টাঙ্গুয়ার হাওরে অতিথি পাখি শিকারী চক্রের হোতা দিলোয়ার

দণ্ডনীয় অপরাধ জেনেও পাখি শিকার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে দাম্ভিকতা দেখাচ্ছেন দেলোয়ার হোসেন। জীব-বৈচিত্রের গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি জলচর পরিযায়ী পাখির অভয়াশ্রম টাঙ্গুয়া হাওরে অবাধে পরিযায়ী পাখি শিকার করে আসছেন তিনি। আবার ভিডিওচিত্র ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে পাখি নিয়ে ফানি ভিডিও করছেন দেলোয়ার। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে তিনি।
গেল চারদিন আগে হাওরপাড়ের মানুষ নামক আইডি থেকে একাধিক ভিডিও পোস্ট করেন দেলোয়ার। তাৎক্ষণিক ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। ভিডিও বার্তায় বলেন- “আমি মাছ ধরা বাদ দিয়ে এখন হাওরে পাখি শিকার শুরু করেছি। পাখি শিকারের একাধিক ভিডিও পোস্ট করে বিভিন্ন কথা বলেন দেলোয়ার হোসেন।
অভিযোগ ওঠেছে, অতিথি পাখি শিকার করতে প্রতিবছর রাতের অন্ধকারে কুচ ও ফাঁদ দিয়ে টাঙ্গুয়া হাওরসহ বিভিন্ন হাওরে পাখি শিকার করে দেলোয়ার হোসেনসহ একটি চক্র। স্থানীয়রা বলেছেন- দিনের পর দিন ফৌজদারি এমন অপরাধ করেও আইনের আওতায় আসেননি দেলোয়ার হোসেন ও চক্র।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ২২ ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে দেলোয়ার হোসেন প্রতিবেদককে বলেন, বাড়ির সামনে মসজিদের দাইড় বিলে একটি পাখি পেয়েছিলাম। সেই পাথি নিয়ে ‘হাওরপাড়ের মানুষ’ নামক আমার ফেইসবুক প্লাটফর্ম থেকে ভিডিওটি আপলোড করি গত চারদিন আগে। পরবর্তীতে ডিলিট করে দেই। একাধিক পাখি শিকার করে একাধিক ভিডিও করেছেন এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তার নিকটাত্মীয় রাজ্জাক নামের ব্যক্তিকে ফোনটি ধরিয়ে দেন অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন।
এ প্রসঙ্গে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.আবুল হাসেম বলেন, বিষয়টি তদন্তে প্রমানিত হলে কঠোর আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বাখ//আর