ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনে রাজস্থলীতে বর্ণাঢ্য র্যালি-আলোচনা সভা

ছাত্র রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে শিক্ষা, ঐক্য ও প্রগতি-এই তিন মূলনীতিকে ধারণ করে প্রতিষ্ঠা করা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনে রাজস্থলীতে বর্ণাঢ্য র্যালী করেছে কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে রাজস্থলী উপজেলা প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালিটি বাজার হ্নারা মুখ পাড়া ও উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক হয়ে বাজার ঘুরে হল রুমে এসে শেষ হয়। পরে আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজস্থলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাষ্টার খলিলুর রহমান শেখ, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল হাসেম মেম্বার সহ সভাপতি চথোয়াইপ্রু মারমা, সহ সভাপতি ছকির আহম্মদ, মুইথুইঅং মারমা, সাধারণ সম্পাদক মঞো মারমা, সাংগটনিক সম্পাদক বাবলু মিয়া, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মিলন, যুবদলের আহবায়ক শামীম আহম্মদ রুভেল, সদস্য সচিব উজ্বল তনচংগ্যা, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট কেন্ত্রীয় কমিটির সহ সাংগটনিক সম্পাদক জিকু দে, বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আজিজুর রহমান, ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক রাজু আহম্মেদ সহ মহিলা দলের সিনিয়র সহ সভাপতি শিল্পি বেগম,লাকী মারমা, শিল্পি তনচংগ্যা প্রমুখ।
রাজস্থলী উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক নাইমুল ইসলাম রনির সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সাজন তনচংগ্যার সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় অনুষ্টিত হয়। এদিকে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক নাইমুল ইসলাম রনির উদ্যোগে অসহায় হতদরিদ্রদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এরআগে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ছাত্র রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে শিক্ষা, ঐক্য ও প্রগতি-এই তিন মূলনীতিকে ধারণ করে প্রতিষ্ঠা করা হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
উৎপাদনমুখী শিক্ষাব্যবস্থা ও ছাত্রসমাজের অধিকার আদায়ের লক্ষ্য সামনে রেখে ১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি এই সংগঠন গঠন করেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। পরবর্তী সময়ে বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামের ভ্যানগার্ড হিসাবে পরিচিতি পায় ছাত্রদল। সূচনালগ্ন থেকে সংগঠনটি স্বৈরাচার পতন আন্দোলন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিয়ে সুনাম অর্জন ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার প্রমাণ পেয়েছ।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে আমরা কোনো কর্মসূচি পুলিশ ও ছাত্রলীগের মামলা-হামলা ছাড়া করতে পারিনি। ফলে দীর্ঘ সময় পর বাধাহীন ও স্বাধীনভাবে এই কমসূচি পালিত হওয়ায় নেতাকর্মীরা ভয়হীনভাবে উপস্থিতি হয়েছে। এটাই বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রকৃত রূপ। তাই আগামীতে দেশের যে কোনো প্রয়োজনে যেমন অগ্রগামী থাকবে ছাত্রদল তেমনি সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর হয়ে রাজপথেও থাকবে নেতাকর্মীরা।অনুষ্টানে বিএনপির অঙ্গ সংগটনের নেতা কর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।
বাখ//এস