১২:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাঁচবিবিতে ভারতীয় সীমান্তে আদবাসী বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি নন্দইল সীমান্তে শ্যামাচরণ সিং(৬৫) নামের একজন আদিবাসী বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ধরন্জি ইউনিয়নের নন্দইল সীমান্তের ২৭৮ নং মেইন পিলারের ৩৭ নং সাব পিলার নিকট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ঐ বৃদ্ধের পায়ে শিকল পরানো ছিল। মৃত শ্যামাচরণ নন্দইল হঠাৎ পাড়া আদিবাসী গ্রামের মৃত নিংরু পাহানের ছেলে।

স্হানীয় ইউপি সদস্য জয়নুল আবেদীন তার পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, রাতে খাওয়া দাওয়ার পর শ্যামাচরণ ও তার স্ত্রী ঘরে শুয়েছিল। আনুমানিক ১২ টার দিকে তার স্ত্রী ঘুম থেকে জাগা পেয়ে দেখেন তার স্বামী নেই। রাতেই খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান পাননি।

পরে সকালে মাঠে কাজ করতে গিয়ে এলাকাবাসী তার লাশ দেখতে পেয়ে ১৪ বিজিবি পত্নীতলা ব্যাটেলিয়ানের অধীন কড়িয়া বিওপির ক্যাম্পে খবর দেয়। পরে খবর পেয়ে পাঁচবিবি থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিযে আসে। কড়িয়া বিওপি কমান্ডার শাহ আলম জানান শ্যামাচরণ দীর্ঘদিন মানসিক প্রতিবন্ধী রোগে ভুগছিলেন। এ জন্য পরিবার থেকে তার পায়ে শেকল লাগিয়ে রাখে।

রাতের কোনো এক সময় বাড়ি থেকে খালি গায়ে বের হয়ে সীমান্ত এলাকায় ফাঁকা মাঠে সারারাত থাকাই ঠান্ডায় মারা যেতে পারে। সীমান্তে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় শ্যামাচরণ সিং দীর্ঘদিন ধরে পাগল ছিলেন। পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ কাওসার আলী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনিও তার মানসিক ভারসাম্যহীনতার কথা বলে জানান। রাতে প্রচন্ড ঠান্ডা ও বার্ধ্যকজনিত কারনে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারনা।

বাখ///আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০২:৩৪:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
৯৫ জন দেখেছেন

পাঁচবিবিতে ভারতীয় সীমান্তে আদবাসী বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

আপডেট : ০২:৩৪:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি নন্দইল সীমান্তে শ্যামাচরণ সিং(৬৫) নামের একজন আদিবাসী বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ধরন্জি ইউনিয়নের নন্দইল সীমান্তের ২৭৮ নং মেইন পিলারের ৩৭ নং সাব পিলার নিকট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ঐ বৃদ্ধের পায়ে শিকল পরানো ছিল। মৃত শ্যামাচরণ নন্দইল হঠাৎ পাড়া আদিবাসী গ্রামের মৃত নিংরু পাহানের ছেলে।

স্হানীয় ইউপি সদস্য জয়নুল আবেদীন তার পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, রাতে খাওয়া দাওয়ার পর শ্যামাচরণ ও তার স্ত্রী ঘরে শুয়েছিল। আনুমানিক ১২ টার দিকে তার স্ত্রী ঘুম থেকে জাগা পেয়ে দেখেন তার স্বামী নেই। রাতেই খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান পাননি।

পরে সকালে মাঠে কাজ করতে গিয়ে এলাকাবাসী তার লাশ দেখতে পেয়ে ১৪ বিজিবি পত্নীতলা ব্যাটেলিয়ানের অধীন কড়িয়া বিওপির ক্যাম্পে খবর দেয়। পরে খবর পেয়ে পাঁচবিবি থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিযে আসে। কড়িয়া বিওপি কমান্ডার শাহ আলম জানান শ্যামাচরণ দীর্ঘদিন মানসিক প্রতিবন্ধী রোগে ভুগছিলেন। এ জন্য পরিবার থেকে তার পায়ে শেকল লাগিয়ে রাখে।

রাতের কোনো এক সময় বাড়ি থেকে খালি গায়ে বের হয়ে সীমান্ত এলাকায় ফাঁকা মাঠে সারারাত থাকাই ঠান্ডায় মারা যেতে পারে। সীমান্তে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় শ্যামাচরণ সিং দীর্ঘদিন ধরে পাগল ছিলেন। পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ কাওসার আলী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনিও তার মানসিক ভারসাম্যহীনতার কথা বলে জানান। রাতে প্রচন্ড ঠান্ডা ও বার্ধ্যকজনিত কারনে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারনা।

বাখ///আর