০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুয়াকাটায় আওয়ামী লীগ নেতার বসতবাড়ি ভাংচুর ও জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় আওয়ামী লীগ নেতার বসতবাড়ি ভাংচুর, জমি দখল, লুটপাট ও চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় কুয়াকাটা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের কার্য্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মো. হাবিবুর রহমান। তিনি জানান তার বাবা সন্ত্রাসীদের মারধরে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এরপরও সন্ত্রাসীরা আমার বাবা সহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা হামলা সহ নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত করে চলছে

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাবিবুর রহমান বলেন, আমার বাবা গাজী মোঃ ইউসুফ আলী কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এটাই তার অপরাধ। ৫ আগস্টের পর স্থানীয় শাহজাহান বিশ্বাস, নূর নবী গাজী ও হাবিব মৃধা গংরা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাদের ৪০ বছরের ভোগদখলীয় দুই একর জমি একদল সন্ত্রাসী নিয়ে দখল করে নেয়। বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। নগত ৩ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার সবকিছু নিয়ে যায়। এ সময় আমার বাবা, ভাই বোনকে ব্যাপক মারধর করে। আমার বাবা গাজী মোঃ ইউসুফ আলীর পা ভেঙে ফেলে সন্ত্রাসীরা। এসময় আমরা প্রশাসনের কাছে আইনী সহায়তা চাইলে তারা সহায়তা করেনি। তাই বাধ্য হয়ে আদালতের স্বরণাপন্ন হয়েছি।

 

তিনি আরো বলেন,দীর্ঘ বছরের ভোগদখলীয় জমি এখন তাদের বলে দাবি করে দখলকৃত জমিতে সবজ্বীর বাগান করেছে। এবিষয়ে আমরা আইনী প্রক্রিয়ায় গেলে দখলদাররা আইনী প্রক্রিয়া থেকে দুরে রাখতে রাতের আধারে সবজি বাগানের কিছু গাছ কেটে ফেলে আমাদের নামে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভ্রান্ত করছে।

 

হাবিব রহমান আরো বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ মোট ৬.৬২ একর জমির কাগজমূলে মালিক তার বাবা। এসব জমিতে তাদের রোপণকৃত গাছপালা ও বসতবাড়ি রয়েছে। যা দীর্ঘ ৩ যুগ যাবৎ চাষাবাদ ও ভোগদখলে আছে তারা। ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পরে

 

স্থানীয় সন্ত্রাসীরা ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুট করেই ক্ষান্ত হয়নি, পরবর্তীতে ৮০২ নম্বর খতিয়ানের ১.৯০ একর জমি জবর দখল করে নিয়ে যায়। দখলকৃত ৬০ শতাংশ জমির মধ্যে টিনের দু’টি দোচালা ঘর তৈরি করে বসবাস শুরু করেন বলেও তিনি দাবি করেন।

 

এ বিষয়ে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং সি.আর ১৫৩৮/২৪। এছাড়াও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ১৪৪, ৪৫ ধারায় ১৩ জনকে আসামি করে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং ১৫৬/২৪। সংবাদ সম্মেলনে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নুর নবী বলেন, তার বাড়ি-ঘর ভাংচুর ওটা রাজনৈতিক বিষয়, এখানে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই, তবে দীর্ঘ বছর তারা আমাদের জমি অন্যায়ভাবে ভোগদখল করছিল। সেটা আমরা পুনরুদ্ধার করে দখলে নিয়েছি এটা সত্য।

 

বাখ//এস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৯:১৯:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
১৪৮ জন দেখেছেন

কুয়াকাটায় আওয়ামী লীগ নেতার বসতবাড়ি ভাংচুর ও জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট : ০৯:১৯:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় আওয়ামী লীগ নেতার বসতবাড়ি ভাংচুর, জমি দখল, লুটপাট ও চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় কুয়াকাটা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের কার্য্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মো. হাবিবুর রহমান। তিনি জানান তার বাবা সন্ত্রাসীদের মারধরে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এরপরও সন্ত্রাসীরা আমার বাবা সহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা হামলা সহ নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত করে চলছে

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাবিবুর রহমান বলেন, আমার বাবা গাজী মোঃ ইউসুফ আলী কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এটাই তার অপরাধ। ৫ আগস্টের পর স্থানীয় শাহজাহান বিশ্বাস, নূর নবী গাজী ও হাবিব মৃধা গংরা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাদের ৪০ বছরের ভোগদখলীয় দুই একর জমি একদল সন্ত্রাসী নিয়ে দখল করে নেয়। বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। নগত ৩ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার সবকিছু নিয়ে যায়। এ সময় আমার বাবা, ভাই বোনকে ব্যাপক মারধর করে। আমার বাবা গাজী মোঃ ইউসুফ আলীর পা ভেঙে ফেলে সন্ত্রাসীরা। এসময় আমরা প্রশাসনের কাছে আইনী সহায়তা চাইলে তারা সহায়তা করেনি। তাই বাধ্য হয়ে আদালতের স্বরণাপন্ন হয়েছি।

 

তিনি আরো বলেন,দীর্ঘ বছরের ভোগদখলীয় জমি এখন তাদের বলে দাবি করে দখলকৃত জমিতে সবজ্বীর বাগান করেছে। এবিষয়ে আমরা আইনী প্রক্রিয়ায় গেলে দখলদাররা আইনী প্রক্রিয়া থেকে দুরে রাখতে রাতের আধারে সবজি বাগানের কিছু গাছ কেটে ফেলে আমাদের নামে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভ্রান্ত করছে।

 

হাবিব রহমান আরো বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ মোট ৬.৬২ একর জমির কাগজমূলে মালিক তার বাবা। এসব জমিতে তাদের রোপণকৃত গাছপালা ও বসতবাড়ি রয়েছে। যা দীর্ঘ ৩ যুগ যাবৎ চাষাবাদ ও ভোগদখলে আছে তারা। ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পরে

 

স্থানীয় সন্ত্রাসীরা ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুট করেই ক্ষান্ত হয়নি, পরবর্তীতে ৮০২ নম্বর খতিয়ানের ১.৯০ একর জমি জবর দখল করে নিয়ে যায়। দখলকৃত ৬০ শতাংশ জমির মধ্যে টিনের দু’টি দোচালা ঘর তৈরি করে বসবাস শুরু করেন বলেও তিনি দাবি করেন।

 

এ বিষয়ে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং সি.আর ১৫৩৮/২৪। এছাড়াও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ১৪৪, ৪৫ ধারায় ১৩ জনকে আসামি করে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং ১৫৬/২৪। সংবাদ সম্মেলনে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নুর নবী বলেন, তার বাড়ি-ঘর ভাংচুর ওটা রাজনৈতিক বিষয়, এখানে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই, তবে দীর্ঘ বছর তারা আমাদের জমি অন্যায়ভাবে ভোগদখল করছিল। সেটা আমরা পুনরুদ্ধার করে দখলে নিয়েছি এটা সত্য।

 

বাখ//এস