০৪:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শীতে কাঁপছে উপকুলবাসীর জনজীবন, ভোগান্তিতে ছিন্নমূল মানুষ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গুড়ি বৃষ্টির মতো পড়ছে ঘন কুয়াশা। বেলা বাড়লেও দেখা মিলছে না সূর্যের। দুপুর পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। হাড় কাপানো তীব্র শীতে কাপছে উপকুলবাসীর জনজীবন। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। মাঝে-মধ্যে শীত আর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে পুরো উপজেলা।
কনকনে শীতে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। শীতবস্ত্রের অভাবে নিম্নআয়ের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। কনকনে শীতে খেটে-খাওয়া দিনমজুর, গরিব, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষ সময়মত কাজে যেতে পারছেন না। এদিকে প্রচন্ড শীতে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা।
আজ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল নয়টায় জেলায় সর্বনিম্ন ১৩.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। এ অবস্থা আরোও ৩ দিন চলবে বলে জানান খেপুপাড়া আবহাওয়া অফিস। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। দুর্ভোগে রয়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। খড়কুটো জালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা চালাচ্ছে অনেক হত দরিদ্র মানুষ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা।
গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া জেলে জয়নাল জানান, প্রচন্ড শীত ও ঠান্ডা বাতাসের কারণে সাগরের মধ্যে ঠিক থাকা যায়না। অভাবের সংসার দিন আনি দিন খাই আনেক কষ্টে আছি।
অটোভ্যান চালক আমাল বলেন, ঠান্ডার কারণে হাত-পায়ের রগ জড়ো হয়ে যায়। হাত দিয়ে হ্যান্ডেলও ধরতে পারেন না। অটো চালানোই কঠিন হয়ে পড়ছে। টানাটানির সংসারে বাধ্য হয়ে অটোভ্যান নিয়ে কাজের জন্য বের হয়েছি।
রফিক নামে এক দিনমজুর জানান, ঠান্ডার কারণে তারা কাজে যেতে পারছেন না। ফলে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। প্রচন্ড শীত ঠান্ডা বাতাসের কারণে মাঠে তাড়ানো যাচ্ছে না।
বাখ//এস