০৭:৫৯ অপরাহ্ন, রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আমীর ডা. শফিকুর রহমান 

আমিরুল ইসলাম কবির, গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে সাম্যের,বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন। সকল ক্ষেত্র থেকে বৈষম্য দূর করতে হবে, যেখানে সংখ্যাগুরু, সংখ্যালঘুর ধর্মীয় ভেদাভেদ থাকবে না। সব মানুষই দেশের নাগরিক হিসেবে পরিচিত হবে। ক্ষমতায় গেলে নারীদের ইজ্জতকে কাঁচামাল হিসেবে কেউ ব্যবহার করতে পারবে না,তাদের পূর্ণ মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
২৪শে ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে গাইবান্ধা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখার এক বিশাল কর্মী সম্মেলনে তিনি এ বক্তব্য রাখেন। তিনি আরও বলেন,অফিস- আদালত থেকে ঘুষ-দুর্নীতি নির্মূল করতে হবে। চাঁদাবাজি,দখলদারি বন্ধ করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। জামায়াত আমীর বলেন,গত ১৫ বছরে অসংখ্য মায়ের বুক খালি হয়েছে। আয়না ঘরে বন্দী রেখে জঙ্গীবাদের নাটক করা হয়েছে। অসংখ্য মানুষকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে,গুম করা হয়েছে।
জাতীয় নির্বাচনের নামে বিনা ভোটে এমপিদের পাশ করানো হয়েছে, নিশি রাতে ভোট হয়েছে এবং ২০২৪ সালে আমি আর ডামির নির্বাচন হয়েছে। পতিত ফ্যাসিবাদী সরকার আমাদের দেশ প্রেমিক বিডিআর বাহিনীকে ধ্বংস করে সীমান্ত চৌকিদার বিজিবি করেছে। ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বিভাজন করা হবে না।
মসজিদ যদি পাহারা দেয়া না লাগে তবে মন্দিরও পাহারা দেয়া লাগবে না,সকলেই শান্তিতে সহাবস্থান করবে। তিনি এসময় স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন অত্যাচার,বাড়িঘর লুটপাটের আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেন। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে কেউ নারীদের ইজ্জতকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না, তাদের পূর্ণ মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে তিনি ঘোষণা দেন। তিনি গাইবান্ধায় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার দাবি জানান বর্তমান সরকারের কাছে।
জেলা জামায়াতের আমীর মো. আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে এ কর্মী সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ডা. আব্দুর রহীম সরকার,সিনিয়র নায়েবে আমীর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়ারেছ সরকার, জেলা সেক্রেটারী জহুরুল হক সরকার, সহকারী সেক্রেটারী সৈয়দ রোকনুজ্জামান, জেলা জামায়াতে সাংগঠনিক সেক্রেটারী মাওলানা নজরুল ইসলাম লেবু,পলাশবাড়ী উপজেলা আমীর আবু বক্কর সিদ্দিক সহ জেলা উপজেলার আমীরগণসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বাখ//এস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৬:০২:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
১৬৫ জন দেখেছেন

গাইবান্ধায় জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আমীর ডা. শফিকুর রহমান 

আপডেট : ০৬:০২:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
গাইবান্ধা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে সাম্যের,বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন। সকল ক্ষেত্র থেকে বৈষম্য দূর করতে হবে, যেখানে সংখ্যাগুরু, সংখ্যালঘুর ধর্মীয় ভেদাভেদ থাকবে না। সব মানুষই দেশের নাগরিক হিসেবে পরিচিত হবে। ক্ষমতায় গেলে নারীদের ইজ্জতকে কাঁচামাল হিসেবে কেউ ব্যবহার করতে পারবে না,তাদের পূর্ণ মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
২৪শে ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে গাইবান্ধা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখার এক বিশাল কর্মী সম্মেলনে তিনি এ বক্তব্য রাখেন। তিনি আরও বলেন,অফিস- আদালত থেকে ঘুষ-দুর্নীতি নির্মূল করতে হবে। চাঁদাবাজি,দখলদারি বন্ধ করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। জামায়াত আমীর বলেন,গত ১৫ বছরে অসংখ্য মায়ের বুক খালি হয়েছে। আয়না ঘরে বন্দী রেখে জঙ্গীবাদের নাটক করা হয়েছে। অসংখ্য মানুষকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে,গুম করা হয়েছে।
জাতীয় নির্বাচনের নামে বিনা ভোটে এমপিদের পাশ করানো হয়েছে, নিশি রাতে ভোট হয়েছে এবং ২০২৪ সালে আমি আর ডামির নির্বাচন হয়েছে। পতিত ফ্যাসিবাদী সরকার আমাদের দেশ প্রেমিক বিডিআর বাহিনীকে ধ্বংস করে সীমান্ত চৌকিদার বিজিবি করেছে। ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বিভাজন করা হবে না।
মসজিদ যদি পাহারা দেয়া না লাগে তবে মন্দিরও পাহারা দেয়া লাগবে না,সকলেই শান্তিতে সহাবস্থান করবে। তিনি এসময় স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন অত্যাচার,বাড়িঘর লুটপাটের আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেন। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে কেউ নারীদের ইজ্জতকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না, তাদের পূর্ণ মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে তিনি ঘোষণা দেন। তিনি গাইবান্ধায় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার দাবি জানান বর্তমান সরকারের কাছে।
জেলা জামায়াতের আমীর মো. আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে এ কর্মী সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ডা. আব্দুর রহীম সরকার,সিনিয়র নায়েবে আমীর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়ারেছ সরকার, জেলা সেক্রেটারী জহুরুল হক সরকার, সহকারী সেক্রেটারী সৈয়দ রোকনুজ্জামান, জেলা জামায়াতে সাংগঠনিক সেক্রেটারী মাওলানা নজরুল ইসলাম লেবু,পলাশবাড়ী উপজেলা আমীর আবু বক্কর সিদ্দিক সহ জেলা উপজেলার আমীরগণসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বাখ//এস