০৬:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজারহাট উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আবু নুর গ্রেফতার

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

রাজারহাট উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান আবু নুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে তার নিজ বাড়ির সন্নিকট থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

নাম আ,ন,ম আক্তারুজ্জামান। ডাক নাম আবু নুর। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে নামে কিছুটা পরিবর্তন এনে করা হয় আবু নুর মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান। শুধু নামের পরিবর্তন নয়, সেই সময় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে তার ভাগ্যেরও পরিবর্তন হতে থাকে। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাবস্থায় ২০০৯ ইং সনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। যদিও তার বিরুদ্ধে ভোটে কারুচুপির অভিযোগ করেছিলেন তার নিকটতম দুই প্রতিদ্বন্দ্বী।

বিগত সরকারের সময়ে তিনি ও তার স্ত্রী মিলে ৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সহ নিকটতম বন্ধু-স্বজনদের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার সভাপতি বানিয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা এখনো রাজারহাটের মানুষদের মুখে মুখে। মাদক সিন্ডিকেটের টাকা সহ ধর্ষণ পর্যন্ত বিভিন্ন মামলা আপোষ রফার মোড়ল হিসেবেও তিনি কামিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ টাকা উপার্জনের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বিরোধি পক্ষকে স্বাধীনতা বিরোধি বলে আখ্যা দিয়ে গালিগালাজ করলেও তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে প্রবেশের পর থেকেই তার পরিচয় নিয়ে খোদ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যেই বিতর্ক ছিল।

উপজেলার বৈদ্যের বাজার এলাকার এক হিন্দু শিক্ষার্থী গণধর্ষন মামলায় ক্ষমতার দাপটে বাদীকে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে কৌশলে মামলাটি আপোষ রফা করে আসামীদের মুক্ত করেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে ওই গণধর্ষণ মামলার এক নম্বর আসামী রফিকুল ইসলামকে রাজারহাটে সাংবাদিকদের প্রতিপক্ষ সাজিয়ে তার নেতৃত্বে তৈরি করা হয়েছিল সাংবাদিক পরিচয়ে আর একটি বাহিনী।

পুলিশ জানায়,গত বছরের ৫ আগষ্টের পর থেকে গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও গোপনে দেশ বিরোধি নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন আবু নুর। এছাড়া তিনি রাজারহাট বাজারে ২০১৩ সনে দোকান-ভাংচুর, অগ্নি-সংযোগ, লুটপাটের ঘটনায় সম্প্রতি থানায় দায়েরকৃত একটি মামলার ১ নম্বর আসামী ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই বাবুলের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আক্তারুজ্জামান আবুনুরকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাজারহাট থানায় ১ টি মামলার ১ নম্বর এজাহার ভূক্ত আসামী এবং পুলিশের বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বাখ//ইস

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০৭:২০:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫
১৯৬ জন দেখেছেন

রাজারহাট উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আবু নুর গ্রেফতার

আপডেট : ০৭:২০:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫

রাজারহাট উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান আবু নুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে তার নিজ বাড়ির সন্নিকট থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

নাম আ,ন,ম আক্তারুজ্জামান। ডাক নাম আবু নুর। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে নামে কিছুটা পরিবর্তন এনে করা হয় আবু নুর মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান। শুধু নামের পরিবর্তন নয়, সেই সময় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে তার ভাগ্যেরও পরিবর্তন হতে থাকে। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাবস্থায় ২০০৯ ইং সনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। যদিও তার বিরুদ্ধে ভোটে কারুচুপির অভিযোগ করেছিলেন তার নিকটতম দুই প্রতিদ্বন্দ্বী।

বিগত সরকারের সময়ে তিনি ও তার স্ত্রী মিলে ৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সহ নিকটতম বন্ধু-স্বজনদের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার সভাপতি বানিয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা এখনো রাজারহাটের মানুষদের মুখে মুখে। মাদক সিন্ডিকেটের টাকা সহ ধর্ষণ পর্যন্ত বিভিন্ন মামলা আপোষ রফার মোড়ল হিসেবেও তিনি কামিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ টাকা উপার্জনের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বিরোধি পক্ষকে স্বাধীনতা বিরোধি বলে আখ্যা দিয়ে গালিগালাজ করলেও তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে প্রবেশের পর থেকেই তার পরিচয় নিয়ে খোদ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যেই বিতর্ক ছিল।

উপজেলার বৈদ্যের বাজার এলাকার এক হিন্দু শিক্ষার্থী গণধর্ষন মামলায় ক্ষমতার দাপটে বাদীকে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে কৌশলে মামলাটি আপোষ রফা করে আসামীদের মুক্ত করেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে ওই গণধর্ষণ মামলার এক নম্বর আসামী রফিকুল ইসলামকে রাজারহাটে সাংবাদিকদের প্রতিপক্ষ সাজিয়ে তার নেতৃত্বে তৈরি করা হয়েছিল সাংবাদিক পরিচয়ে আর একটি বাহিনী।

পুলিশ জানায়,গত বছরের ৫ আগষ্টের পর থেকে গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও গোপনে দেশ বিরোধি নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন আবু নুর। এছাড়া তিনি রাজারহাট বাজারে ২০১৩ সনে দোকান-ভাংচুর, অগ্নি-সংযোগ, লুটপাটের ঘটনায় সম্প্রতি থানায় দায়েরকৃত একটি মামলার ১ নম্বর আসামী ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই বাবুলের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আক্তারুজ্জামান আবুনুরকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাজারহাট থানায় ১ টি মামলার ১ নম্বর এজাহার ভূক্ত আসামী এবং পুলিশের বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বাখ//ইস