১০:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীর কালীচন্না গ্রামের আকন বাড়ীতে কয়েক দফা সন্ত্রাসি হামলায় ৪ নারীসহ আহত ১০ জন

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি

পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবাড়ীয়া ইউনিয়নের কালীচন্না গ্রামে প্রতিবেশী মোতাহার ও মোকলেছ সহ তাদের সন্ত্রাসি বাহিনীর হামলায় জাকির আকনের বাড়ীর ৪ নারীসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।

আজ দুপুর ২টার দিকে পঞ্চমদফা হামলায় জাকির হোসেন (৪২), তার মা ফুলবানু বেগম (৭৫), স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৩৮), ভাই আউয়াল আকন (৩৫), বোন সাহাভানু, হাসিনা বেগম ও পুত্র রনি (১৮)সহ ১০কে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত ফাতেমা বেগম ও জাকির হোসেনকে মূমূর্ষ অবস্থায় আজ বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।

আহত আউয়াল আকন জানান, অনেক দিন ধরে প্রতিবেশী মোতাহার ও মোকলেছ বিভিন্ন ভাবে তাদের বাড়ি দখলের উদ্দেশ্যে হয়রানি করে আসছে। এ ব্যপারে স্থানীয় ভাবে বেশ কয়েকবার শালিশি বৈঠক করে তাদের সতর্ক করা হলেও এ ঘটনা থেকে বিরত থাকেনি। গত ৩১ ডিসেম্বর মোতাহার, মোকলেছ দলবদ্ধ হয়ে আকন বাঢ়ীতে হামলা চালিয়ে জাকির আকনের মা ফুলবানু বেগম, স্ত্রী ফাতেমা বেগম ও পুত্র রনিকে মারাত্মক আহত করে।

আহতদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এপর ওই সন্ত্রাসি বাহিনী গত ০১ ও ০২ জানুয়ারী সকালে দিকে মোতাহার, মোকলেছ সন্ত্রাসি দল নিয়ে বাড়ী দখল নিতে দুইদফা চড়াও হয়।

এসময় আকন বাড়ীর সদস্যরা ৯৯৯ নম্বরে কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারীদের সড়িয়ে দেয় এবং তাদের সতর্ক করেন। কিন্তু ওই সন্ত্রাসিরা একই দিন দুপুর ১২টার দিকে আবারও আকন বাড়ীর উপর চড়াও হলে স্থানীয়রা তাদেরকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। এতে আকন বাড়ীর সদস্যরা আতংকগ্রস্ত হয়ে পরে।

এঘটনায় গতবৃহস্পতিবার বিকেলে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে মো. জাকির হোসেন। কিন্তু থানা পুলিশ এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় গতকাল দুপুর ২টার দিকে মোতাহার ও মোকলেছসহ তাদের সন্ত্রাসি বাহিনী পঞ্চমবারের মত আবার আকন বাড়ীতে হামলা চালায়। এ হামলায় ১০জন নারী-পুরুষ রক্তাক্ত জখম হন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ ইমতিয়াজ’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যপারে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ঘটনা সত্যতা পেয়েছি, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাখ//আর

শেয়ার করুন

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট : ০১:১৭:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫
১২৬ জন দেখেছেন

পটুয়াখালীর কালীচন্না গ্রামের আকন বাড়ীতে কয়েক দফা সন্ত্রাসি হামলায় ৪ নারীসহ আহত ১০ জন

আপডেট : ০১:১৭:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫

পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবাড়ীয়া ইউনিয়নের কালীচন্না গ্রামে প্রতিবেশী মোতাহার ও মোকলেছ সহ তাদের সন্ত্রাসি বাহিনীর হামলায় জাকির আকনের বাড়ীর ৪ নারীসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।

আজ দুপুর ২টার দিকে পঞ্চমদফা হামলায় জাকির হোসেন (৪২), তার মা ফুলবানু বেগম (৭৫), স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৩৮), ভাই আউয়াল আকন (৩৫), বোন সাহাভানু, হাসিনা বেগম ও পুত্র রনি (১৮)সহ ১০কে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত ফাতেমা বেগম ও জাকির হোসেনকে মূমূর্ষ অবস্থায় আজ বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।

আহত আউয়াল আকন জানান, অনেক দিন ধরে প্রতিবেশী মোতাহার ও মোকলেছ বিভিন্ন ভাবে তাদের বাড়ি দখলের উদ্দেশ্যে হয়রানি করে আসছে। এ ব্যপারে স্থানীয় ভাবে বেশ কয়েকবার শালিশি বৈঠক করে তাদের সতর্ক করা হলেও এ ঘটনা থেকে বিরত থাকেনি। গত ৩১ ডিসেম্বর মোতাহার, মোকলেছ দলবদ্ধ হয়ে আকন বাঢ়ীতে হামলা চালিয়ে জাকির আকনের মা ফুলবানু বেগম, স্ত্রী ফাতেমা বেগম ও পুত্র রনিকে মারাত্মক আহত করে।

আহতদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এপর ওই সন্ত্রাসি বাহিনী গত ০১ ও ০২ জানুয়ারী সকালে দিকে মোতাহার, মোকলেছ সন্ত্রাসি দল নিয়ে বাড়ী দখল নিতে দুইদফা চড়াও হয়।

এসময় আকন বাড়ীর সদস্যরা ৯৯৯ নম্বরে কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারীদের সড়িয়ে দেয় এবং তাদের সতর্ক করেন। কিন্তু ওই সন্ত্রাসিরা একই দিন দুপুর ১২টার দিকে আবারও আকন বাড়ীর উপর চড়াও হলে স্থানীয়রা তাদেরকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। এতে আকন বাড়ীর সদস্যরা আতংকগ্রস্ত হয়ে পরে।

এঘটনায় গতবৃহস্পতিবার বিকেলে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে মো. জাকির হোসেন। কিন্তু থানা পুলিশ এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় গতকাল দুপুর ২টার দিকে মোতাহার ও মোকলেছসহ তাদের সন্ত্রাসি বাহিনী পঞ্চমবারের মত আবার আকন বাড়ীতে হামলা চালায়। এ হামলায় ১০জন নারী-পুরুষ রক্তাক্ত জখম হন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ ইমতিয়াজ’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যপারে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ঘটনা সত্যতা পেয়েছি, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাখ//আর