১০:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মসুয়া ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্যের বিরুদ্ধে

কটিয়াদীতে রাস্তার কাজ না করেই তিন লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

এম এ কুদ্দুছ, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

রাস্তার কাজ না করেই ৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কটিয়াদী উপজেলার মসুয়া ইউনিয়নের এক নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত ২০ অক্টোবর জেলা দুদক কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মসুয়া গ্রামের মো. আফাজ উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি।

অভিযোগে জানা যায়, মসুয়া গ্রামের দুলালের জমির সলিং রাস্তা থেকে বিল্লালের বাড়ি পর্যন্ত হাটের সলিং দ্বারা উন্নয়ন প্রকল্প নামে ৩ লাখ টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছিলেন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের (১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড) নারী ইউপি সদস্য তাছলিমা আক্তার। কিন্তু ওই রাস্তায় একটি ইটও বিছানো হয়নি। অথচ গত জুলাই মাসে চেকের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে প্রকল্পের সমুদয় টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন ইউপি সদস্য তাছলিমা। তবে ওই চেকে যৌথভাবে স্বাক্ষর করেছেন মসুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক ও সচিব এ কে এম কামাল হোসেন। সরকারের ভূমি খাতের ১ শতাংশ টাকা থেকে রাস্তা উন্নয়নে ওই ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগে বলা হয়েছে, তাছলিমা আক্তার স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিনের ছত্রছায়ায় থাকার কারণে এ ব্যাপারে এতদিন কেউ কথা বলতে পারেনি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে মসুয়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য তাছলিমা আক্তারের ব্যক্তিগত নম্বরে একাধিকবার কল এবং খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানিয়েছেন, রাস্তার কাজে হাত দেবেন বলে চেক নিয়েছেন ইউপি সদস্য তাছলিমা। তিনি তাছলিমাকে প্রথমে ওই চেক দিতে অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু অন্য ইউপি সদস্যদের অনুরোধে তিনি চেক দেন। পরে ওই ইউপি সদস্যকে কাজটি শুরু করতে বারবার তাগিদ দিয়েছেন। তাছলিমা কাজটি সম্পন্ন করে দেবেন বলে তাঁকে কথা দিয়েছেন।

কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাইদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। এ বিষয়ে তিনি খোঁজখবর নেবেন। এ ব্যাপারে দুদক কিশোরগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাহাথীর সামী বলেন, ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে করা অভিযোগটি প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে অনুমতি পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।

বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০১:৩৪:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
১০৩ জন দেখেছেন

মসুয়া ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্যের বিরুদ্ধে

কটিয়াদীতে রাস্তার কাজ না করেই তিন লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

আপডেট : ০১:৩৪:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

রাস্তার কাজ না করেই ৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কটিয়াদী উপজেলার মসুয়া ইউনিয়নের এক নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত ২০ অক্টোবর জেলা দুদক কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মসুয়া গ্রামের মো. আফাজ উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি।

অভিযোগে জানা যায়, মসুয়া গ্রামের দুলালের জমির সলিং রাস্তা থেকে বিল্লালের বাড়ি পর্যন্ত হাটের সলিং দ্বারা উন্নয়ন প্রকল্প নামে ৩ লাখ টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছিলেন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের (১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড) নারী ইউপি সদস্য তাছলিমা আক্তার। কিন্তু ওই রাস্তায় একটি ইটও বিছানো হয়নি। অথচ গত জুলাই মাসে চেকের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে প্রকল্পের সমুদয় টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন ইউপি সদস্য তাছলিমা। তবে ওই চেকে যৌথভাবে স্বাক্ষর করেছেন মসুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক ও সচিব এ কে এম কামাল হোসেন। সরকারের ভূমি খাতের ১ শতাংশ টাকা থেকে রাস্তা উন্নয়নে ওই ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগে বলা হয়েছে, তাছলিমা আক্তার স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিনের ছত্রছায়ায় থাকার কারণে এ ব্যাপারে এতদিন কেউ কথা বলতে পারেনি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে মসুয়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য তাছলিমা আক্তারের ব্যক্তিগত নম্বরে একাধিকবার কল এবং খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানিয়েছেন, রাস্তার কাজে হাত দেবেন বলে চেক নিয়েছেন ইউপি সদস্য তাছলিমা। তিনি তাছলিমাকে প্রথমে ওই চেক দিতে অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু অন্য ইউপি সদস্যদের অনুরোধে তিনি চেক দেন। পরে ওই ইউপি সদস্যকে কাজটি শুরু করতে বারবার তাগিদ দিয়েছেন। তাছলিমা কাজটি সম্পন্ন করে দেবেন বলে তাঁকে কথা দিয়েছেন।

কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাইদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। এ বিষয়ে তিনি খোঁজখবর নেবেন। এ ব্যাপারে দুদক কিশোরগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাহাথীর সামী বলেন, ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে করা অভিযোগটি প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে অনুমতি পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।

বাখ//আর