অবসান ঘটলো বর্ণাঢ্য জীবনের, না ফেরার দেশে বিরলের মন্টু স্যার

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার শিক্ষাঙ্গনের অতি পরিচিত মুখ, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বিরল সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক বদরুল আজাদ মন্টু অবশেষে পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে।
আজ ২৫ ডিসেম্বর সকালে বিরল পৌরসভার রেলঘুন্টি এলাকায় নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন তিনি (ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্য জনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি।প্রায় শতবর্ষের কাছাকাছি গিয়ে অবশেষে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করলেন বর্ণাঢ্য চরিত্রের এই মানুষটি। তার মৃত্যুতে বিরল পৌরসভার সহ অত্র অঞ্চলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বিরল জামে মসজিদের ইমাম আলহাজ্ব মনসুর আলী বলেন, একজন শিক্ষানুরাগী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কে হারালো বিরল উপজেলার মানুষ। শিক্ষানুরাগী এই ব্যক্তির মৃত্যুর ফলে বিরলের শিক্ষাঙ্গন অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হলো। বিরলের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক জগতে তার অবদান চিরদিন উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
বিরল পৌরসভার মৃত কাদের আলীর পুত্র ব্যবসায়ী একরামুল হক বলেন, এই মহান ব্যক্তির মৃত্যুতে বিরলের শিক্ষাঙ্গন ও সাংস্কৃতিক জগতের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের পতন ঘটল যা প্রত্যাশিত ছিল না। কিন্তু প্রতিটি মানুষকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই আমাদের শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে।
জেলার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ও দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের অন্যতম সদস্য আজহারুল আজাদ জুয়েল বলেন, তিনি ছিলেন আমার আত্মার আত্মীয়। তার কথা বলা, অঙ্গভঙ্গিতে শিক্ষা ও সংস্কৃতির আবহ বিদ্যমান ছিল। তার ভাব ও ভাষার ভঙ্গিমা সবাইকে আকর্ষণ করে। শিক্ষার প্রসারে শুধু দিনাজপুর নয় জেলার বাইরেও তিনি অবদান রেখেছেন। তিনি শুধু শিক্ষক নয় তিনি ছিলেন সুরের জাদুকর। তিনি চলে গেলেন ঠিক ওই কিন্তু তার রেখে যাওয়া আদর্শ আজীবন বিরল কে আলোকিত করবে।
এদিকে তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিরলের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। মহান এই ব্যক্তির দাফন কার্য আজ ২৫ ডিসেম্বর সম্পন্ন হবে এবং জানাজা নামাজ শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে এমনটাই নিশ্চিত করে তার পারিবারিক সূত্র।
বাখ//এস