০৮:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিতলমারীতে বেলজিয়াম প্রবাসীকে রক্ষার জন্য ভাইদের সংবাদ সম্মেলন

চিতলমারী প্রতিনিধি

বাগেরহাটের চিতলমারীতে বেলজিয়াম প্রবাসী বুলবুল খান (৩৫) কে মামলা ও বিভিন্ন চক্রান্ত থেকে রক্ষা করতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বুধবার (০১ জানুয়ারী) দুপুর ২ টায় তার বড়ভাই বেল্লাল খান চিতলমারী উপজেলা প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সম্মেলনে বুলবুলের ছোট ভাই টুটুল খান লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করে টুটুল খান বলেন, ‘আমার ভাই বুলবুল খান বেলজিয়াম প্রবাসী। সে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বেলজিয়ামে বসবাস করছেন। গত ২০২৩ সালে সে দেশের বাড়ি ডোবাতলা গ্রামে আসেন। বাড়িতে আসার পর পারিবারিক ভাবে আমরা গোপালগঞ্জের টুংগিপাড়া উপজেলার শ্রীরামকান্দি দক্ষিণপাড়া গ্রামের লিটন মুন্সির মেয়ে মিথিলা খানমের (২১) সাথে বুলবুলের বিবাহ ঠিক করি।

২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর আমাদের বাড়িতে বসে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক সামাজিক ও পারিবারিকভাবে রেজিষ্ট্রি কাবিন মূলে বুলবুল ও মিথিলার বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিবাহের সময়ে মিথিলাকে দেনমোহর বাবদ স্বর্ণ ও নগদ মিলে ৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ করা হয়। আমার ভাই বুলবুল ২০২৪ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারী বেলজিয়াম চলে যান। এরপর গত ২০২৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মিথিলা তার মা লিপি বেগম, বাবা লিটন মুন্সি ও মামা রিপন খানের সহযোগিতায় আমাদের বাড়িতে থাকা ৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও কাপড় চাপড়সহ প্রায় ১৭ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে বাবার বাড়ি টুঙ্গিপাড়া চলে যায়।

আমরা সামাজিক ভাবে ভাইয়ের বউ মিথিলাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে গেলে তারা আমাদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করে। ভাবী মিথিলা আমাদের বাড়িতে না এসে উল্টো আমার বৃদ্ধা মা আমেনা বেগম (৭৫), বুলবুল ও ভাই বেল্লালের নামে মিথ্যা মামলা দেন। বর্তমানে তারা আমার প্রবাসী ভাই বুলবুলের ক্ষতি ও বিপদে ফেলে মোটা অংকের টাকা আদায়ের জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করছে। ওরা প্রতারনা মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েও ক্ষান্ত হয়নি। এখন আমার ভাইয়ের ক্ষতি করার জন্য বেলজিয়াম দূতাবাস, কাউন্সিল অফিস ও তার বন্ধুদের কাছে নানা মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে চলেছে। যাতে আমার ভাই বেলজিয়াম থাকতে না পেরে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। আমরা এই প্রতারক চক্রের হাত থেকে প্রবাসী ভাইকে রক্ষার জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মিথিলার বাবা লিটন মুন্সি স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার একটি মাত্র মেয়ে। অনেক শখ করে বিয়ে দিয়ে ছিলাম। জামাই-মেয়ে ভালই ছিল। কিন্তু জামাইয়ের ভাই টুটুল ও বেল্লালের জন্য ওদের সংসার টিকল না। আমার মেয়ে এক কাপড়ে তাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছে।

বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৫:২৬:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫
৯৪ জন দেখেছেন

চিতলমারীতে বেলজিয়াম প্রবাসীকে রক্ষার জন্য ভাইদের সংবাদ সম্মেলন

আপডেট : ০৫:২৬:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫

বাগেরহাটের চিতলমারীতে বেলজিয়াম প্রবাসী বুলবুল খান (৩৫) কে মামলা ও বিভিন্ন চক্রান্ত থেকে রক্ষা করতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বুধবার (০১ জানুয়ারী) দুপুর ২ টায় তার বড়ভাই বেল্লাল খান চিতলমারী উপজেলা প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সম্মেলনে বুলবুলের ছোট ভাই টুটুল খান লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করে টুটুল খান বলেন, ‘আমার ভাই বুলবুল খান বেলজিয়াম প্রবাসী। সে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বেলজিয়ামে বসবাস করছেন। গত ২০২৩ সালে সে দেশের বাড়ি ডোবাতলা গ্রামে আসেন। বাড়িতে আসার পর পারিবারিক ভাবে আমরা গোপালগঞ্জের টুংগিপাড়া উপজেলার শ্রীরামকান্দি দক্ষিণপাড়া গ্রামের লিটন মুন্সির মেয়ে মিথিলা খানমের (২১) সাথে বুলবুলের বিবাহ ঠিক করি।

২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর আমাদের বাড়িতে বসে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক সামাজিক ও পারিবারিকভাবে রেজিষ্ট্রি কাবিন মূলে বুলবুল ও মিথিলার বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিবাহের সময়ে মিথিলাকে দেনমোহর বাবদ স্বর্ণ ও নগদ মিলে ৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ করা হয়। আমার ভাই বুলবুল ২০২৪ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারী বেলজিয়াম চলে যান। এরপর গত ২০২৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মিথিলা তার মা লিপি বেগম, বাবা লিটন মুন্সি ও মামা রিপন খানের সহযোগিতায় আমাদের বাড়িতে থাকা ৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও কাপড় চাপড়সহ প্রায় ১৭ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে বাবার বাড়ি টুঙ্গিপাড়া চলে যায়।

আমরা সামাজিক ভাবে ভাইয়ের বউ মিথিলাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে গেলে তারা আমাদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করে। ভাবী মিথিলা আমাদের বাড়িতে না এসে উল্টো আমার বৃদ্ধা মা আমেনা বেগম (৭৫), বুলবুল ও ভাই বেল্লালের নামে মিথ্যা মামলা দেন। বর্তমানে তারা আমার প্রবাসী ভাই বুলবুলের ক্ষতি ও বিপদে ফেলে মোটা অংকের টাকা আদায়ের জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করছে। ওরা প্রতারনা মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েও ক্ষান্ত হয়নি। এখন আমার ভাইয়ের ক্ষতি করার জন্য বেলজিয়াম দূতাবাস, কাউন্সিল অফিস ও তার বন্ধুদের কাছে নানা মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে চলেছে। যাতে আমার ভাই বেলজিয়াম থাকতে না পেরে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। আমরা এই প্রতারক চক্রের হাত থেকে প্রবাসী ভাইকে রক্ষার জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মিথিলার বাবা লিটন মুন্সি স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার একটি মাত্র মেয়ে। অনেক শখ করে বিয়ে দিয়ে ছিলাম। জামাই-মেয়ে ভালই ছিল। কিন্তু জামাইয়ের ভাই টুটুল ও বেল্লালের জন্য ওদের সংসার টিকল না। আমার মেয়ে এক কাপড়ে তাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছে।

বাখ//আর