০৮:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বছরের প্রথম সূর্যোদয় দেখতে সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে হাজার হাজার পর্যটক

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

দেশের অন্যতম সমুদ্র সৈকত সাগরকন্যা কুয়াকাটায় পুরাতন বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে বরণ করতে বছরের প্রথম দিনের সূর্যোদয় দেখলেন হাজার হাজার পর্যটক। সাগরকন্যা কুয়াকাটায় তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে সূর্যোদয়কে স্বাগত জানিয়েছেন পর্যটকরা। নতুন বছরের প্রথম দিন আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে সূর্যোদয় দেখতে কুয়াকাটা সৈকতে হাজির হন দেশি বিদেশি পর্যটকরা। তবে কুয়াশার কারণে ভালোমতো দেখতে পারেনি বছরের প্রথম সূর্যোদয় তাই আক্ষেপ করে উপস্থিত পর্যটকরা।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। একই স্থানে দাঁড়িয়ে উপভোগ করা যায় সূর্যোদয় সূর্যাস্ত। ফলে ভ্রমণ পিপাসুদের প্রথম পছন্দ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। মনোরম নৈসর্গিক দৃশ্যের হাতছানি ভ্রমণবিলাসী মানুষকে বারবার টেনে আনে সমুদ্রের কাছে। প্রতিবছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ও জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি কুয়কাটা। বার্ষিক পরীক্ষার ছুটি ও ইংরেজি নববর্ষের ছুটির আনন্দ উপভোগ করতে আসা প্রকৃতি আর সমুদ্রপ্রেমী মানুষের পদচারণায় মুখরিত সৈকত এলাকা।

পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীদের ধারণা ছিল ২০২৪ সালের শেষ সূর্যাস্ত এবং ২০২৫ সালের প্রথম সূর্যোদয় দেখতে কুয়াকাটায় প্রায় অর্ধলক্ষাধিক পর্যটক দর্শনার্থীদের আগমন ঘটবে। কিন্তু এত স্বল্প সংখ্যক পর্যটক আসায় তারা হতাশ হয়েছে।করোনাকালীণ ছাড়া সবচেয়ে কম সংখ্যক পর্যটক দর্শনার্থীদের আগমন ঘটেছে এবার থার্টি ফার্স্ট নাইটে।ব্যবসায়ীরা এর জন্য বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে দায়ী করেছেন।

ব্যবসায়ীরা বলেন, ৩১ ডিসেম্বর নিয়ে গত কয়েক দিন যাবত রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সবার মধ্যে একটা চাপা উদ্বেগ উৎকন্ঠা দানা বেঁধেছে। ৩১ ডিসেম্বর দেশে আবার কি হয়। এমন পরিস্থিতির কারণেই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটক তেমন আসেনি। তাদের ধারণা এ বছর থার্টি ফার্স্ট নাইটে ৫ হাজার পর্যটকও আসেনি। স্থানীয় কিছু দর্শনার্থী সহ কয়েকজন বিদেশি পর্যটক দেখা গেছে। তবে সে সংখ্যাও খুবই কম।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মিলন বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে বছরের প্রথম সূর্যোদয় দেখতে কুয়াকাটা এসেছি । নতুন সূর্যোদয়ের সঙ্গে জীবনের আরও একটি নতুন বছর শুরু হলো। নতুন বছরের সূর্য উদয় দেখতে পেরে খুশি তিনি। তবে কুয়াশার কারণে ভালোমতো দেখা যায়নি। আশাকরি যেন মুক্তি পাই।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, ‘এ বছর থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে কুয়াকাটায় পর্যটকের উপস্থিতি কিছুটা কম। আবাসিক হোটেলগুলোতে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বুকিং হয়েছে।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুল মোতালেব শরীফ বলেন, ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের উপস্থিতি এবার কম। আবাসিক হোটেলগুলোতে ৪০% ছাড় দেওয়া হয়েছে।বেশিরভাগ আবাসিক হোটেল কক্ষ খালি পরে রয়েছে।তিনি আরও বলেন, এবছর এমন পরিস্থিতির কথা ভাবতেও পারেনি কেউ। তবে তার দাবী রাজনৈতিক পরিবেশ ভালো থাকলে পর্যটকরা ভ্রমণে বের হতে উৎসাহ পান। এজন্য তারা পর্যটন বান্ধব পরিবেশ তৈরী করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।

বাখ//এস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০২:১৯:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫
১০২ জন দেখেছেন

বছরের প্রথম সূর্যোদয় দেখতে সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে হাজার হাজার পর্যটক

আপডেট : ০২:১৯:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫

দেশের অন্যতম সমুদ্র সৈকত সাগরকন্যা কুয়াকাটায় পুরাতন বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে বরণ করতে বছরের প্রথম দিনের সূর্যোদয় দেখলেন হাজার হাজার পর্যটক। সাগরকন্যা কুয়াকাটায় তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে সূর্যোদয়কে স্বাগত জানিয়েছেন পর্যটকরা। নতুন বছরের প্রথম দিন আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে সূর্যোদয় দেখতে কুয়াকাটা সৈকতে হাজির হন দেশি বিদেশি পর্যটকরা। তবে কুয়াশার কারণে ভালোমতো দেখতে পারেনি বছরের প্রথম সূর্যোদয় তাই আক্ষেপ করে উপস্থিত পর্যটকরা।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। একই স্থানে দাঁড়িয়ে উপভোগ করা যায় সূর্যোদয় সূর্যাস্ত। ফলে ভ্রমণ পিপাসুদের প্রথম পছন্দ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। মনোরম নৈসর্গিক দৃশ্যের হাতছানি ভ্রমণবিলাসী মানুষকে বারবার টেনে আনে সমুদ্রের কাছে। প্রতিবছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ও জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি কুয়কাটা। বার্ষিক পরীক্ষার ছুটি ও ইংরেজি নববর্ষের ছুটির আনন্দ উপভোগ করতে আসা প্রকৃতি আর সমুদ্রপ্রেমী মানুষের পদচারণায় মুখরিত সৈকত এলাকা।

পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীদের ধারণা ছিল ২০২৪ সালের শেষ সূর্যাস্ত এবং ২০২৫ সালের প্রথম সূর্যোদয় দেখতে কুয়াকাটায় প্রায় অর্ধলক্ষাধিক পর্যটক দর্শনার্থীদের আগমন ঘটবে। কিন্তু এত স্বল্প সংখ্যক পর্যটক আসায় তারা হতাশ হয়েছে।করোনাকালীণ ছাড়া সবচেয়ে কম সংখ্যক পর্যটক দর্শনার্থীদের আগমন ঘটেছে এবার থার্টি ফার্স্ট নাইটে।ব্যবসায়ীরা এর জন্য বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে দায়ী করেছেন।

ব্যবসায়ীরা বলেন, ৩১ ডিসেম্বর নিয়ে গত কয়েক দিন যাবত রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সবার মধ্যে একটা চাপা উদ্বেগ উৎকন্ঠা দানা বেঁধেছে। ৩১ ডিসেম্বর দেশে আবার কি হয়। এমন পরিস্থিতির কারণেই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটক তেমন আসেনি। তাদের ধারণা এ বছর থার্টি ফার্স্ট নাইটে ৫ হাজার পর্যটকও আসেনি। স্থানীয় কিছু দর্শনার্থী সহ কয়েকজন বিদেশি পর্যটক দেখা গেছে। তবে সে সংখ্যাও খুবই কম।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মিলন বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে বছরের প্রথম সূর্যোদয় দেখতে কুয়াকাটা এসেছি । নতুন সূর্যোদয়ের সঙ্গে জীবনের আরও একটি নতুন বছর শুরু হলো। নতুন বছরের সূর্য উদয় দেখতে পেরে খুশি তিনি। তবে কুয়াশার কারণে ভালোমতো দেখা যায়নি। আশাকরি যেন মুক্তি পাই।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, ‘এ বছর থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে কুয়াকাটায় পর্যটকের উপস্থিতি কিছুটা কম। আবাসিক হোটেলগুলোতে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বুকিং হয়েছে।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুল মোতালেব শরীফ বলেন, ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের উপস্থিতি এবার কম। আবাসিক হোটেলগুলোতে ৪০% ছাড় দেওয়া হয়েছে।বেশিরভাগ আবাসিক হোটেল কক্ষ খালি পরে রয়েছে।তিনি আরও বলেন, এবছর এমন পরিস্থিতির কথা ভাবতেও পারেনি কেউ। তবে তার দাবী রাজনৈতিক পরিবেশ ভালো থাকলে পর্যটকরা ভ্রমণে বের হতে উৎসাহ পান। এজন্য তারা পর্যটন বান্ধব পরিবেশ তৈরী করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।

বাখ//এস