্যের দেখা

মোঃ আবু শহীদ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

উত্তরের জেলা দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে টানা কয়েকদিন ধরেই কমছে রাতের তাপমাত্রা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘনকুয়াশা পড়ছে। দুপুরে কুয়াশা কিছুটা কমলেও মিলছে না সূর্যের দেখা। হিমেল হাওয়ার সাথে তীব্র শীত আর কনকনে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না।

কুয়াশার কারনে দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে যানবাহন। এদিকে ঘন কুয়াশায় তীব্র শীত ও হিমেল বাতাসের প্রভাবে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের। তারা ঠিকমতো কাজে যেতে পারছেন না। ফলে উপার্জনে ভাটা পড়তে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস। জেলায় চলতি মৌসুমে গত ৭ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস (যা সারাদেশের ২য় সর্বনিম্ন)।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সর্বত্রই কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতি। সেই সঙ্গে বইছে হিমেল বাতাস। কেউ কেউ খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। ঘন কুয়াশা রাত থেকে সকাল পর্যন্ত এবং দিনভর হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীতে সাধারণ মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছে। তিব্র শীতের কারণে জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। তবে পরিবারের চাহিদা মেটাতে অনেকেই শীত উপেক্ষা করেই কাজের সন্ধানে ছুটছেন।

এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। এছাড়া তীব্র শীতের কারনে শহরের ব্যস্ততম সড়ক ও হাটবাজার গুলোতে লোক সমাগম কম লক্ষ করা গেছে। সকালে ঘনকুয়াশা থাকার কারণে বিভিন্ন সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহান চলাচল করতে দেখা গেছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. নুরে আলম জানান, শীতের কারণে হাসপাতালে বাড়ছে জ্রর, সর্দিকাশি, পাতলা পায়খানা, এজমা, স্বাশকষ্টসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। গত ২৪ ঘন্টায় জরুরি বিভাগে ৭৫- ৮০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগ শীতজনিত রোগী।

দিনাজপুরের আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, রাতের তাপমাত্রা সামান্য কিছুটা বেড়েছে, তবে দিনের তাপমাত্রা বেশ কয়েক ডিগ্রি কমেছে। আকাশে মেঘের উপস্থিতি বিরাজ করার কারণে রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পায়নি। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস । বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭% এবং বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১ কিলোমিটার। দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলায় চলতি মৌসুমে গত ৭ ডিসেম্বর সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস (যা সারাদেশের ২য় সর্বনিম্ন)।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ তমাল জানান, উপজেলায় অসহায় দুস্থ্যদের জন্য সরকারীভাবে ২০০পিচ কম্বল এবং তিন লাখ টাকা বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। বরাদ্ধকৃত অর্থ দিয়ে কম্বল কিনে সবগুলো শিঘ্রই বিতরণ করা হবে।

বাখ//এস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৫:৪০:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
৩৯ জন দেখেছেন

ফুলবাড়ীতে কনকনে শীতে স্থবির জনজীবন, মিলছে না সূর্যের দেখা

আপডেট : ০৫:৪০:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

উত্তরের জেলা দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে টানা কয়েকদিন ধরেই কমছে রাতের তাপমাত্রা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘনকুয়াশা পড়ছে। দুপুরে কুয়াশা কিছুটা কমলেও মিলছে না সূর্যের দেখা। হিমেল হাওয়ার সাথে তীব্র শীত আর কনকনে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না।

কুয়াশার কারনে দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে যানবাহন। এদিকে ঘন কুয়াশায় তীব্র শীত ও হিমেল বাতাসের প্রভাবে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের। তারা ঠিকমতো কাজে যেতে পারছেন না। ফলে উপার্জনে ভাটা পড়তে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস। জেলায় চলতি মৌসুমে গত ৭ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস (যা সারাদেশের ২য় সর্বনিম্ন)।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সর্বত্রই কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতি। সেই সঙ্গে বইছে হিমেল বাতাস। কেউ কেউ খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। ঘন কুয়াশা রাত থেকে সকাল পর্যন্ত এবং দিনভর হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীতে সাধারণ মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছে। তিব্র শীতের কারণে জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। তবে পরিবারের চাহিদা মেটাতে অনেকেই শীত উপেক্ষা করেই কাজের সন্ধানে ছুটছেন।

এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। এছাড়া তীব্র শীতের কারনে শহরের ব্যস্ততম সড়ক ও হাটবাজার গুলোতে লোক সমাগম কম লক্ষ করা গেছে। সকালে ঘনকুয়াশা থাকার কারণে বিভিন্ন সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহান চলাচল করতে দেখা গেছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. নুরে আলম জানান, শীতের কারণে হাসপাতালে বাড়ছে জ্রর, সর্দিকাশি, পাতলা পায়খানা, এজমা, স্বাশকষ্টসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। গত ২৪ ঘন্টায় জরুরি বিভাগে ৭৫- ৮০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগ শীতজনিত রোগী।

দিনাজপুরের আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, রাতের তাপমাত্রা সামান্য কিছুটা বেড়েছে, তবে দিনের তাপমাত্রা বেশ কয়েক ডিগ্রি কমেছে। আকাশে মেঘের উপস্থিতি বিরাজ করার কারণে রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পায়নি। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস । বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭% এবং বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১ কিলোমিটার। দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলায় চলতি মৌসুমে গত ৭ ডিসেম্বর সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস (যা সারাদেশের ২য় সর্বনিম্ন)।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ তমাল জানান, উপজেলায় অসহায় দুস্থ্যদের জন্য সরকারীভাবে ২০০পিচ কম্বল এবং তিন লাখ টাকা বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। বরাদ্ধকৃত অর্থ দিয়ে কম্বল কিনে সবগুলো শিঘ্রই বিতরণ করা হবে।

বাখ//এস